• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

ঘূর্ণিঝড়ের সময় রাসূল (সা.) যেসব দোয়া করতেন

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৩ মে ২০২৩  

মহান রাব্বুল আলামিন বিভিন্ন সময় নানা প্রতিকূল পরিস্থিতি দিয়ে আমাদের পরীক্ষা করে থাকেন এবং দেখেন আমরা তার কতটুকু অনুগত। এ প্রসঙ্গে পবিত্র কোরআনে তিনি বলেন, ‘যিনি সৃষ্টি করেছেন মৃত্যু ও জীবন, তোমাদের পরীক্ষা করার জন্য- কে তোমাদের মধ্যে কর্মে উত্তম? তিনি পরাক্রমশালী, ক্ষমাশীল।’ (সুরা মুলক, আয়াত: ২)

ঘূর্ণিঝড় মোখাও আমাদের জন্য একটি বড় পরীক্ষা। তাই অতিবৃষ্টি, ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস এবং বন্যা ও অন্যান্য দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি থেকে বাঁচতে মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করা চাই। পাশাপাশি সম্ভবপর ব্যবস্থা ও আশ্রয় নেয়া আবশ্যক।

প্রাকৃতিক দুর্যোগ, বিপর্যয় ও প্রতিকূল অবস্থায় রাসুল (সা.) খুব বিচলিত হয়ে পড়তেন এবং আল্লাহর শাস্তির ভয় করতেন। এ জন্য ঘূর্ণিঝড় মোখা’র আগমনে আমাদেরও ওই দোয়াগুলোর প্রতি যত্নবান হওয়া উচিত।

জোরে বাতাস প্রবাহিত হলে এই দোয়া পড়া-

‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা খাইরাহা, ওয়া আউযুবিকা মিন শাররিহা’

অর্থ: হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে এর কল্যাণটাই কামনা করি। এবং আপনার কাছে এর অনিষ্ট থেকে আশ্রয় চাই। (আবু দাউদ ৪/৩২৬, হাদিস : ৫০৯৯)

গর্জনের সময় এই দোয়া পড়া-

‘সুবহানাল্লাজি ইউসাব্বিহুর রা`দু বিহামদিহি ওয়াল মালাইকাতু মিন খিফাতিহি’

অর্থ: পাক-পবিত্র সেই মহান সত্তা- তার প্রশংসা পাঠ করে বজ্র এবং সব ফেরেশতা।

হজরত আব্দুল্লাহ ইবন যুবাইর রা: যখন মেঘের গর্জন শুনতেন, তখন কথা বলা বন্ধ করে দিতেন এবং পবিত্র কুরআনের ওপরের এই আয়াতটি তেলাওয়াত করতেন।

ঝড়-বাতাসের অনিষ্ট থেকে সুরক্ষা পেতে এই দোয়া পড়া-

‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা মিন খাইরি হাজিহির রিহি ওয়া খাইরা মা ফিহা ওয়া খাইরা মা উরসিলাত বিহি, ওয়া আউযুবিকা মিন শাররিহা, ওয়া শাররি মা ফিহা ওয়া শাররি মা উরসিলাত বিহি’

অর্থ: হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে প্রার্থনা করি এর কল্যাণ, এর মধ্যকার কল্যাণ এবং যা এর সাথে প্রেরিত হয়েছে তার কল্যাণ। আর আমি আপনার আশ্রয় চাই এর অনিষ্ট থেকে, এর ভেতরে নিহিত অনিষ্ট থেকে এবং যা এর সঙ্গে প্রেরিত হয়েছে তার অনিষ্ট থেকে। (বুখারি, ৪/৭৬, হাদিস : ৩২০৬ ও ৪৮২৯)

ঝড়-তুফানের সময় কি আজান দেয়া যাবে?

আমাদের দেশে প্রচলিত ঝড়ের সময় আজান দেয়ার বিষয়টি প্রমাণিত নয়, যদিও যথাস্থানে আজান দেয়া ইসলামের অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি নিদর্শন। হাদিসের উদ্ধৃতি দিয়ে যে কথাটির প্রচলন তার কোনো ভিত্তি নেই; বরং এরূপ সময়ে নামাজে দাঁড়িয়ে, সেজদায় আল্লাহর কাছে দোয়া করাই মুমিনের কাজ। (দারুল উলুম দেওবন্দের ফতোয়া, নম্বর : ১৬২৭৬৪)