আওয়ামী লীগের গৌরবের সংগ্রামের উন্নয়নের ৭০ বছর
নীলফামারি বার্তা
প্রকাশিত: ২৩ জুন ২০১৯
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এ দেশের বৃহত্তম ও প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল। ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ শাসনের অবসান ও পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর জননেতা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শামসুল হকের নেতৃত্বে ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়।
জন্মলগ্নে এই দলের নাম ছিল ‘পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ’। জন্মলগ্ন থেকেই ধর্মনিরপেক্ষ-অসাম্প্রদায়িক রাজনীতি, বাঙালি জাতীয়তাবাদ, গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি, শোষণমুক্ত সাম্যের সমাজ নির্মাণের আদর্শ এবং একটি উন্নত সমৃদ্ধ আধুনিক, প্রগতিশীল সমাজ ও রাষ্ট্রব্যবস্থা নির্মাণের রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক-সামাজিক ও সাংস্কৃতিক দর্শনের ভিত্তি রচনা করে আওয়ামী লীগ। যার প্রেক্ষিতে ১৯৫৫ সালের কাউন্সিলে ধর্মনিরপেক্ষ নীতি গ্রহণের মাধ্যমে অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক দল হিসেবে ‘পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ’ নামকরণ করা হয়।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দেশের শুধু প্রাচীন ও সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দলই নয়, বাংলাদেশের রাজনীতির মূলধারাও। স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ইতিহাস একসূত্রে গাঁথা। ১৯৪৮ সালে বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে সূচিত ভাষা আন্দোলন ১৯৫২ সালে গণজাগরণে পরিণত হয়। অব্যাহত রাজনৈতিক নিপীড়নের শিকার তরুণ সংগ্রামী জননেতা শেখ মুজিবুর রহমান সেই সময়ে কারান্তরালে থেকেও ভাষা আন্দোলনে পালন করেন প্রেরণাদাতার গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা। ভাষা আন্দোলনের বিজয়ের পটভূমিতে ১৯৫৪ সালে প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন যুক্তফ্রন্টের কাছে মুসলিম লীগের হয় শোচনীয় পরাজয়। পূর্ব বাংলায় আওয়ামী লীগ সরকার নিশ্চিত করে এক মুক্ত গণতান্ত্রিক পরিবেশ। আওয়ামী লীগের উদ্যোগেই মাতৃভাষা বাংলা অন্যতম রাষ্ট্রভাষার আনুষ্ঠানিক রাষ্ট্রীয় মর্যাদা লাভ করে। ২১শে ফেব্রুয়ারি ঘোষিত হয় জাতীয় ছুটির দিন ‘শহীদ দিবস’। আওয়ামী লীগ সরকারের উদ্যোগেই কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের নির্মাণকাজ প্রায় সম্পন্ন হয়। প্রতিষ্ঠিত হয় বাংলা একাডেমি। মন্ত্রিত্ব ত্যাগ করে জনগণের নেতা শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বভার গ্রহণ করে তৃণমূল পর্যায়ে দলীয় সংগঠন গড়ে তোলার কাজে আত্মনিয়োগ করেন। এরপর আইয়ুবের এক দশকের স্বৈরশাসন-বিরোধী আন্দোলন, ’৬২ ও ’৬৪-এর শিক্ষা আন্দোলন, ’৬৬-এর ঐতিহাসিক ৬-দফা আন্দোলন, ’৬৮-এর আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা, ’৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থান, ৬-দফাভিত্তিক ’৭০-এর নির্বাচনে ঐতিহাসিক বিজয়, ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর “এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম” খ্যাত কালজয়ী ভাষণ ও পরবর্তীতে পাকিস্তানি শাসকদের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলন, ২৫ মার্চের কালরাতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী কর্তৃক ইতিহাসের নৃশংসতম গণহত্যার পর ২৬ মার্চে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বাঙালি জাতি স্বাধীন জাতি-রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। অবশেষে দীর্ঘ ৯ মাসের এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে ৩০ লাখ শহীদের রক্ত আর ২ লাখ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অভ্যুদয় ঘটে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের।
স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় ঐক্যের রূপকার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বাঙালি জাতির স্বতন্ত্র জাতি-রাষ্ট্র ও আত্মপরিচয় প্রতিষ্ঠার সুমহান ঐতিহ্যের প্রতীক। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন বঙ্গবন্ধুর সরকার স্বাধীনতার মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় যুদ্ধ-বিধ্বস্ত বাংলাদেশকে যখন অর্থনৈতিক মুক্তির সংগ্রামে নিবেদিত ঠিক তখনই স্বাধীনতা বিরোধীচক্র আন্তর্জাতিক শক্তির সহায়তায় ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করে।
১৯৮১ সালের ১৭ মে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা দেশে ফিরে আসেন। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা নবউদ্যমে সংগঠিত হয়। জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বাঙালি জাতির হারানো গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরুদ্ধারের এক নবতর সংগ্রামের পথে যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের পথপরিক্রমায় অনেক অশ্রু, ত্যাগ আর রক্তের বিনিময়ে বাঙালি জাতি ফিরে পায় ‘ভাত ও ভোটের অধিকার’। আজ বঙ্গবন্ধু-কন্যা, রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে ও সুদক্ষ রাষ্ট্র পরিচালনায় সুশাসন, স্থিতিশীল অর্থনীতি, কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি, উন্নয়নে গতিশীলতা, ডিজিটাল বাংলাদেশ, শিক্ষার প্রসার, স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণ, কর্মসংস্থান, বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী, খাদ্য নিরাপত্তা, নারীর ক্ষমতায়নসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে যুগান্তকারী উন্নয়নের ফলে বিশ্বের বুকে বাংলাদেশকে একটি আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে উন্নীত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ সফলভাবে উৎক্ষেপণ এবং সাবমেরিনের মালিকানা অর্জনের মধ্য দিয়ে জল-স্থল-মহাকাশ জয় করেছে বাংলাদেশ।
আওয়ামী লীগের ইতিহাস, বাঙালি জাতির গৌরবোজ্জ্বল অর্জন ও সংগ্রামের ইতিহাস। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাসহ বাঙালি জাতির যা কিছু শ্রেষ্ঠ অর্জন, তার মূলে রয়েছে জনগণের এই প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্ব। জন্মলগ্ন থেকে এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের শক্তির উৎস জনগণ, শক্তির উৎস সংগঠনের তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। এ দেশের সকল গণতান্ত্রিক-প্রগতিশীল আন্দোলনের সাহসী মিছিলের নাম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। জনগণের ভেতর থেকে উত্থিত একটি প্রগতিশীল সংগ্রামী রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগ হচ্ছে সমাজের অগ্রসর চিন্তা-চেতনা, আদর্শ, লক্ষ্য ও কর্মসূচি বাস্তবায়নের অগ্রবাহিনী। নেতা-কর্মীদের ইস্পাতদৃঢ় মনোবল এবং ঐক্যবদ্ধতার ফলে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্র সফল হয়নি, কোনোদিন হবেও না। আওয়ামী লীগের নিযুত নেতাকর্মীরা আজ বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ।
সাত দশকের লড়াই-সংগ্রামের অভিযাত্রায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বাংলার মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার ও অর্থনৈতিক মুক্তির অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য নিরন্তর সংগ্রাম অব্যাহত রেখেছে। আওয়ামী লীগের অর্জিত সাফল্যের ধারাবাহিকতায় বাংলার জনগণ বিশ্বাস করে নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই বাংলাদেশ একটি উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে।
- মণিপুরে সংঘাতের আবহে মিয়ানমার সীমান্ত কাঁটাতারে ঘিরে ফেলছে ভারত
- ইউক্রেনের ‘বিজয় পরিকল্পনা’ প্রস্তুত, বলছেন জেলেনস্কি
- সিন্ধু নদ চুক্তি : পাকিস্তানকে নোটিশ দিলো ভারত
- ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি দখলদারত্ব বন্ধে ভোট দিলো বাংলাদেশ
- আরও তিনদিন ভ্যাপসা গরম থাকতে পারে
- চলতি অর্থবছরেই ২ বিলিয়ন ডলার দেবে বিশ্বব্যাংক: মার্টিন রেইজার
- সব সংকট কাটিয়ে ফের চালু কর্ণফুলী পেপার মিল
- হজরত আদম (আ.) এর দোয়া
- প্রতিরোধের চেষ্টায় জয়সওয়াল-পান্ট জুটি
- শাহ আমানতে আড়াই কোটি বৈদেশিক মুদ্রাসহ যাত্রী আটক
- নিউইয়র্কে ড. ইউনূসের সঙ্গে মোদির বৈঠক হচ্ছে নাঃ হিন্দুস্তান টাইমস
- ‘শুধু বলতে চাই, যা ক্ষতি হওয়ার হয়েছে’
- লেবাননে হামলার বিষয় আগেই যুক্তরাষ্ট্রকে জানিয়েছিল ইসরায়েল
- সংবিধান সংস্কার কমিশনের নতুন প্রধান আলী রীয়াজ
- এইচএসসির ফল প্রকাশ হতে পারে অক্টোবরের মাঝামাঝি
- পিআইবির ডিজি হলেন ফারুক ওয়াসিফ
- এস আলম গ্রুপের সম্পত্তি বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে রিট
- প্রাথমিকভাবে শহিদ পরিবার পাবে ৫ লাখ টাকা, আহত ব্যক্তি ১ লাখ
- সেচ্ছাশ্রমে ভাঙন রোধের চেষ্টা কালজানি নদী পাড়ের বাসিন্দাদের
- কৃষি গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষার নতুন তারিখ ঘোষণা
- কুড়িগ্রামে দিনব্যাপী স্পেশাল হেলথ ক্যাম্পেইনে
- নতুন দুই উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ পেল জাবি
- তরুণরা আমার বই পড়ে অভ্যুত্থানের দিকনির্দেশনা পেয়েছে : ফরহাদ মজহার
- সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতার সুফল ভোগ করবে জনগণ
- সুইস ব্যাংকে জমা অবৈধ সম্পদ ফেরাতে সহযোগিতার আহ্বান
- অনুপস্থিত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- জাপানি নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সেনাপ্রধানকে অনুরোধ
- কোলেস্টরেল নিয়ন্ত্রণ করে পেয়ারা
- ফিরে আসছে লঘুচাপ, যেদিন থেকে ফের অঝোরে ঝরবে বৃষ্টি
- নবী-রাসূলগণের কাজ: কোরআনের বর্ণনায়
- নিবন্ধন পেল এবি পার্টি
- বিএনপিতে বহিষ্কার আতঙ্ক!
- বিএডিসি খামারে ৩০০ একর জমিতে আউশের বীজ চাষ
- শামা ওবায়েদ ও শহিদুল ইসলাম বাবুলের দলীয় পদ স্থগিত
- রাষ্ট্রপতির দণ্ড মওকুফ পাওয়াদের তালিকা চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ
- দিনাজপুরের সেতাবগঞ্জ চিনিকলে পুনরায় আঁখ মারাই চালু করার দাবি
- ভাসমান পদ্ধতিতে লাউ চাষ করে লাখপতি রুবেল
- বিএনপির মিডিয়া সেল থেকে কাদের গনি চৌধুরীকে অব্যাহতি
- ২৪ ঘণ্টায় একে একে মারা গেল চার নবজাতক
- সাজঘরে তিন পাকিস্তানি ব্যাটার, বাংলাদেশের উড়ন্ত সূচনা
- পাকিস্তানকে চাপে রেখে প্রথমদিন শেষ করল বাংলাদেশ
- মাসুদের বিদায় পর জীবন পেলেন বাবর
- আওয়ামী লীগ নেতা পান্নাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়: এনডিটিভি
- নীলফামারীতে সাবেক এমপি-ওসিসহ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা
- উয়েফার কাছ থেকে বিশেষ পুরষ্কার পাচ্ছেন রোনালদো
- এইচএসসির বাকি পরীক্ষা হবে না
- বেরোবি অধ্যাপক তুহিন ওয়াদুদকে প্রাণনাশের হুমকি
- স্মৃতিশক্তি বাড়ায় কারি পাতা
- একই স্থানে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান, বিএনপির দু`গ্রুপের সংঘর্ষ
- জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধের আদেশ বাতিল