• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাস, আজ ৭৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেছেন। বন্যায় দুবাই এবং ওমানে বাংলাদেশীসহ ২১ জনের মৃত্যু। আন্তর্জাতিক বাজারে আবারও বাড়ল জ্বালানি তেল ও স্বর্ণের দাম। ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

রাতে ঘুমানোর আগে যে আমল করবেন

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৯ অক্টোবর ২০২২  

ঘুম আল্লাহর অনুগ্রহ ও নেয়ামত।  আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে এরশাদ করেন, ‘তোমাদের নিদ্রাকে করেছি ক্লান্তি দূরকারী।’ (সুরা নাবা, আয়াত : ০৯)

রাতে ঘুমানোর আগে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি আমল হলো- ১. ‘তিনকুল’ পড়ে ফুঁ দেওয়া: দুই হাতের তালু একত্রে মিলিয়ে সুরা ইখলাস, সুরা ফালাক ও সুরা নাস পড়ে তাতে ফুঁ দেবে। তারপর দুই হাতের তালুর মাধ্যমে দেহের যতোটা অংশ সম্ভব— মাসেহ করবে। মাসেহ শুরু করবে— মাথা, মুখমণ্ডল ও দেহের সামনের দিক থেকে (এভাবে ৩ বার করবে)। (বুখারি, হাদিস : ৫০১৭)

২. আয়াতুল কুরসি পড়া: প্রিয় নবী হযরত মুহম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি শোয়ার সময় আয়াতুল কুরসি পড়বে, শয়তান সারারাত তার কাছে আসবে না।’ (বুখারি, হাদিস : ২৩১১)

৩. সুরা বাকারার শেষ ২ আয়াত: রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি রাতে সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াত (আ-মানার রাসুলু বিমা–) তেলাওয়াত করবে, এটা তার জন্য যথেষ্ট হবে।’ (বুখারি, হাদিস : ৪০০৮)

৪. সুরা কাফিরুন পাঠ করা: প্রিয় নবী হযরত মুহম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘রাতে (কুল ইয়া আইয়্যু হাল কা-ফিরুন) (অর্থাৎ সুরা কা-ফিরুন) পাঠ করা শিরক থেকে মুক্তি পেতে উপকারী।’ (সহিহ তারগিব, হাদিস : ৬০২)

৫. ‘কোরআনের এক-তৃতীয়াংশ’ পাঠ: একবার আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার সাহাবাদের বললেন, ‘তোমাদের কেউ কি এক রাতে এক তৃতীয়াংশ কোরআন পড়তে অসমর্থ হবে?’ এতে সকলকে বিষয়টি ভারী মনে করল। বলল, এই কাজ আমাদের মধ্যে কে পারবে— হে আল্লাহর রাসুল!? তখন তিনি বললেন, ‘সুরা ইখলাস হলো- এক-তৃতীয়াংশ কোরআন। (বুখারি, হাদিস : ৫০১৫)

৬. ডান হাত গালের নিচে রেখে দোয়া পড়া: আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন ঘুমানোর ইচ্ছা করতেন, তখন তার ডান হাত তার গালের নিচে রাখতেন, তারপর এ দোয়াটি বলতেন—

ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺑِﺎﺳْﻤِﻚَ ﺃَﻣُﻮﺕُ ﻭَﺃَﺣْﻴَﺎ

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা বিসমিকা আমু-তু ওয়া আহ্ইয়া

অর্থ : হে আল্লাহ্! আপনার নাম নিয়েই আমি মরছি (ঘুমাচ্ছি) এবং আপনার নাম নিয়েই জীবিত (জাগ্রত) হব। (বুখারি, হাদিস : ৬৩২৪)

৭. তাসবিহের আমল করা: আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার মেয়ে ফাতিমা (রা.) ও জামাতা  হযরত আলী (রা.)- কে বলেন, ‘আমি কি তোমাদের এমন কিছু বলে দেবো না— যা তোমাদের জন্য খাদেম অপেক্ষাও উত্তম হবে? যখন তোমরা তোমাদের বিছানায় যাবে, তখন তোমরা ৩৩ বার সুবহানাল্লাহ, ৩৩ বার আলহামদুলিল্লাহ্ এবং ৩৪ বার আল্লাহু আকবার বলবে; তা খাদেম অপেক্ষাও তোমাদের জন্য উত্তম হবে।’ (বুখারি, হাদিস : ৩৭০৫)

৮. সুরা মুলক পাঠ করা: মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যাক্তি প্রত্যেক রাতে তাবারকাল্লাযী বিইয়াদিহিল মুলক (সুরা মূলক) পাঠ করবে— এর মাধ্যমে মহিয়ান আল্লাহ্ তাকে কবরের আজাব থেকে রক্ষা করবেন।’ ( তিরমিজি, হাদিস : ২৮৯০)

মহান আল্লাহ আমাদের এই আমলগুলো করার তাওফিক দিন এবং আমাদের সর্বোত্তম সওয়াব ও প্রতিদান দিন। আমিন।