• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
মুজিবনগর সরকারের ভূমিকা ইতিহাসে অনন্য: রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিরা হস্ত‌ক্ষেপ করবে না: ওবায়দুল কাদের লালমনিরহাটে যুবলীগ কর্মীর পায়ের রগ কাটলেন যুবদল নেতা বাসার ছাদ থেকে পড়ে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু ঠাকুরগাঁওয়ে ঈদ-নববর্ষে ১০ জন নিহত, আহত ২ শতাধিক

এখনো নাটের গুরু পুলিশের ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ বিএনপি নেতা কাইয়ুম

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৮ নভেম্বর ২০২২  

এখনো নাটের গুরু পুলিশের ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ বিএনপি নেতা কাইয়ুম         
২০১৫ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর ইতালি নাগরিক তাবেলা সিজারকে হত্যা করা হয়। এ হত্যাকাণ্ডে নাম আসে ‘বড় ভাই’ হিসেবে পরিচিত বিএনপি নেতা কাইয়ুমের। পরে তদন্তে কাইয়ুমের সম্পৃক্ততা পায় পুলিশ। আলোচিত ইতালি নাগরিক তাবেলা সিজার হত্যাকাণ্ড মামলার চার্জশিটভুক্ত প্রধান আসামি তিনি। 

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, মালয়েশিয়ায় বসেই তাবেলা সিজারকে হত্যার পরিকল্পনা করেন কাইয়ুম। তার নির্দেশমতো কাইয়ুমের ছোট ভাই এম এ মতিন পুরো কিলিং মিশনের সমন্বয় করেন।

মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, একটি স্বার্থান্বেষী মহল অসৎ উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে পূর্ব-পরিকল্পিতভাবে ইতালির নাগরিক তাবেলা সিজারকে হত্যা করে। এম এ মতিনকে অর্থের জোগানদাতা ও এম এ কাইয়ুম হত্যাকাণ্ডের নেপথ্য ব্যক্তি। পুলিশের খাতায় ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ বিএনপি নেতা কাইয়ুম। 

শুধু তাবেলা হত্যা নয়, জাপানি নাগরিক হত্যায়ও অর্থের জোগান দেন কাইয়ুম। এছাড়াও যাত্রাবাড়ীতে আলোচিত গাড়ি পোড়ানোর মামলায় অর্ধশতাধিক মামলা রয়েছে তার নামে। এরপর কাইয়ুম দেশ থেকে পালিয়ে পরিবারসহ মালয়েশিয়ায় চলে যান। সেখান থেকে তিনি লন্ডনে যান। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী কাইয়ুম লন্ডনে অবস্থান করছেন ও বর্তমানে তারেক জিয়ার ‘ডানহাত’ হিসেবে কাজ করছেন। তিনি  লন্ডন থেকে নিয়মিত মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও দুবাই যাতায়াত করেন বলেও জানা যায়।

২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপির জয়ের পর গুলশান ও বাড্ডা এলাকায় জমি দখলসহ নানা অভিযোগ ওঠে কাইয়ুমের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে তার বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলাও হয়। ২০০৪ সালে কমিশনার হওয়ার পর দুই ডজনের বেশি মামলার আসামি এই নেতা বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে রাতারাতি আলোচনায় উঠে আসেন। বাড়তে থাকে তার প্রভাব-প্রতিপত্তি। 

২০০৪ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত ১০ বছর অবিভক্ত ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের কমিশনার ছিলেন কাইয়ুম। ঐ সময় তিনি নিয়মিত হাওয়া ভবনে যেতেন এবং হাওয়া ভবনকেন্দ্রিক রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের একটি অংশ ছিলেন। এরপর ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া ২০০৮ সালের নবম সংসদ নির্বাচনে গুলশান-বাড্ডা আসন থেকে বিএনপির প্রার্থীও ছিলেন কাইয়ুম। 

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, তারেক জিয়ার ‘ডানহাত’ খ্যাত এম এ কাইয়ুম বাংলাদেশের বিভিন্ন কোম্পানিতে ফোন এবং হুমকি-ধামকির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা পাচার করে তারেক জিয়ার কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন। বর্তমানে বিএনপি যে মহাসমাবেশ করছে, সেই সমাবেশে অর্থ জোগানোর নেপথ্যে নাটের গুরু হিসেবে কাজ করছেন হত্যা মামলার আসামি বিদেশে পলাতক এই কাইয়ুম।