• মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১০ ১৪৩১

  • || ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

মরক্কোর রূপকথা থামিয়ে বিশ্বকাপের ফাইনালে ফ্রান্স

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৫ ডিসেম্বর ২০২২  

মরক্কোর রূপকথা থামিয়ে বিশ্বকাপের ফাইনালে ফ্রান্স                      
আফ্রিকার প্রথম দেশ হিসেবে ফিফা বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে এসেছিল মরক্কো। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে ফ্রান্সের বিপক্ষে সর্বোচ্চটা দিয়েই চেষ্টা করেছিল তারা। তবে তাদের রূপকথার গল্পকে থামিয়ে ফাইনালের টিকিট কেটেছে ফরাসিরা।
কাতারের আল বায়েত স্টেডিয়ামে মরক্কোকে ২-০ গোলে হারিয়েছে ফ্রান্স। ম্যাচের পুরোটা জুড়ে আধিপত্য দেখিয়েছে মরক্কোই। তবে গোলের খেলা ফুটবলে মূল কাজটাই করতে পারেনি তারা। বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের হয়ে গোল দুটি করেন থিও হার্নান্দেজ ও কোলো মুয়ানি।

বিগত আসরগুলোতে আগেরবারের শিরোপা জয়ী দল বাদ পড়েছিল গ্রুপ পর্বেই। তবে এই মিথকে ভুল প্রমাণ করেছে ফ্রান্স। সেই সঙ্গে অনবদ্য অগ্রযাত্রায় শিরোপা ধরে রাখার মিশন থেকে মাত্র এক পা দূরে তারা।

আগামী ১৮ ডিসেম্বর কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে শিরোপার লড়াইয়ে আর্জেন্টিনার মুখোমুখি হবে ফ্রান্স। ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায়।

ম্যাচে আক্রমণের দিক থেকে ফ্রান্স এগিয়ে থাকলেও বলের দখলে এগিয়ে ছিল মরক্কো। ৫১ শতাংশ সময় বলের দখল রেখে ফরাসিদের গোলমুখে ১৩টি শট নেয় তারা, যেখানে দুটি ছিল লক্ষ্যে।

অন্যদিকে পায়ে বল কম থাকলেও (৩৩ শতাংশ সময়) একেরপর এক আক্রমণ করেছে ফ্রান্স। মরক্কোর জাল লক্ষ্য করে ১৫টি শট নিয়েছে তারা। যেখানে অন টার্গেট ছিল দুটি।

কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অমার্জনীয় এক ভুল করেছিলেন থিও হার্নান্দেজ। ম্যাচের শেষ দিকে ডি বক্সের মাঝে ফাউল করে ইংল্যান্ডকে উপহার দিয়েছিলেন পেনাল্টি। সে যাত্রায় বেঁচে যান তিনি। আর পরের ম্যাচেই পান স্বপ্নের শুরু।

ম্যাচের পঞ্চম মিনিটে গোলের দেখা পান হার্নান্দেজ। যা এই ডিফেন্ডারের ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় গোল। ডি বক্সে এমবাপ্পে গোলের জন্য শট নিলে মরক্কোর এক ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে সেটি হার্নান্দেজের সামনে যায়। এরপর দারুণ দক্ষতায় ফিনিশিং দেন তিনি। 

মিনিট পাঁচেক পর ফরাসিদের রক্ষণে হানা দেন ওনুয়াহি। ১৭ মিনিটে মরক্কোর হাকিম জিয়েশের আরেকটি শট প্রতিহত করেন ফ্রান্সের গোলরক্ষক হুগো লরিস। এর ৩ মিনিট পর চোটের কারণে মাঠ ছাড়েন আফ্রিকার দেশটির অধিনায়ক রোমান সাইস।

বাকি সময়ে একেরপর এক আক্রমণ করতে থাকে ফ্রান্স। ৩৫ মিনিটে সহজতম সুযোগ মিস করেন অলিভার জিরুদ। এমবাপ্পের শত গোললাইন থেকে ক্লিয়ার হওয়ার পর বল পান তিনি। ফাঁকায় থাকায় অনেকটা সময় পেলেও লক্ষ্যভ্রষ্ট শট নেন এই ফরোয়ার্ড।

এর আগে জিরুদের আরেকটি শট গোলপোস্টে লেগে ফিরে আসে। একই ভাগ্য ছিল মরক্কোরও। ৪৪ মিনিটে দলটির বউফলের নেয়া শট বারে লেগে ফেরে। যার ফলে গোলের স্বাদ পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয় অ্যাটলাস সিংহরা। দুই দল বিরতিতে যায় এই ব্যবধানে থেকে।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে আরো উজ্জীবিত ফুটবল খেলতে থাকে মরক্কো। ফ্রান্সের রক্ষণে নিয়মিত বিরতিতে ভীতি ছড়াতে থাকে তারা। তবে কখনো রাফায়েল ভারানে, কখনো ইব্রাহিম কোনাতে বা কখনো আন্তোনিও গ্রিজম্যান এসে আফ্রিকার দেশটির আক্রমণ ঠেকিয়ে দেন।

৭০ মিনিটের দিকে গোলের সুবর্ণ সুযোগ পেয়েও ঠিক সময়ে শট নিতে ব্যর্থ হন মরক্কোর হামাদাল্লাহ। ৭৮ মিনিটে ওসমান ডেম্বেলেকে তুলে রানদাল কোলো মুয়ানিকে নামান ফরাসি কোচ দিদিয়ের দেশম।

মাঠে নামার ৪৪ সেকেন্ডের মাথায় এমবাপ্পের অ্যাসিস্ট থেকে ট্যাপ ইনের মাধ্যমে গোল করেন মুয়ানি। যা বিশ্বকাপে সাবস্টিটিউট হিসেবে কোনো ফরাসির দ্রুততম গোল। এর মাধ্যমে ফ্রান্সের জয় অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যায়।

ম্যাচের বাকি সময়ে মরক্কো আপ্রাণ চেষ্টা চালায়। কিন্তু ফরাসি রক্ষণে ফাটল ধরাতে পারেনি তারা। চলতি আসরে প্রথমবারের মতো কোনো গোল হজম করেনি ফরাসিরা। সেই সঙ্গে পৌঁছে গেছে বিশ্বকাপের ফাইনালে।