• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

ফেবারিট হয়েই ওয়ানডে মিশনে নামছে বাংলাদেশ

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৫ আগস্ট ২০২২  

ফেবারিট হয়েই ওয়ানডে মিশনে নামছে বাংলাদেশ                      
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে নিজেদের আধিপত্য বজায় রেখে আজ দুপুরে মাঠে নামছে টিম বাংলাদেশ। আগের পাঁচ সিরিজে জিম্বাবুয়ানদের তুলোধুনো করা তামিমের দল ফেবারিটের তকমা নিয়েই নামবে মাঠে।

শুক্রবার বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টা ১৫ মিনিটে হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে শুরু হবে ম্যাচটি। দেশের জনপ্রিয় টিভি চ্যানেল টি-স্পোর্টস খেলাটি সরাসরি সম্প্রচার করবে।
 
এই মুহূর্তে ওয়ানডেতে বিশ্বের সেরা দল বাংলাদেশ। ২০১৯ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর নয়টি দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলেছে টাইগাররা। এর মধ্যে সাতটিতেই জিতেছে তারা। ২০১৯ সালে শ্রীলংকা ও ২০২১ সালে নিউজিল্যান্ডের কাছে দু’টি সিরিজ হারে লাল সবুজের দল।

এবারের জিম্বাবুয়ে সফরে নেই সাকিব আল হাসান। টি-টোয়েন্টি সিরিজের সময়ও তাকে নিয়ে হয়েছে অনেক কথা। সাকিবকে নিয়ে কথা হতেই পারে। কারণ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সবশেষ ওয়ানডে সিরিজে তিনিই হয়েছিলেন সিরিজসেরা। 

তিন ম্যাচে ১৪৫ রান ও ৮ উইকেট দখলের কৃতিত্ব দেখান সাকিব। তিন ম্যাচেই অলরাউন্ড নৈপুণ্য দেখান তিনি।

এবার আর সাকিব নেই। তাই তাকে মিস করবে দল। তবে আশার কথা আগের সিরিজে যিনি শেষ ম্যাচে দল জেতানো সেঞ্চুরি উপহার দিয়েছিলেন, সেই তামিম ইকবাল আছেন। তার নেতৃত্বেই কয়েক ঘন্টা পর ওয়ানডে সিরিজে মাঠে নামবে বাংলাদেশ।

সঙ্গে আছেন লিটন দাসও। এ স্টাইলিশ ব্যাটারও সবশেষ সিরিজের প্রথম ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান। এক বছর আগে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে না থাকা মুশফিকুর রহিম খেলবেন এ সিরিজে। মিস্টার ডিপেন্ডেবলের ফেরাটাও অনেক বড় স্বস্তি।

আজ দুপুরে বাংলাদেশ যখন তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথমটি খেলতে নামবে তখন তাদের নজর থাকবে জয়ের সংখ্যাটা ২০’এ নেয়া। সব মিলিয়ে পরিসংখ্যানে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৭৮টি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে ৫০টিতে জিতেছে টাইগাররা। হেরেছে ২৮টিতে।

কিন্তু বাংলাদেশের জয়ের ধারাকে কি আটকাতে পারবে টি-২০ সিরিজ জয় করা জিম্বাবুয়ে? প্রশ্নটি অবশ্যই তাড়া করবে বাংলাদেশি ভক্তদের। অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে এখন বেশি সংঘবদ্ধ এবং দৃঢ় প্রতিজ্ঞ এক দল জিম্বাবুয়ে।

জিম্বাবুয়ের কাছে টি-২০ সিরিজ হারকে অসম্মানজনক বলে অভিহিত করে খেলোয়াড়দের দিকে আঙ্গুল তুলেছেন দলের পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজন। তিনি জানান, দলের জয়ের জন্য ঝুঁকি নিয়ে না খেলে নিজের জায়গা ধরে রাখার জন্য খেলেছেন তারা। আজ সুজনের এ কথার জবাব কী দিতে পারবে তামিমরা।

বাংলাদেশ: 
তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), লিটন দাস, এনামুল হক বিজয়, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, আফিফ হোসেন, নুরুল হাসান সোহান, মেহেদী হাসান মিরাজ, নাসুম আহমেদ, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান, হাসান মাহমুদ, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও তাইজুল ইসলাম।

জিম্বাবুয়ে: 
ক্রেইগ আরভিন (অধিনায়ক), রেগিস চাকাভা (উইকেটরক্ষক), তানাকা চিভাঙ্গা, লুক জংওয়ে, ইনোসেন্ট কাইয়া, ওয়েসলে মাধেভেরে, তাদিওয়ানশে মারুমানি, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা, টনি মুনিয়োঙ্গা, রিচার্ড এনগারাভা, ভিক্টর নিয়ুচি, সিকান্দার রাজা, মিল্টন শুম্বা ও শন উইলিয়ামস।