• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাস, আজ ৭৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেছেন। বন্যায় দুবাই এবং ওমানে বাংলাদেশীসহ ২১ জনের মৃত্যু। আন্তর্জাতিক বাজারে আবারও বাড়ল জ্বালানি তেল ও স্বর্ণের দাম। ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

অবশেষে বাজারে নতুন পেঁয়াজ, ক্রেতা-বিক্রেতা উভয় খুশি

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২১ নভেম্বর ২০১৯  

ঝিনাইদহের ছয় উপজেলার গ্রামগুলোতে পেঁয়াজ উঠতে শুরু করেছে। এ বছর উপজেলায় প্রচুর পেঁয়াজের চাষ হয়েছে। কৃষকের মুখে হাসি দেখা যাচ্ছে। তবে কৃষকদের অভিযোগ পেঁয়াজ সংরক্ষণের সরকারি ব্যবস্থা থাকলেও অন্য মৌসুমে অধিক দামে বিক্রয় করা যেত।

শৈলকুপার ভাইট, হাটফাজিলপুর, পাইকপাড়া, গাড়াগঞ্জ, কাঁচেরকোল, হরিণাকুণ্ডর জোড়াদাহ, মান্দিয়া বাজারসহ জেলার হাটবাজারগুলোতে বুধবার খুচরা প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১৮০ থেকে ২০০ টাকা দরে বিক্রয় হচ্ছেু। পাইকারি বাজারে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা বিক্রয় হচ্ছে। এদিকে 

দেশের অন্যতম প্রধান পেঁয়াজ উৎপাদনকারী এলাকা শৈলকুপায় আগাম চাষ করা মুড়িকাটা পেঁয়াজ বাজারে উঠতে শুরু করেছে। তবে এগুলোর দামও বেশি এবং পরিমাণও কম। আশা করা হচ্ছে কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই পেঁয়াজের আমদানি বাড়বে।

ঝিনাইদহের কৃষি বিভাগের সূত্রানুযায়ী, এ বছর জেলার ৯০২০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। উপজেলা অনুয়ায়ী সবচেয়ে বেশি শৈলকুপায় সাত হাজার ১৩ হেক্টর জমিতে, সদরে ৫৩৫ হেক্টর জমিতে, মহেশপুরে ৬৮৩ হেক্টর জমিতে, হরিণাকুণ্ডে ৩৫৯ হেক্টর জমিতে, কোটচাঁদপুরে ১৭৪ হেক্টর জমিতে ও কালীগঞ্জে ১৩৯ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষ হয়েছে। 

আগের বছর জেলার ছয় উপজেলায় আট হাজার ৮২০ হেক্টর জমিতে আবাদ করেছিলো চাষিরা। যা লক্ষ্যমাত্রা থেকে ২৪ হেক্টর জমিতে বেশি। আর এ সব জমি থেকে ৬৮ হাজার ৪৪৫ মেট্টিক টন পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছিল। যা জেলার চাহিদা পূরণ করে বাইরের জেলায় রফতানি করা সম্ভব।

শৈলকুপার কৃষক নজরুল ইসলাম বলেন, তিনি এক বিঘা জমিতে মুড়িকাটা পেঁয়াজের আবাদ করেছেন। মাঠ থেকে তুলে মণ প্রতি সাড়ে ছয় হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন। 

কৃষক শাহিনুর রহমান জানান, তিন বিঘা জমিতে পেঁয়াজ চাষ করেছেন। এতে খরচ হয়েছে ৫০ হাজার টাকা। ক্ষেত থেকে তিনশ মণ পেঁয়াজ পাবেন বলে তিনি আশা করছেন। 

সাধুহাটি গ্রামের রমজান এবং কৃষক সাইদুল ইসলাম জানান, প্রতি বিঘায় ১৫ থেকে ১৮ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। একবিঘায় একশ মণ পেঁয়াজ পাচ্ছেন কৃষকরা। কিন্তু সরকারিভাবে পেঁয়াজ সংরক্ষণের কোনো ব্যবস্থা নেই। যে কারণে কৃষকরা পেঁয়াজ সংরক্ষণ করতে পারেন না। তাই অনেক সময় সঠিক মূল্য থেকে বঞ্চিত হন।

জেলার পেঁয়াজ উৎপাদনকারি একাধিক চাষি জানান, আমরা পেঁয়াজ জমি থেকে তুলে আনার পরই বিক্রি জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়ি। কারণ আমাদের রাখার মত কোনো সংরক্ষনাগার নেই। বাড়ির উঠানে, খোলা খামারে কোনো রকম রেখে বিক্রি করতে পারলেই মনে হয় পার পেয়ে যাই, এমন অবস্থা সৃষ্টি হয়। ফলে আমরা সব সময়ই সঠিক মূল্য থেকে বঞ্চিত হই। তাই সংরক্ষনাগার থাকলে সঠিক মূল্য এবং সঙ্কট মোকাবিলা করা সম্ভব হবে।

ঝিনাইদহ কৃষি সম্প্রসারণের অধিদফতরের উপ-পরিচালক জানান, কৃষকের মাঠে থাকা মুড়ি পেঁয়াজ তুলতে শুরু করেছে। মুড়ি পেঁয়াজের পরিমাণ কম হলেও ভাল দাম পেয়ে খুশি হয়েছেন অনেকে। পেঁয়াজ যথাযথভাবে সংরক্ষণের বিষয়ে কৃষকদের প্রতি আহবান জানান।