• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচে যাদের দিকে থাকবে দৃষ্টি

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২ নভেম্বর ২০২২  

বাংলাদেশ-ভারত লড়াই মানেই দুই দেশের কাটাতারের সীমান্তে উত্তেজনার পারদ। ভারত-পাকিস্তান লড়াই থেকে কোনো অংশেই পিছিয়ে নেই প্রতিবেশী দুই দেশের মহারণ। আর লড়াই যদি হয় টি-টোয়েন্টিতে তবে তো কথাই নেই। চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কল্যাণে আরেকবার দুই দেশের দ্বৈরথ দেখার সুযোগ পাচ্ছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুপার টুয়েলভের গ্রুপ-২ এর চতুর্থ ম্যাচে ২ নভেম্বর বিকাল ২ টায় মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ ও ভারত। সমান চার করে পয়েন্ট নিয়ে সেমিফাইনালের হাতছানি দুই দলের সামনে।

বিশ্বকাপে নিজেদের ইতিহাসে সেরা সময় কাটানো বাংলাদেশ নির্ভার হয়ে মাঠে নামবে। অধিনায়ক সাকিব আল হাসান বলেই দিলেন, ভারতই ফেভারিট। কিন্তু তার দাবির সঙ্গে একমত নয় ভারতীয় কোচ রাহুল দ্রাবিড়। বাংলাদেশের বিপক্ষে নিজেদের ফেভারিট মানতে নারাজ তিনি।

সীমিত সংস্করনের এই লড়াইয়ে নামার আগে শুরু হয়ে গেছে অনেক হিসেব-নিকেশ। কোন দলের জেতার সম্ভাবনা বেশি, কারা ঘুরিয়ে দিতে পারেন ম্যাচের মোড়, এ নিয়ে বিস্তর আলোচনা হচ্ছে। 

মুখোমুখি লড়াইয়ের আগে দেখে নেওয়া যাক দুই দলের শক্তিমত্তা, বর্তমান পরিস্থিতি ও কে হতে পারেন জয়ের   ট্রাম্পকার্ড।

টি-টোয়েন্টিতে এর আগে ১১ বার ভারতের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ।  তাতে ১০ বারই জয়ী দলের নাম ভারত।  একবার জিতেছে বাংলাদেশ। বিশ্বকাপের ইতিহাসে তিনবার মুখোমুখি হয় দুই দল। তাতে তিনবারই জয়ী দলের নাম ভারত।  

সবশেষ ২০১৬ সালের বিশ্বকাপে ভারতের কাছে হেরেছে বাংলাদেশ। এর আগে ২০০৯ ও ২০১৪ সালে দুইবার হারতে হয়েছে সাকিব আল হাসানের দলকে।

আর যদি টি-টোয়েন্টিতে সবশেষ পাঁচবার দুই দলের মুখোমুখির হিসেব ধরা হয়, সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের এক জয়ের বিপরীতে চারবার জিতেছে ভারত। দুই দলের সাম্প্রতিক সময়ের পারফর্ম্যান্সেও এগিয়ে ভারত।  নিজেদের সবশেষ খেলা পাঁচ টি-টোয়েন্টিতে ভারত জিতেছে তিন ম্যাচ, তার বিপরীতে বাংলাদেশের জয় দুটি।

বর্তমান শক্তিমত্তা ধরা হলে আগামীকালের ম্যাচে লড়াই হতে পারে জমজমাট। বাংলাদেশের পক্ষে বাজির ঘোড়া হতে পারেন পেসার তাসকিন আহমেদ। চলতি আসরে নিজের সেরা ফর্মে রয়েছেন তাসকিন। অস্ট্রেলিয়ার কন্ডিশন কাজে লাগিয়ে গতি, সুইংয়ে নাকাল করছেন ব্যাটারদের। সুপার টুয়েলভে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকার তারই সাক্ষ্য দেয়।

ব্যাটারদের কথা বললে লিটন হতে পারেন আশার আলো। ভারতের বিপক্ষে লিটনের পরিসংখ্যান খুব ভালো।  সাম্প্রতিক ফর্ম বিবেচনায় নাজমুল হোসেন শান্তকেও মাথায় রাখতে হবে। আফিফ হোসেন জ্বলে উঠলে ভালো একটা সংগ্রহ পেতে পারে বাংলাদেশ।  মিডল অর্ডারকে এই ম্যাচে ক্লিক করতে হবে।

ভারতের দিক থেকে নতুন করে কিছু বলার নেই। ব্যাটিং লাইনের যে কেউ একবার দাঁড়িয়ে গেলেই বাংলাদেশ কাবু। বিরাট কোহলি, লোকেশ রাহুল কিংবা সুর্যকুমার যাদব; এরা হয়ে উঠতে পারেন রোহিত শর্মার ভরসা। এদের মধ্যে কোহলি আছেন আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় দুইয়ে। ফর্ম কথা বলছে তার হয়ে।

বোলিং বিভাগে ভারতের ভরসা হতে পারেন আর্শদ্বীপ সিং। চলতি আসরে শুরু থেকেই দুর্দান্তভাবে বোলিং বিভাগকে লিড করেছেন এই শিখ তরুণ।  

তার সঙ্গে ভুবনেশ্বর কুমার হয়ে উঠতে পারেন রানের চাকা টেনে ধরার অস্ত্র। মোহাম্মাদ শামীও ভূমিকা রাখছেন যথেষ্ট। সুতরাং বোলিং বিভাগও কম যাবে না, এটুকু বলাই যায়।