• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

জুমার দিনে রোজার বিধান

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩  

জুমা সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিন। আল্লাহ তাআলার কাছে জুমার গুরুত্ব এত বেশি যে, পবিত্র কোরআনে ‘জুমা’ নামে একটি সূরা নাজিল করা হয়েছে। জুমা দিনের সওয়াব-মর্যাদা ঈদুল ফিতর ও আজহার মতো। মুসলমানদের কাছে এ দিন অপরিসীম ফজিলতের।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন- ‘যে দিনগুলোতে সূর্য উদিত হয়, ওই দিনগুলোর মধ্যে জুমার দিন সর্বোত্তম। ওই দিন আদমকে (আ.) সৃষ্টি করা হয়েছে। ওই দিন তাকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হয় এবং ওই দিনই তাকে জান্নাত থেকে বের করে দেওয়া হয়। আর ওই দিনই কেয়ামত অনুষ্ঠিত হবে।’

জুমার দিন তাড়াতাড়ি এবং সবার আগে মসজিদে যাওয়ার অনেক ফজিলত রয়েছে। হাদিসে এসেছে, জুমার দিন জুমার নামাজের জন্য যে যত তাড়াতাড়ি মসজিদে আসবে সে তত বেশি সওয়াব পাবে।

এ বিষয়ে রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যখন জুমার দিনে আসে; ফেরেশতারা মসজিদের দরজায় দাঁড়িয়ে প্রথম থেকে পর্যায়ক্রমে আগন্তুকদের নাম লিখতে থাকে। যে সবার আগে আসে সে ওই ব্যক্তির মতো যে একটি উট সদকা করে। তারপর যে আসে সে ওই ব্যক্তির মতো যে একটি গাভী সদকা করে। তারপর আগমনকারী মুরগি সদকাকারীর মতো। তারপর আগমনকারী একটি ডিম সদকাকারীর মতো। এরপর যখন ইমাম খুতবা দিতে বের হন, তখন ফেরেশতারা তাদের দফতর বন্ধ করে দেন এবং মনোযোগ  দিয়ে খুতবা শুনতে থাকেন।’ (বুখারি, হাদিস: ৮৮২)।

জুমার দিন কেউ রোজা রাখতে চাইলে পারবে। কিন্তু যদি কেউ শুধু জুমার দিনকে রোজা রাখার জন্য নির্দিষ্ট করে নেয় তাহলে তা উচিত হবে না। আলেমদের মতে, জুমার দিনে রোজা রাখা নিষেধ নয় তবে এককভাবে জুমার দিনকে রোজা রাখার জন্য নির্দিষ্ট করাও উচিত নয়।

হজরত আবু হুরায়রাহ (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, জুমার দিন কেউ যেন রোজা পালন না করে। কিন্তু যদি কেউ জুমার দিনের আগে বা পরে একদিন রোজা পালন করে তাহলে সে জুমার দিন রোজা পালন করতে পারে। ( মেশকাতুল মাসাবিহ, ১৮৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন ২৫৫০)।

এই হাদিসের মাধ্যমে বুঝানো হয়েছে,  কোনো মুসলিম ব্যক্তির জন্য এটা জায়েজ নয় যে, সে শুধু শুক্রবারে বা জুমার দিনে রোজা রাখবে।

আল্লাহ আমাদেরকে সঠিক বুঝ দান করুন। আমিন।