• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

তারাবি-তাহাজ্জুদ নামাজের পার্থক্য ও ফজিলত

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৯ মার্চ ২০২৩  

 
আরবি ‘তারাবিহ’ শব্দটির মূল ধাতু ‘রাহাতুন’ অর্থ আরাম বা বিশ্রাম করা। রমজান মাসের সিয়াম সাধনার বিশেষ অনুষঙ্গ হলো এই তারাবি নামাজ। তবে তারাবি নামাজ তাহাজ্জুদ (কিয়ামুল লাইল) এর অন্তর্ভুক্ত। এ দুইটি পৃথক কোনো নামাজ নয়, যেমনটি অনেক সাধারণ মানুষ ধারণা করে থাকেন। বরং রমজান মাসে যে ‘সালাতুত তারাবি’ পড়া হয় সেটাকে  ‘তাহাজ্জুদ’ বা কিয়ামুল লাইল বা বিরতিপূর্ণ নামাজ বলা হয়।

কারণ সালাফে সালেহিন (সাহাবি, তাবেয়ী, তাবে-তাবেয়ীগণের প্রজন্ম) যখন এই নামাজ আদায় করতেন তখন তারা প্রতি দুই রাকাত বা চার রাকাত অন্তর বিরতি নিতেন।

তাহাজ্জুদের নামাজের যে ফজিলত, তারাবিও একই ফজিলত। তবে রমজান মাসে রাতের নামাজ তথা তারাবির বিশেষ মর্যাদা রয়েছে। যেমন-


তারাবির নামাজ সুন্নাতে মুয়াক্কাদা। রাসূলুল্লাহ (সা.) তারাবির নামাজে অংশ নিতেন। কিন্তু পরবর্তীকালে তা ফরজ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় জামাতে অংশ নেননি। তবে তিনি ঘরে তারাবির সময় নামাজ আদায় করতেন। রাসূলুল্লাহ (সা.) নিজে তারাবির জামাতে অংশ না নিলেও উম্মতকে তারাবির প্রতি উৎসাহিত করেছেন। তিনি বলেছেন-

‘যে ব্যক্তি ঈমানের সঙ্গে ও পরকালের আশায় রমজানের রাতে কিয়ামুল লাইল (তারাবি) আদায় করবে, তার অতীতের পাপ মার্জনা করা হবে।’ (নাসায়ি, হাদিস: ২২০৫)

‘যে ব্যক্তি রমজানের রোজা রাখবে এবং তারাবি আদায় করবে, সে আল্লাহর কাছে সত্যবাদী ও শহিদদের কাতারভুক্ত বলে গণ্য হবে।’ (সহি ইবনে হিব্বান)

‘যে ব্যক্তি রমজানে ঈমানের সঙ্গে সওয়াবের আশায় রাতে নামাজ পড়ে, আল্লাহ তার পূর্বের গুনাহগুলো ক্ষমা করে দেবেন।’ (সহিহ বুখারি: ৩৭)