• শুক্রবার ০৪ অক্টোবর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ১৮ ১৪৩১

  • || ২৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইসলামে ন্যায়বিচার ও সুশাসন

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৯ আগস্ট ২০২৪  

সমাজে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান ও নিরাপত্তা বিধানে ন্যায়বিচার ও সুশাসন অপরিহার্য। মানবিকতা, ন্যায়নীতি ও সুবিচার ইসলামের প্রধান বৈশিষ্ট্য।

পবিত্র কোরআন মজিদে আল্লাহর পরিচয় দেওয়া হয়েছে, ‘তিনি বিচার দিবসের মালিক।’ (সুরা-১ ফাতিহা, আয়াত: ৩) 

‘আল্লাহ কি বিচারকদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ বিচারক নন।’ (সুরা-৯৫ ত্বিন, আয়াত: ৮)

‘তিনিই শ্রেষ্ঠ বিচারক।’ (সুরা-১২ ইউসুফ, আয়াত: ৮০)

 ইসলাম পরিপূর্ণ জীবন বিধান এবং ‘আল্লাহর নিকট একমাত্র গ্রহণযোগ্য জীবনবিধান।’ (সুরা-৩ আলে ইমরান, আয়াত: ১৯)

সুবিচার প্রাপ্তি সব নাগরিকের অধিকার ও ন্যায়বিচার আল্লাহর হুকুম ফরজ ইবাদত।

আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে মুমিনগণ! আল্লাহর উদ্দেশ্যে ন্যায় সাক্ষ্যদানে তোমরা অবিচল থাকবে, কোনো সম্প্রদায়ের প্রতি বিদ্বেষ তোমাদের যেন কখনো সুবিচার বর্জনে প্ররোচিত না করে, সুবিচার করবে, ইহা তাকওয়ার নিকটতর।’ (সুরা-৫ মায়িদা, আয়াত: ৮)

ইসলামি বিধানের উদ্দেশ্য হলো মানবকল্যাণ তথা জীবন সুরক্ষা, সম্পদ সুরক্ষা, জ্ঞান সুরক্ষা, বংশপরম্পরার পবিত্রতা সুরক্ষা এবং এসবের মাধ্যমে ধর্ম সুরক্ষা। হাশরের দিন যাঁরা আল্লাহর আরশের ছায়ায় স্থান পাবেন, তাঁদের মধ্যে প্রথম হলেন ‘ন্যায়পরায়ণ শাসক’।

ন্যায়ের বিধান সর্বকালের ও সব সমাজের জন্য কাম্য। 

হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘সাত ধরনের ব্যক্তিকে আল্লাহ তাআলা তাঁর (আরশের) ছায়ায় স্থান দেবেন, যেদিন তাঁর ছায়া ছাড়া কোনো ছায়া থাকবে না। ন্যায়বান শাসক, আল্লাহর ইবাদতে আনন্দ পাওয়া যুবক, ওই ব্যক্তি যার অন্তর মসজিদের সঙ্গে যুক্ত থেকে বের হওয়ার পর ফিরে আসা পর্যন্ত, এমন দুই ব্যক্তি যারা আল্লাহর জন্য একে অন্যকে মহব্বত করে, এরই ওপর একত্র হয় এবং এরই ওপর পৃথক হয়, এমন ব্যক্তি যাকে সম্ভ্রান্ত সুন্দরী রমণী (অন্যায়) আহ্বান করলেও সে বলে, আমি আল্লাহকে ভয় করি, এমন লোক যারা এমন গোপনে দান করে, তার ডান হাত কী দান করল তা তার বাঁ হাত জানতে পারে না, আর ওই ব্যক্তি যে নির্জন–নিভৃতে আল্লাহকে স্মরণ করে তার দুচোখ অশ্রুসিক্ত হয়।’ (মুত্তাফাকুন আলাইহি-বুখারি: ৬৬০, মুসলিম: ১০৩১, তিরমিজি: ২৩৯১)