• রোববার ০৪ জুন ২০২৩ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ২১ ১৪৩০

  • || ১৪ জ্বিলকদ ১৪৪৪

সর্বশেষ:
রেল দুর্ঘটনা রোধে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে: প্রধানমন্ত্রী মাদকের সঙ্গে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না: র‍্যাব ডিজি দা‌য়িত্ব পালনে ত্রিপলিতে বাংলাদেশের নব‌নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত সরকারের পদক্ষেপের ফলে দেশে চায়ের উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা বাড়াচ্ছি: পরিকল্পনামন্ত্রী

চা শ্রমিকদের দেখাশোনার দায়িত্ব সবার: প্রধানমন্ত্রী

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৮ আগস্ট ২০২২  

চা শ্রমিকদের দেখাশোনার দায়িত্ব সবার: প্রধানমন্ত্রী                      
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, চা শ্রমিকরা কঠোর পরিশ্রম করেন। খেটে খাওয়া এই মানুষগুলোর ভালো মন্দ দেখার দায়িত্ব আমাদের সবার। গতকাল শনিবার (২৭ আগস্ট) গণভবনে চা শ্রমিকদের দাবি নিয়ে মালিকপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে বসেন বাংলাদেশ চা সংসদের ১৩ প্রতিনিধিসহ চা বোর্ডের প্রতিনিধিরা। দুই ঘণ্টার বেশি সময় আলোচনায় সরকারপ্রধান পুঙ্খানুপুঙ্খ পর্যালোচনা করেন প্রত্যেকটি খুঁটিনাটি বিষয়। সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ৫০ টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত দেন বঙ্গবন্ধু কন্যা। বাগান মালিকদের বৈঠকের পর দৈনিক মজুরি ১৭০ টাকা করার ঘোষণা আসে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাস মহামারির কারণে সবাই ক্ষতিগ্রস্ত, তবে এই অংশের মানুষ যারা খুব পরিশ্রম করে, তাদের সঠিকভাবে যত্ন নিতে হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, তারা (চা শ্রমিক) খুব কঠোর পরিশ্রম করে এবং মালিকরা উপার্জন করে, তাদের সুস্থতার দেখাশোনা করা সকলের দায়িত্ব।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৫৭ সালে চা বোর্ডের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেন এবং নাগরিকত্ব নেই এমন শ্রমিকদের নাগরিকত্ব প্রদান করেন।

তিনি চা বাগানের শ্রমিকদের অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দিয়েছেন বলেও প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের ’৯৬ থেকে ২০০১ শাসনামলে চা শিল্পের গুরুত্ব বিবেচনা করে আরও কিছু সুযোগ-সুবিধা দিয়েছিলেন। তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার সিলেট ও চট্টগ্রাম থেকে পঞ্চগড়, কুড়িগ্রাম, ঠাকুরগাঁও, লালমনিরহাটসহ দেশের অন্যান্য স্থানে চা বাগান সম্প্রসারণের উদ্যোগ নিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব আহমদ কায়কাউস জানান, প্রধানমন্ত্রী শ্রমিকদের ভালো থাকার বন্দোবস্ত করতে বদ্ধপরিকর। সবমিলে দৈনিক প্রায় ৫০০ টাকা পাবেন তারা।

তিনি বলেন, সবকিছু আলোচনার পর যেটি হয়েছে, সেটি হলো শ্রমিকদের পক্ষে প্রধানমন্ত্রী নির্ধারণ করে দিয়েছেন ১৭০ টাকা। অন্য সব সুবিধা আনুপাতিক হারে বেড়ে প্রায় সাড়ে ৪০০ বা ৫০০ টাকার মতো দৈনিক পড়বে।

এর আগে, শনিবার (২৭ আগস্ট) বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে চা শিল্প মালিকদের বৈঠকে চা শ্রমিকদের জন্য দৈনিক মজুরি ১৭০ টাকা নির্ধারণ করেন।

বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নৃপেন পাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, পুরো শ্রমিক জাতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মুখের দিকে তাকিয়ে ছিল। তিনি মজুরি ঘোষণা করেছেন, শ্রমিকরা মেনে নিয়েছে। আমরা কাজে ফিরে যাবো। তিনি মানসম্মত মজুরি নির্ধারণ করে দিয়েছেন। তার প্রতি আমরা চির কৃতজ্ঞ।

দৈনিক মজুরির ৩০০ টাকার দাবিতে গত ৯ আগস্ট থেকে চার দিন দুই ঘণ্টা করে কর্মবিরতি ও ১৩ আগস্ট থেকে সারা দেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট পালন করে আসছিলেন চা শ্রমিকরা।