• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

স্মার্টফোনের প্রতি মানুষের আসক্তি, ক্ষুব্ধ প্রথম মোবাইল আবিষ্কারক

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১ এপ্রিল ২০২৩  

বর্তমান যুগে মোবাইল ফোনের প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য। অত্যাধুনিক মোবাইল ফোন এবং তার ব্যবহারের গভীর প্রভাব পড়েছে সমাজ জীবনেও। এই প্রজন্মের মোবাইল ব্যবহার দেখে অবাক হয়ে যাচ্ছেন মোবাইল ফোনের অন্যতম জনক। তার নাতি-নাতনির বয়সীদের মোবাইল আসক্তি রীতিমতো চমকে দিয়েছে আমেরিকার এই ইঞ্জিনিয়ারকে।

প্রায় ৫০ বছর আগের কথা। প্রথম মোবাইল ফোন তৈরি করেন মার্কিন ইঞ্জিনিয়ার মার্টিন কুপার। সেই ফোনের সঙ্গে আজকের মোবাইলের আকাশ-পাতাল তফাৎ। সে সময়ের প্রযুক্তির কথা ভাবলে সেই আবিষ্কারের গুরুত্ব ছিল অপরিসীম। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা এএফপি-কে মোবাইল ফোনের ব্যবহার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বর্তমানে লোকজন মোবাইলে আবিষ্ট বলেও মনে করেন তিনি।

মার্টিন কুপারের বক্তব্য, পকেটের ভিতরে থাকা ছোট্ট যন্ত্রটা বহু মুশকিল আসান করে দিতে পারে ঠিকই, কিন্তু মানুষ একটু বেশি মাত্রায় মোহগ্রস্ত হয়ে পড়েছে! তিনি বলেন, ‘লোকজন সারা দিন ফোনের দিকে তাকিয়ে। এমন হবে ভাবিনি!’

সম্প্রতি ক্যালিফোর্নিয়ার ডেল মারেতে নিজের দফতরে বসে একটি সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ৯৪ বছর বয়সি কুপার বলেন, ‘মন ভেঙে যায়, যখন দেখি কেউ মোবাইল ফোন দেখতে দেখতে রাস্তা পার হচ্ছেন। কিছু মানুষ মারা না গেলে কারও বোধ আসবে না।’ সে-ও কি হয়নি! হয়েছে। তারপরেও যন্ত্রমুগ্ধ মানুষ আবিষ্ট হয়ে রয়েছে মোবাইল ফোন ও তার ভার্চুয়াল জগতে।

‘ফাদার অব দ্য সেল ফোন’ এখন ব্যবহার করেন অ্যাপলের তৈরি আইফোন। আইফোনের সাম্প্রতিকতম ভার্সনই থাকে তার হাতে। সঙ্গে থাকে অ্যাপল ওয়াচও। এই সব ফোনে লাখ লাখ অ্যাপ রয়েছে। তার খুব কমই ব্যবহার করেন বলে জানিয়েছেন তিনি। মোবাইল ব্যবহারের ব্যাপারে তিনি বলেছেন, ‘আমার নাতি ও তার কনিষ্ঠরা যেভাবে মোবাইল ব্যবহার করে আমি তা কোনো দিনই বুঝি না।’

কুপার এ-ও বলেন, ‘আজ যে মোবাইল ফোনের জাদুতে মজে রয়েছে মানুষ, তা-ও এক সময় থাকবে না। প্রতিটি প্রজন্ম আরও বুদ্ধি ধরবে, প্রযুক্তি আরও অনেক উন্নত হবে।’ সত্যিই তো তাই। ৫০ বছর আগে যে যন্ত্র তিনি আবিষ্কার করেছিলেন, সেটাই কি আর আগের মতো আছে!

কুপার যে ফোন বানিয়েছিলেন তার সঙ্গে আজকের ফোনের প্রযুক্তিগত বিস্তর ফারাক রয়েছে। ১৯৭৩ সালের ৩ এপ্রিল তিনি যে মোবাইল দেখিয়েছিলেন গোটা বিশ্বকে তা ছিল অনেক ভারী, শক্ত এবং তার ভিতর ছিল জটিল সার্কিটে ভর্তি। আজকের হালকা, পাতলা মোবাইল দেখে নিজের আবিষ্কারের জয়যাত্রা প্রত্যক্ষ করছেন তিনি। যদিও এর ব্যবহারের ধরন খুশি করতে পারেনি তাকে।