যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নীতিতে বিপর্যয়ের মুখে বিএনপি
– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –
প্রকাশিত: ২৬ মে ২০২৩

ড. সেলিম মাহমুদ
যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নীতির কারণে আওয়ামী লীগের জন্য কোনো সমস্যা সৃষ্টি হবে না। তবে এই নতুন নীতির ফলে বিএনপি'র ষড়যন্ত্রের রাজনীতি বিপর্যয়ের মধ্যে পড়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত ৪২ বছর ধরে বাংলাদেশে গণতন্ত্রের সংগ্রাম চলছে। শেখ হাসিনা এই দেশে গণতান্ত্রিক সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়ে গণতন্ত্র ও সংবিধানবিরোধী শক্তিকে পরাস্ত করেছেন, তিনি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেছেন, একটি টেকসই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে নির্বাচন ব্যবস্থায় আমূল সংস্কার করেছেন। মূলতঃ চারটি কারণে যুক্তরাষ্ট্রের এই নতুন নীতির প্রেক্ষিতে বিএনপির রাজনীতি বিপর্যয়ের মধ্যে পড়েছে।
প্রথমত, বিগত বছরগুলোতে বিএনপি'র রাজনীতির মূল লক্ষ্য ছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন আদায় করা। বিএনপি বলে আসছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাই তাদের ক্ষমতায় আসার একমাত্র পথ। এই তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠিত না হলে তারা কোনো নির্বাচনে যাবে না। এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে তাদের সকল রাজনৈতিক কৌশল ও কার্যক্রম চলমান ছিল। তারা বলে আসছিল, আওয়ামী লীগ সরকার কিংবা দলীয় সরকারের অধীনে তারা আর কোন নির্বাচনে যাবে না। যুক্তরাষ্ট্রের এই নতুন নীতিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বিএনপি'র আন্দোলনের প্রতি সহায়ক কিংবা সহানুভূতিশীল কোন বক্তব্য নেই। এই নীতিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার কোন স্বীকৃতি নেই। এছাড়া কিছুদিন পূর্বে আওয়ামী লীগের সাথে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের যে আলোচনা হয়েছিল সেখানে পিটার হাস সুস্পষ্ট ভাবে বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে তাদের কোনো আগ্রহ নেই।ফলে বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিষয়টি ভেস্তে গেল। বিএনপির নির্বাচনী কৌশল এবং তার আন্দোলন কার্যক্রমের ক্ষেত্রে এটি বড় ধরনের একটি বিপর্যয়।
দ্বিতীয়ত, বিগত বছরগুলোতে বিএনপি দেশের মাঠের রাজনীতি ছেড়ে বিদেশি ষড়যন্ত্রের ওপর সম্পূর্ণরূপে নির্ভরশীল হয়েছিল। দেশের সব স্থানীয় সরকার নির্বাচন বর্জন করে তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত রাজনীতির মাঠ ছেড়ে শুধুমাত্র বিদেশি ষড়যন্ত্রের ওপর নির্ভর করে তারা ক্ষমতায় আসতে চেয়েছিল। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় বিদেশে পাচার করা হাজার হাজার কোটি টাকা তারা বিদেশে লবিস্টদের মাধ্যমে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে খরচ করেছিল। রাজনীতির মাঠ ছেড়ে ঢাকায় রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিকদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছে। তাদের রাজনীতির ধরণ ও কৌশল এমনভাবে উপস্থাপন করেছিল যে, কিছু মানুষ মনে করেছিল কয়েকজন রাষ্ট্রদূত তাদের ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে। গত কয়েক বছর তারা প্রচার করে আসছিলো যে, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে স্যাংশন দিয়ে সরকারকে বিপর্যস্ত করে তারা ক্ষমতায় আসবে। তাদের এত দিনের রাজনীতির অন্যতম বিষয়বস্তু ছিল 'স্যাংশন'। সাম্প্রতিককালে দেশে-বিদেশে অবস্থানরত তাদের তথ্য সন্ত্রাসীরা স্যাংশন নিয়েই মাতামাতি করছিল। তাদের নীতি নির্ধারণী পর্যায়সহ সব পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ তাদের বক্তব্যে যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর স্যাংশনের ওপরেই বার বার জোড় দিচ্ছিল। তাদের বক্তব্য ছিল, স্যাংশন এসে সব উলট পালট করে দেবে। কিন্তু স্যাংশন আসলো না। তার পরিবর্তে যা আসলো তাতে তারা নিজেরাই বিপদে পড়ল। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের এই নতুন নীতির মূল বক্তব্যই হচ্ছে নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে কোনোভাবেই বাধাগ্রস্ত করা যাবে না। এটি বিএনপির জন্য একটি বড় বাধা কারণ তারা নির্বাচন ব্যবস্থা ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করতে চায়।
তৃতীয়ত, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিএনপি বলে আসছিল যে, নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া শেখ হাসিনার অধীনে কোন নির্বাচনে তারা যাবে না। তাদের নেতারা সব বক্তৃতা বিবৃতিতে এটা বলে আসছিল, শেখ হাসিনার অধীনে বাংলাদেশে আর কোন নির্বাচন তারা হতে দেবে না। এই নির্বাচন তারা যেকোনো মূল্যেই প্রতিহত করবে। ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারির নির্বাচন প্রতিহত করতে গিয়ে তারা এদেশে আগুন সন্ত্রাস করেছিল। শেখ হাসিনার অধীনে আর কোন নির্বাচন নয়- এটিই ছিল তাদের শেষ কথা। শেখ হাসিনার সরকারের অধীনেই বাংলাদেশে নির্বাচন হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নীতি অনুযায়ী নির্বাচন প্রতিহত করার যে কোন কার্যকলাপ বিধি-নিষেধের আওতায় পড়ছে। এর ফলে নির্বাচন প্রতিহত করার বিএনপি'র কোন উদ্যোগ আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কোনো ধরনের সহায়তা পাবে না। অন্যদিকে, বিএনপি কিংবা অন্য কোনো শক্তির বাংলাদেশে নির্বাচন প্রতিরোধ করার কোনো উদ্যোগকে পশ্চিমা বিশ্ব সহায়তা করবে না -এ বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে গেল। এক কথায় বলতে গেলে, শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন প্রতিরোধ করার বিএনপির সব ষড়যন্ত্র ভেস্তে গেল।
চতুর্থত, গত কয়েক বছর ধরে বিএনপি এবং সুশীল সমাজের কিছু লোক এটি বলে আসছিল যে, বাংলাদেশে বিএনপি নির্বাচনে না আসলে এই নির্বাচন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে অংশগ্রহণমূলক হবে না। পশ্চিমা বিশ্বের কিছু কিছু দেশও এই প্রোপাগান্ডার কারণে একই ধরনের মনোভাব পোষণ করতো। এর কারণে বিএনপি প্রায়ই নির্বাচন বর্জনের হুমকি দিয়ে আসছিল। তারা বলেছিল, বিএনপি নির্বাচন বর্জন করলে সে নির্বাচন আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য হবে না কারণ এই নির্বাচন 'অংশগ্রহণমূলক' হবে না। যুক্তরাষ্ট্রের এই নতুন নীতির ফলে বাংলাদেশ নিয়ে পশ্চিম বিশ্বের নীতিতে একটি বড় পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিএনপি নির্বাচনে না আসলে এই নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না- এই ধরনের কোনো বিষয় যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নীতিতে নেই। বিএনপি নিজে থেকে নির্বাচন বর্জন করলে এই নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে না- এই বক্তব্য সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নীতির ফলে বিএনপি নির্বাচন বর্জন করলে পশ্চিমা বিশ্বের কোনো সমর্থন তারা পাবে না- এটি পরিষ্কার। মোটা দাগে বলতে গেলে, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নীতির কারণে বিএনপির নির্বাচন বর্জনের ষড়যন্ত্র ভেস্তে গেল। পাশাপাশি শেখ হাসিনার অধীনে এদেশে কোন নির্বাচন হবে না, বিশেষ করে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ভন্ডুল হয়ে যাবে- এরকম অপপ্রচার যারা করছিল যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নীতির কারণে তাদের ষড়যন্ত্র নস্যাৎ হয়েছে।
- ফ্রিল্যান্সারদের বিদেশি আয়ে ১০ শতাংশ উৎসে কর প্রযোজ্য নয়: এনবিআর
- নীলফামারীতে মসজিদের ভেতরে সন্ত্রাসী হামলায় দুই মুসল্লি আহত, আটক ২
- মস্তিষ্কের বিশ্রামে যা করবেন
- অবাধ-নিরপেক্ষ নির্বাচনের চ্যালেঞ্জ নিতে চাই: সিইসি
- কিশোরগঞ্জে প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে জন্ম নেওয়া শিশুর মাকে উপহার
- ডোমারে সর্বজনীন পেনশন স্কিম বাস্তবায়নে মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
- বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দল নিয়ে আশাবাদী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
- রাণীশংকৈল অটোরিকশার ধাক্কায় শিশুর মৃত্যু, আহত ৪
- একরাতেই মেয়ে থেকে ছেলে হলো লিয়া!
- ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিলেন পূজা
- ভারতে দূতাবাস কার্যক্রম বন্ধ করেছে আফগানিস্তান
- জানা গেল বিশ্বকাপের মাসকটের নাম
- ভালো খেলেন মেহজাবিন
- সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনায় কন্যা শিশুরা গুরুত্ব পাচ্ছে: ইন্দিরা
- সরকার খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের বিষয়ে যথেষ্ট আন্তরিক: তথ্যমন্ত্রী
- পর্যটনের বিকাশে গণমাধ্যমকে ভূমিকা রাখার আহ্বান
- ওজু করলে যেভাবে গুনাহ ঝরে যায়
- একদিনের সফরে রংপুরে পুলিশের এসবি প্রধান মনিরুল ইসলাম
- নীলফামারীতে ওয়ার্কার্স পার্টির লাল পতাকা মিছিল ও পথসভা
- উন্নয়নের ক্ষেত্রে কোনো বিভাজন চলবে না: রাষ্ট্রপতি
- ২ দিন বন্ধের পর হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি শুরু
- ২৪ বছর পর ধরলা নদীতে নৌকা বাইচ দেখতে মানুষের ঢল
- ঘুরে আসুন দেশের একমাত্র পাথরের জাদুঘরে
- ক্লাবের অনুশীলনে ফিরেছেন আন্তোনি
- পর্নোগ্রাফি ম্যাগাজিনে জাহ্নবীর ছবি, হুমড়ি খেয়ে দেখছে সবাই
- অজু করলে যেভাবে গুনাহ ঝরে যায়
- দেশে সব ধর্মের নাগরিকদের সমান অধিকার: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
- শেখ হাসিনার সুদৃষ্টিতে পাহাড়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে
- চট্টগ্রাম-কক্সবাজার পরীক্ষামূলক ট্রেন চলবে ১৫ অক্টোবর
- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন আপসহীন নেত্রী
- আমরা স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশ করতে পারছি: হুইপ স্বপন
- শীঘ্রই সব মিশনে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম চালু হবে
- কোরআন মুখস্থ করার সহজ ও সেরা উপায়
- স্ত্রীর পরকীয়ার জেরে স্বামীর আত্মহত্যা
- ঠাকুরগাঁওয়ে ডিসেমিনেশন সেমিনার অনুষ্ঠিত
- খুব কাছের বন্ধু হিসেবে জি২০ সম্মেলনে বাংলাদেশ
- নীলফামারীতে জুয়ারি-সাজাপ্রাপ্ত আসামি-ডাকাতসহ গ্রেফতার ৩১
- প্রধানমন্ত্রী নিউইয়র্ক যাচ্ছেন আজ
- ট্রাকের ধাক্কায় ইজিবাইচালক নিহত, আহত ২
- চোটই নেইমারের বড় শত্রু
- ৭ মিনিটে পদ্মা সেতু পাড়ি দিলো ট্রেন
- কুড়িগ্রামে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবকের মৃত্যু, আহত ১
- জন্মাষ্টমী উপলক্ষে কাহারোলে "শ্রী শ্রী কান্তজিউ যুগল বিগ্রহ"
- ডেঙ্গু জ্বর: নীলফামারীতে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৩ জন শনাক্ত
- মহাত্মা গান্ধীর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা প্রধানমন্ত্রীর
- বিদেশিদের কাছে ধরনা দিয়ে বিএনপির লাভ হবে না: খাদ্যমন্ত্রী
- অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের জন্য বিশাল সুখবর
- ‘মশারি কিনতে পারে না, এমন মানুষ আছে বলে জানা নেই’
- শেয়ার-নেট বাংলাদেশ ৮ম এসআরএইচআর নলেজ ফেয়ার অনুষ্ঠিত
- কাপড়ের রং ব্যবহার, চানাচুর ফ্যাক্টরিকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা