• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

সফল বাস্তবায়নের পথে রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৭ অক্টোবর ২০২২  

যুদ্ধের ডামাডোলে স্যাংশনের (নিষেধাজ্ঞা) গ্যাঁড়াকল এড়িয়ে সফল বাস্তবায়নের পথে রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পটি। বিনিয়োগের অর্থ কিংবা ঋণের টাকা আর্থিক কোনো চ্যানেলেই আপাতত ঝুঁকি দেখছে না বাংলাদেশ।

বিপর্যয় এড়াতে সব বন্দোবস্ত রয়েছে বলেও দাবি সরকারের। তবে রূপপুরের বিদ্যুৎ ব্যবহারে সময়মতো সঞ্চালন লাইন নির্মাণের ইস্যুটি 'সমস্যা হয়ে উঠতে পারে' বলেও আশঙ্কা আছে কিছু ক্ষেত্রে।

দেখতে দেখতে অর্ধযুগের নির্মাণযজ্ঞ পেরিয়ে দেশের প্রথম পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের অগ্রগতি এখন ৫০ শতাংশ পেরিয়েছে।

পরমাণু থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সূক্ষ্ম প্রযুক্তির এ প্রকল্পটি নির্মাণ করছে রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত পরমাণু সংস্থা রোসাটম। এর ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান অ্যাটমস্ট্রয়এক্সপোর্ট৷

রূপপুর নিয়ে অনেকে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের শঙ্কার কথা বললেও নির্মাতারা অভয় দিয়ে বলছেন, রিঅ্যাক্টর জোনের তিনশ মিটারের বাইরে নিরাপদ সবাই। তবুও প্ল্যান্টের ২০ কিলোমিটারের মধ্যে ২৩টি রেডিয়েশন মনিটরিং স্টেশন স্থাপিত হবে এবং বিপর্যয় থেকে মানুষকে সাবধান করতে থাকবে ৪৫টি অ্যানাউন্সিং সিস্টেম।

রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ প্রকল্পের পরিচালক ড. শৌকত আকবর বলেন, ‘৩০০ মিটারের পর জনগণ বসবাস করতে পারবে। নকশা এমনভাবে করা হয়েছে যে কোনো পরিস্থিতিতে ৩০০ মিটারের পর বর্তমানে যে ব্যাকরাউন্ড রেডিয়েশন আছে, তার চেয়ে বেশি হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আমরা মনিটর করছি যে, আদৌ রেডিয়েশন বাড়ছে কি না।’

৯০ শতাংশ রুশ ঋণ আর বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব বিনিয়োগে দুটি পরমাণু ইউনিট বানাতে খরচ হচ্ছে মোট ১ লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকা। বিপুল এ অর্থের বিষয়ে সব সমালোচনার জবাবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমানের সাফ জবাব, দুই দেশেরই লেনদেনের বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্ক ও ইতিবাচক রয়েছে সরকার।

তিনি জানান, ব্যয় বাড়ানোর কোনো সুযোগ নেই এ প্রকল্পে। একটা ফ্রেমের মধ্যে বাধা যে, এত টাকার মধ্যে আমরা এ কাজটি করব। আবার বলছি এখানে টাকা বাড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা তো দেখছেন কাজ চলছে।

ব্যয় নিয়ে রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ প্রকল্পের পরিচালক ড. শৌকত আকবর বলেন, ঋণ পরিশোধ শুরু হবে দুটি ইউনিটের কমার্শিয়াল অপারেশনের দুই বছর উন্নীত হওয়ার পর।

তবে সনাতন গ্রিডে চলা বাংলাদেশ রূপপুরের বিদ্যুৎ সঞ্চালনে কতটুকু সক্ষম হবে–সেই প্রশ্ন যেমন থেকে যাচ্ছে, তেমনি সময়মতো গ্রিড না বানালে ব্যয়বহুল এই প্রকল্পের সুফল সবার কাছে পৌঁছে দিতে না পারার দায় এককভাবে নিতে নারাজ বিজ্ঞান মন্ত্রণালয়।

বিজ্ঞানমন্ত্রী বলেন, আমি এখানে বিদ্যুৎ বিক্রি করব, যারা কিনবেন তাদের তো একটা প্রস্তুতির ব্যাপার আছে, সেখানে তো আমরা কোনো কথা বলতে পারি না।

দুটি ইউনিটে ইউরেনিয়াম বা পারমাণবিক জ্বালানি ব্যবহারের মাধ্যমে এখান থেকে টেকসই বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্য নিয়েই এগোচ্ছে নীতিনির্ধারকরা।