• মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১০ ১৪৩১

  • || ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

গুগল-অ্যামাজন-মেটায় কর্মী ছাঁটাইয়ের প্রতিযোগিতা!

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৭ জানুয়ারি ২০২৩  

‘গুগল’ থেকে ‘অ্যামাজন’, ‘মাইক্রোসফট’ থেকে ‘টুইটার’ আমেরিকাসহ বিশ্বজুড়ে চলছে কর্মী ছাঁটাই! এ যেন কর্মী ছাঁটাইয়ে যেন প্রতিযোগিতা। প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর এম ছাঁটাইয়ের খবরে ভীত কর্মীরা।

পরিসংখ্যান বলছে, গত বছর বিশ্বব্যাপী ৭০ হাজারেরও বেশি কর্মীকে ছাঁটাই করেছে একাধিক বহুজাতিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান। এ বছরও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। কিন্তু আমেরিকায় তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে এত মানুষের একসঙ্গে ছাঁটাই হওয়ার মধ্যে অন্য তাৎপর্য রয়েছে।

করোনা মহামারির পর  ‘অ্যামাজন’ এক ধাক্কায় ১৮ হাজার কর্মীকে বিদায় জানিয়েছে। ‘গুগল’-এর প্রধান সংস্থা ‘অ্যালফাবেট’ থেকে চাকরি হারাতে যাচ্ছে ১২ হাজার কর্মী। ‘মেটা’ থেকে চাকরি হারাচ্ছে ১১ হাজার মানুষ, ‘টুইটার’-এ ৪ হাজার। এ ছাড়াও ‘নেটফ্লিক্স’, ‘টেসলা’, ‘রবিন হুড’, ‘কয়েনবেস’ বা ‘স্পটিফাই’-এর মতো অপেক্ষাকৃত ছোট সংস্থাতেও বহু মানুষ বেকার হয়েছেন। 

বিশেষজ্ঞদের মতে, মহামারি পর থেকে ব্যবসার একটি মৌলিক ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। তা হল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স) ক্রমাগত বেড়ে চলা। ‘মাইক্রোসফট’, ‘গুগল’-এর মতো সংস্থা যেখানে বিনিয়োগ ক্রমাগত বৃদ্ধি করছে। কিন্তু আগে বিজ্ঞাপন বা অন্যান্য ক্ষেত্র থেকে যে বিপুল আয় এই সংস্থাগুলোর হত, তা কমতির পথে। স্বভাবতই কর্মী ছাঁটাই করে সেই অর্থ দিয়ে গবেষণার পথে হাঁটছে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো।

আমেরিকার অর্থনীতিও এই মুহূর্তে খরচ কমানোর কথাই বলছে। কারণ করোনা উত্তর বিশ্বে সম্ভাব্য মন্দার কথা ভেবে উদ্বেগে আছে সবাই। এর ফলে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো কর্মী ছাঁটাইয়ের মিশনে নেমেছে।

এছাড়া করোনা মহামারির পর থেকে আমেরিকায় এমন বহু মানুষ চাকরি ছেড়েছেন, যারা ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ থেকে অফিসে ফিরতে চাইছেন না। এদিকে আইফোনের নির্মাতারা ভবিষ্যৎ আঁচ করে আগে থেকেই কর্মী নিয়োগে বাঁধ দিয়েছিল। ফলে কর্মীর সংখ্যা কখনোই বাড়াবাড়ির পর্যায়ে পৌঁছায়নি।