• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

আন্দোলনের নামে ওমিক্রন-ডেল্টা ছড়াচ্ছে বিএনপি 

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৮ জানুয়ারি ২০২২  

দেশে যখন করোনার প্রকোপ বাড়তে শুরু করেছে, ঠিক এমনই সময় জনগণের পাশে না দাঁড়িয়ে খালেদা জিয়াকে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন বিএনপির নেতারা।

দেশের মানুষের স্বাস্থ্য নিরাপত্তার কথা না ভেবে বিএনপির নেতারা খালেদার বিদেশে চিকিৎসার নামে বিভিন্ন জায়গায় সভা-সমাবেশ করছেন। ফলে বাড়ছে সংক্রমণ ঝুঁকি। দলের নেতাকর্মীরাও হচ্ছেন করোনা আক্রান্ত। করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়েছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। এছাড়া রয়েছে ডেল্টার সংক্রমণও।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম জানিয়েছেন, রাজধানী ঢাকায় ওমিক্রনের সংক্রমণ বেশি ঘটছে। তবে ঢাকার বাইরে এখনো করোনার ডেল্টা ধরনের সংক্রমণ ঘটছে।

সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে এরই মধ্যে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে সরকার। সব ধরনের সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান-সমাবেশ বন্ধসহ ১১ দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এসব নির্দেশনা না মানলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হবে বলে মনে করেন স্বাস্থ্যসেবা বিশেষজ্ঞরা।

এদিকে, সরকারের গৃহীত নানা পদক্ষেপের বিপরীতে বিএনপি চালিয়ে যাচ্ছে নিজেদের কর্মসূচি।

দলের নেতৃবৃন্দ সুস্থ হয়ে ওঠা খালেদা জিয়াকে নিয়ে ব্যস্ত। দেশ রসাতলে গেলেও তাদের কোনো মাথাব্যথা নেই। মির্জা ফখরুলের চোখে গোটা দেশ একদিকে আর খালেদা জিয়া-তারেক রহমান একদিকে। এখনো তারা খালেদা জিয়াকে বিদেশ পাঠাতে মরিয়া।

শুধু তাই নয়, এসব বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে সমাবেশের আয়োজন করা হচ্ছে বিভিন্ন স্থানে। দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী তো বলেই ফেলেছেন, সরকার বিধিনিষেধ আরোপ করেছে মূলত বিএনপির সভা সমাবেশ করতে না দেওয়ার জন্য।

রুহুল কবির রিজভীর মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী বলেছেন, বিএনপি আসলে সমাবেশ করতে নয়, দেশজুড়ে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে দিতেই আগ্রহী।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বিএনপি আসলে দেশ ও দশের কথা চিন্তা করে না। এর প্রমাণ অতীতেও পাওয়া গেছে। তাদের নেত্রীকে নিয়ে ব্যস্ত তারা। অথচ তারা নিজেদের জনবান্ধব রাজনৈতিক দল হিসেবে দাবি করে।