• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

অভ্যন্তরীণ কোন্দলে টালমাটাল অবস্থা বিএনপির

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৮ নভেম্বর ২০২০  

দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের ফলে টালমাটাল অবস্থায় রয়েছে বিএনপি। ভঙ্গুর সাংগঠনিক কাঠামো ও অদক্ষ নেতৃত্বের কারণে এরই মধ্যে অস্তিত্ব সংকটের মুখে পড়েছে দলটি। এরই মধ্যে দলের চেয়ারম্যানের পদ পরিবর্তন নিয়ে নতুন করে তৃণমূলে শুরু হয়েছে গুঞ্জন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, একদিকে দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক অবস্থান অস্পষ্ট, অন্যদিকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে দলের ভেতর অশান্তি। এ অবস্থায় দলকে বাঁচাতে সংঘবদ্ধ হচ্ছে তৃণমূল। তারা দলের ত্যাগী ও প্রবীণ একজনকে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। 

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির ভেতরে বিভক্তির বিষয়টি এখন তৃণমূল পর্যন্ত উচ্চারিত হচ্ছে। সে কারণেই দলের শীর্ষ নেতারা মনে করছেন, এমন একজন ব্যক্তিকে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেয়া উচিত যিনি সার্বক্ষণিকভাবে দলের দেখভাল করবেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের এক নেতা বলেন, বিদ্যমান পরিস্থিতিতে সাংগঠনিকভাবে বিএনপি নানা সমস্যায় জর্জরিত। দলের শীর্ষ দুই নেতৃত্ব অকেজো হওয়ায় দল চালাতে হিমশিম খাচ্ছে বিএনপির হাইকমান্ড।  

তিনি বলেন, এ অবস্থায় সার্বক্ষণিক নজরদারির জন্য বিএনপির উচিত কাউকে কেয়ারটেকার নিয়োগ করা। যিনি আপদকালীন সময়ে নানা জঞ্জাল পরিষ্কার করে বিএনপিকে একটি সাংগঠনিক অবস্থায় দাঁড় করাবেন। তবে পরিবর্তনের কারণে সেটি শেষ পর্যন্ত সম্ভব হবে কি-না, এ নিয়েও রয়েছে সংশয়।

এ বিষয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও বুদ্ধিজীবীরা বলেন, বিএনপির মধ্যে এখন আর ত্যাগী নেতা নেই। সবাই স্বার্থের জন্য রাজনীতি করে। তবে দলের চেয়ারম্যান হিসেবে যে কয়েকজনের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে, তাদের প্রতিও কারো শ্রদ্ধা ও বিশ্বাস নেই।

তাদের মতে, বিএনপির উচিত ছিল আরো অনেক আগেই দলের ক্ষমতা জিয়া পরিবারের বাইরে কারো ওপর ন্যস্ত করা। দলের শীর্ষ দুই নেতার বিরুদ্ধে মামলা ও তাদের অদক্ষ নেতৃত্বের কারণে দলের এ পরিস্থিতি। বিএনপিকে ঘুরে দাঁড়াতে হলে কেন্দ্রেও বড় সংস্কার দরকার বলে মনে করেন তারা।

জানতে চাইলে বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবী ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, বিএনপির মধ্যে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও মওদুদ আহমেদের মতো নেতাদের কাজ কী? আপদকালীন সময়ে তারা দলের দায়িত্ব ভাগ নিতে পারেন না?