চাষাবাদ অব্যাহত থাকায় দুর্ভিক্ষ মোকাবিলা করতে হয়নি: পলক

চাষাবাদ অব্যাহত থাকায় দুর্ভিক্ষ মোকাবিলা করতে হয়নি: পলক                 
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার দূরদর্শিতা দিয়ে উপলব্ধি করেছিলেন দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দু’টি সম্পদ। একটি হচ্ছে সোনার মানুষ; অপরটি সোনার মাটি। এই মাটিতে কৃষকদের সোনার ফসল ফলানোর জন্য করোনাভাইরাসের মহামারিতে খাদ্য সংকট না হওয়ায় দুর্ভিক্ষের মোকাবিলা করতে হয়নি।

বুধবার কৃষি প্রণোদনার আওতায় নাটোরের সিংড়া উপজেলার ১৩ হাজার ৯০০ ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার বোরো ধানের বীজ ও সার বিতরণ অনুষ্ঠানে অনলাইনে যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন তিনি।

সিংড়া উপজেলা সহকারী ভূমি কমিশনার আল-ইমরানের সভাপতিত্বে এতে সিংড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সেলিম রেজা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ অ্যাডভোকেট ওহিদুর রহমান শেখ ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যানসহ এলাকার কৃষকরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলার লক্ষ্যে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী কৃষি এবং কৃষকদের উন্নয়নে বিভিন্ন কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করে বাস্তবায়ন করছেন।

তিনি বলেন, সার, বীজসহ কৃষি উপকরণ ও সেচের জন্য নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করেছেন। এতে কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে এবং দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে। চলনবিলের কৃষকদের শস্য উৎপাদন বেড়ে দেড় গুণ হয়েছে।

পলক বলেন, ১৩ বছর আগে বাংলাদেশ খাদ্য ঘাটতির দেশ ছিল, সেচের পানির জন্য কৃষকদের হাহাকার করতে হয়েছিল। ১৯৯১ থেকে ’৯৬ ও ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে ন্যায্যমূল্যে সার, তেল ও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পাওয়ার অধিকার আদায়ের জন্য আন্দোলন করার অপরাধে কৃষকদেরকে জীবন দিতে হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের কৃষকদেরকে একটি উন্নত জীবন উপহার দিয়েছেন।

পরে প্রতিমন্ত্রী সিংড়া উপজেলার কৃষকদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর উপহার ধানের বীজ ও সারসহ কৃষি উপকরণ বিতরণ করেন।