• মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১০ ১৪৩১

  • || ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

সরকার পতনের ক্ষমতা বিএনপি-জামায়াতের নেই: মাহবুব উল আলম হানিফ

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৮ মার্চ ২০২৩  

 
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, শেখ হাসিনার সরকারের পতন ঘটানোর ক্ষমতা বিএনপি-জামায়াতের নেই। মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি অডিটোরিয়ামে সরকারি অনুদানে নির্মিত ‘মাইক’ চলচ্চিত্রের বিশেষ প্রদর্শনীতে অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ সরকারের অনুদানে নির্মিতব্য পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রথম শিশুতোষ চলচ্চিত্র ‘মাইক’ চলচ্চিত্রের যাত্রা শুরু হয়েছে। তরুণ লেখক, কলামিস্ট ও সংগঠক এফ এম শাহীনের প্রযোজনায় চলচ্চিত্রটি যৌথভাবে পরিচালনা করছেন এফ এম শাহীন ও হাসান জাফরুল (বিপুল)।

মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া দল। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা ক্ষমতায় আছি। এই সরকারের পতন ঘটানোর শক্তি বিএনপি জামায়াত বা একাত্তরের পরাজিত শক্তি, তাদের দোসর কারো নেই। তাদের আন্দোলন আগেও বিফলে গেছে, আবারো বিফলে যাবে।

‘গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হবে’ বিএনপি নেতা খন্দকার মোশরফ হোসেনের এমন বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্ম এখন অনেক সচেতন। তারা ইতিহাস জানে। তারা জানে এই বিএনপি একাত্তরের পরাজিত শক্তি পাকিস্তানের দোসর হিসেবে কাজ করছে। এরা স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাস করে না, দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতির বিরুদ্ধে। আন্দোলন, গণঅভ্যুত্থান করে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটানো যাবে না। তারা সরকারের পতন ঘটানোর ক্ষমতা রাখে না।

মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, জাতির পিতার ৭ মার্চের ভাষণই মূলত স্বাধীনতার ঘোষণা। কারণ ভাষণের পরই গোটা বাঙালি জাতি যুদ্ধের প্রস্তুতি নেয়া শুরু করেছিল।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ছিল জাতি, দেশ সৃষ্টি করার ভাষণ। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের অনুপেরণা। বিশ্বখ্যাত এ ভাষণের সঙ্গে অন্য ভাষণের তুলনা হতে পারে না। এই ভাষণ পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ ভাষণগুলোর মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ভাষণ হিসেবে বিবেচিত হবে।

এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক আবদুস সবুর, শিক্ষা ও মানবসম্পদ সম্পাদক শামসুন্নাহার চাপা, কার্যনির্বাহী সদস্য অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ এবং কবি অসীম সাহা উপস্থিত ছিলেন।