• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

ব্যাংক নিয়ে নীলনকশা বিএনপির

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২২ নভেম্বর ২০২২  

ব্যাংক নিয়ে নীলনকশা বিএনপির                             
ব্যাংকে টাকা নেই- এ ধরনের একটি গুজব ছড়িয়ে কিছু ব্যাংককে দেউলিয়া বানিয়ে ব্যাংকিং খাতে একটি গোলযোগ সৃষ্টি করতে চেয়েছিলেন বিএনপি নেতারা। পাশাপাশি জনগণের মধ্যে একটা অনাস্থা ও আতঙ্ক সৃষ্টি করতে গুজব ছড়ানো হয়েছিল যে, ব্যাংকে টাকা নেই। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের দ্রুত এবং দায়িত্বশীল আচরণের কারণে এই নীলনকশা বাস্তবায়িত হয়নি। 

একাধিক সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে, ব্যাংকে তারল্য সংকট, ব্যাংক দেউলিয়া হয়ে যাবে ও ব্যাংক টাকা দিতে পারছে না- এসব প্রচারণা ছিল বিএনপির নীলনকশার অংশ। এর মূল মাস্টারপ্ল্যান করা হয়েছিল লন্ডন থেকে। বিএনপিকে কিছু কিছু বুদ্ধিজীবী ধারণা দিয়েছিল যে, শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশে আইএমএফ এর কাছ থেকে ঋণের টাকা পাবে না। 

এজন্য বিএনপির পক্ষ থেকে একটি লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করা হয়েছিল, যারা আইএমএফকে বাংলাদেশ সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা দেবে, যাতে বাংলাদেশকে ঋণ দিতে অপারগতা জানাবে আইএমএফ। 

বিএনপি নেতাদের ধারণা ছিল, ঋণ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত আইএমএফ নিলে সরকারের জন্য কঠিন পরিস্থিতি তৈরি হবে এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ইমেজ সংকটে পড়বে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিএনপির ঐ পরিকল্পনা ভেস্তে যায়।

বিএনপির লক্ষ্য ছিল যে, দলটির নেতাদের ফেসবুকের স্ট্যাটাস এবং ইউটিউবের ভাষ্য দেখে অনেকে ব্যাংকে যাবে এবং টাকা উত্তোলন করতে চাইবে। যেকোনো একটি ব্যাংকের শাখায় সব গ্রাহকরা যদি একই সময়ে টাকা উত্তোলনের জন্য যান, তাহলে সেই ব্যাংকের শাখাটি তা দিতে অক্ষম হবে, এটি সাধারণ একটি বিষয়। কাজেই এই ফাঁদেই ব্যাংকগুলোকে ফেলতে চেয়েছিল বিএনপি।

কিন্তু সাধারণ মানুষ খুব দ্রুতই বুঝতে পারে যে, এটা বিএনপির একটি কৌশল মাত্র। তাছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকও দ্রুত এ বিষয়ে বেশকিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করে, যার ফলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে। এতে বিএনপির অপর নীলনকশা যায় ভেস্তে।