অর্থনীতিতে এগিয়ে বাংলাদেশ, পেছনে ভারত
– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –
প্রকাশিত: ২০ অক্টোবর ২০২০
চলতি ২০২০ সালে ভারতের মাথাপিছু জিডিপি আয় বাংলাদেশের চেয়েও কম হতে পারে। পাশাপাশি, করোনা সঙ্কট কাটিয়ে বিশ্ব অর্থনীতিতে আরও বাড়বে চীনের প্রভাব। এমনই পূর্বাভাস দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। এ খবরে ভারতে চরম প্রতিক্রিয়া হয়েছে। করোনা সংক্রমণ ও অর্থনীতি মোকাবেলায় ব্যর্থ মোদি নতুন করে বিরোধীদের সমালোচনার মুখে পড়েছেন।
আইএমএফ’র ‘ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক’ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। এ বিষয়ে বিশ্ব ব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ কৌশিক বসু টুইট করে বলেছেন, ‘যে কোনও উদীয়মান অর্থনীতি ভাল করছে, সেটি অবশ্যই ভাল খবর। তবে অবাক করে দেয়ার মতো বিষয় হল পাঁচ বছর আগে যে ভারতের অর্থনীতি ২৫ শতাংশ এগিয়ে ছিল এখন তারাই পেছনে পড়ে যাচ্ছে!’ ১৯৯০-এর দশক থেকেই ভারতের স্বপ্ন চীনের দ্রুত সম্প্রসারণকে অনুকরণ করা। তিন দশক ধরে এ অভিযান চালিয়ে যাওয়ার পর বাংলাদেশের পিছনে ছিটকে পড়ার ঘটনা নিশ্চয়ই ভারতের বৈশ্বিক ভাবমর্যাদায় একটি চপেটাঘাত।
পশ্চিমা বিশ্ব চীনের বিপক্ষে একটি অর্থবহ কাউন্টারওয়েট চায়। নিম্ন-মধ্যম আয়ের ফাঁদে আটকা না পড়লে সেই অংশীদারিত্বের বিষয়টি ভারতের ওপরই বর্তায়। তুলনামূলক এ অদক্ষতা আত্মবিশ্বাসও কমিয়ে দিতে পারে। যদি একটি বৃহৎ-শক্তিশালী ও উচ্চাকাক্সক্ষী রাষ্ট্র তার নিজের ছোট্ট একটি প্রতিবেশি, যাদেরকে ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে যুদ্ধে সহায়তা করে স্বাধীন করেছে- তাদের পেছনে পড়ে যায়, এতে দক্ষিণ এশিয়া এবং ভারত মহাসাগর অঞ্চলে তাদের প্রভাব হ্রাস পেতে পারে। আসলে ভুলটি কোথায়? এজন্য করোনভাইরাস মহামারিকে অবশ্যই দোষ দেয়া যায়। বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণ জুনের মাঝামাঝি সময়ে শীর্ষে পৌঁছেছিল। আর ভারতের দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা কেবল এখন কমতে শুরু করেছে। কিন্তু তার আগে অধিকাংশ দেশের রেকর্ডকে ছাড়িয়ে গেছে। সাড়ে ১৬ কোটি জনসংখ্যার বাংলাদেশে করোনায় ৫ হাজার ৬শ’রও কম মৃত্যু নথিভুক্ত হয়েছে। আর ৮ গুণ বেশি জনসংখ্যার দেশ ভারতে বাংলাদেশের চেয়ে করোনায় ২০ গুণেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সবচেয়ে খারাপ খবরটি হল, আইএমএফ জানিয়েছে, করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে ভারতের আরোপিত কঠোর লকডাউন প্রকৃত উৎপাদনের ১০ দশমিক ৩ শতাংশ হ্রাস করে দেবে। এটি করোনার কারণে বিশ্বব্যাপী অর্থনীতিতে যে ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে, তার চেয়েও প্রায় ২ দশমিক ৫ গুণ বেশি।
আর্থিক সঙ্কট, স্বল্প পুঁজিযুক্ত আর্থিক ব্যবস্থা এবং বহুবর্ষ বিনিয়োগের ভীতি- এসব ভারতের কোভিড-১৯ পরবর্তী চাহিদা পুনরুদ্ধারকে বিলম্বিত করবে। আরও খারাপ খবর হল, এমনকি মহামারি না থাকলেও ভারত বাংলাদেশের কাছে হেরে যেতে পারত। পেনসিলভেনিয়া স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতিবিদ শৌমিত্রো চ্যাটার্জী এবং ‘ভারতের রফতানি-নেতৃত্বের বৃদ্ধি : অনুকরণীয় ও ব্যতিক্রম’ শিরোনামে ভারতের সাবেক প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা অরবিন্দ সুব্রামনিয়ান একটি নতুন গবেষণাপত্রে এ কারণটি দেখিয়েছেন। প্রথমে ভারতের প্রবৃদ্ধির ব্যতিক্রমবাদ বিবেচনা করুন। বাংলাদেশ ভালো করছে, কারণ এটি পূর্ববর্তী এশীয় টাইগারদের পথ অনুসরণ করছে। এর স্বল্প দক্ষ পণ্য রফতানি দরিদ্র দেশটির কর্মক্ষম বয়স-জনসংখ্যার অংশের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। ভিয়েতনামও নিজের ওজন থেকেও কিছুটা উপরে উঠে গেছে। আসলে দুই দেশই চীনের অধ্যায় থেকে শিক্ষা নিচ্ছে।
এদিকে, করোনার সংক্রমণে গোটা বিশ্বের অর্থনীতি ধুঁকলেও চীন আরও শক্তিশালী হচ্ছে। ২০২১ সালে বিশ্ব অর্থনীতিতে যে আর্থিক বৃদ্ধি হবে, তার মধ্যে ২৬ শতাংশ ৮ শতাংশ আসতে পারে চীন থেকে। ২০২৫ সালে সেটা বেড়ে হতে পারে ২৭ দশমিক ৭ শতাংশ। বিশ্ব অর্থনীতিতে অবদানের নিরিখে যা আমেরিকাকে টপকে অনেক উপরে উঠে যাবে চীন।
পরিসংখ্যান বলছে, শেষ ত্রৈমাসিকে চীনের জিডিপি বৃদ্ধি পেয়েছে ৪.৯ শতাংশ। অর্থাৎ প্রায় করোনার পূর্ববর্তী অবস্থা। লকডাউনের কয়েকমাসেও অবশ্য চীনের জিডিপি কখনও ঋণাত্মক হয়নি। তবে, এবারের এ বৃদ্ধি বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, এর ফলে ভারত এবং চীনের ফারাক বিরাট বড় হয়ে গেল। যা অদূর ভবিষ্যতে সামলে নেয়া কঠিন হবে। কারণ, চলতি অর্থবর্ষে ভারতের জিডিপি প্রায় ৯.৫ শতাংশ সঙ্কুচিত হতে পারে। খোদ ভারতের রিজার্ভ ব্যাংক তেমনটাই আশঙ্কা করছে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, সার্বিক বৃদ্ধির এ বিস্তর ফারাক চীনকে ভারতের ধরাছোঁয়ার বাইরে নিয়ে চলে যেতে পারে।
ভারতের অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রাক্তন প্রধান উপদেষ্টা ড. কৌশিক বসু বলছেন, মাত্র কয়েক বছর আগেও কেউ ভাবতে পারত না, ভারতের অর্থনীতি আজ এ তলানিতে এসে থামবে। এর দায় কিছুটা করোনার। হ্যাঁ ওই কিছুটাই। কৌশিক বসু বলছেন, এশিয়ার দেশগুলির জিডিপি বৃদ্ধির টেবিল দেখলেই বোঝা যাবে, ভারত সরকার ভুল করেছে। আমরা তথ্য অস্বীকার করেছি, লুকিয়েছি। তিনি বলছেন, ভুল হয়েছে স্বীকার করে নিয়ে সরকারের উচিত উপযুক্ত পদক্ষেপ করা।
সরকারি হিসাব অনুযায়ী, করোনা ভাইরাসের ক্ষতি কাটিয়ে ক্রমশ সমৃদ্ধ হচ্ছে চীনের অর্থনীতি। চীন হলো বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অর্থনীতির দেশ। সেখানে জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে শতকরা ৪ দশমিক ৯ ভাগ। এটা নির্ধারণ করা হয়েছে গত বছরের একই সময়ের সঙ্গে তুলনা করে। অর্থনীতিবিদরা আগেই বলেছিলেন, সেখানে প্রবৃদ্ধি শতকরা ৫ দশমিক ২ ভাগের নিচে থাকবে। বর্তমানে দেশটি তার জাতীয় প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে বৈশ্বিক ক্ষতি পুনরুদ্ধারের নেতৃত্ব দিচ্ছে। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রথম আঘাত হানে চীনে। এ কারণে সেখানকার অর্থনীতি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে শতকরা প্রায় ৫ ভাগের কাছাকাছি প্রবৃদ্ধি অর্জন খুব কম কথা নয়।
সেপ্টেম্বরে চীনে বাণিজ্য বৃদ্ধি পেয়েছে অনেক বেশি। রপ্তানি বৃদ্ধি পেয়েছে শতকরা ৯ দশমিক ৯ ভাগ। গত বছরের সেপ্টেম্বরের তুলনায় আমদানি বৃদ্ধি পেয়েছে শতকরা ১৩ দশমিক ২ ভাগ। গত দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে চীনের গড় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি শতকরা প্রায় ৯ ভাগ। যদিও তা ধীর গতিতে অগ্রসর হয়েছে। এ বছর একদিকে করোনা মহামারির কারণে চীনের প্রবৃদ্ধি অর্জন বিঘিœত হয়েছে, তেমনি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তারা কয়েক মাস ধরে বাণিজ্যযুদ্ধে লিপ্ত। এসব বিষয় তাদের অর্থনীতিতে বড় প্রভাব ফেলেছে।
এর মধ্যে এ বছরে করোনাভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করতে এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে চীন সরকার। সরকারের পলিসিতে এ বছর দ্রুততার সঙ্গে সমর্থন দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ মাসের শুরুতে চীনা প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াং সতর্ক করেছেন যে, পুরো বছরের অর্থনৈতিক লক্ষ্য অর্জনের জন্য পূর্ণমাত্রায় চেষ্টা করতে হবে। এ বছরের দ্বিতীয় চতুর্ভাগে সেখানকার অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে ৩ দশমিক ২ ভাগ। টোকিওতে দাই-ইচি লাইফ রিসার্স ইনস্টিটিউটের প্রধান অর্থনীতিবিদ ইয়োশিকিয়ো শিমামিন বলেছেন, চীনের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের পর্যায়ে রয়েছে। এর নেপথ্যে রয়েছে আগের অবস্থায় ফিরে যাওয়ার একান্ত প্রচেষ্টা। তবে আমরা বলতে পারি না যে, তারা এরই মধ্যে পুরোপুরিভাবে সেখানে ফিরতে পেরেছে।
- নীলফামারীতে আন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস উদযাপন
- গ্রীষ্মকালে শীতল ত্বক
- ব্যাংককের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করলেন প্রধানমন্ত্রী
- মিয়ানমার থেকে দেশে ফিরছেন ১৭৩ বাংলাদেশি
- হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের ৪ নির্দেশনা
- চতুর্থ ধাপের উপজেলা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা
- উপজেলা নির্বাচনে বিজিবি মোতায়েন করা হবে
- পুলিশের প্রতি ১১ নির্দেশনা
- প্রথম ধাপে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ২৬ প্রার্থী
- চলতি অর্থবছরের মার্চ পর্যন্ত এডিপি বাস্তবায়ন অগ্রগতি ৫০ ভাগ
- শিলাবৃষ্টির আশঙ্কা, তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে
- বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগ চেয়েছেন রাষ্ট্রপতি
- কারিগরির সনদগুলো কারা কিনেছেন বের করা হবে: ডিবিপ্রধান
- গাজার সেই শহরে আবারও নারকীয় হামলার ঘোষণা ইসরায়েলের
- পাটপণ্যের উন্নয়নে সমন্বিত পথনকশা প্রণয়ন করা হবে: পাটমন্ত্রী
- জাতীয় সংসদের সব উন্নয়নের পৃষ্ঠপোষক প্রধানমন্ত্রী: স্পিকার
- বাংলাদেশ-কাতারের মধ্যে ৫ চুক্তি ও ৫ সমঝোতা স্মারক সই
- ডোমারে ৩ দিনব্যাপী সমন্বিত পুষ্টি প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন
- ভ্রু ম্যাজিক
- জয়সওয়ালের শতকে সপ্তম জয় রাজস্থানের
- প্রথমবার সালমানের বিপরীতে কিয়ারা
- ইস্তিসকার নামাজের সময় ও বিধি-বিধান
- লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে
- ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’
- ট্রেনের টিকিট এবার ভেন্ডিং মেশিনে, দাঁড়াতে হবে না লাইনে
- মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
- পাকিস্তান-ইরানের সম্পর্কের নতুন মাত্রা
- ‘জলবায়ু অভিযোজনে সফলতার জন্য সবার ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস জরুরি’
- পদোন্নতি পেয়ে অতিরিক্ত সচিব হলেন ১৩০ জন
- আমিরাতে পৌঁছেছে জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ, সুস্থ আছেন নাবিকরা
- ডিমলায় জুয়া খেলার অপরাধে আটক-২
- ঠাকুরগাঁওয়ে ঈদ-নববর্ষে ১০ জন নিহত, আহত ২ শতাধিক
- রাতেই যেসব অঞ্চলে হতে পারে বজ্রসহ বৃষ্টি
- জয়সওয়ালের শতকে সপ্তম জয় রাজস্থানের
- ফারিণের ‘নিকষ’ অন্ধকার!
- অতিরিক্ত সচিবকে ওএসডি, ৫ যুগ্ম-সচিবের বদলি
- ‘সমন্বিত উদ্যোগ নিয়ে ভূমিসেবায় দুর্নীতি প্রতিরোধ করা হবে’
- জলবায়ু সহনশীল দেশ গড়তে নারীদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ
- অবৈধ দখলে থাকা খাস জমি চিহ্নিত করতে বললেন ভূমিমন্ত্রী
- চিকিৎসা ব্যবস্থা যেকোনো মূল্যে সহজলভ্য করবো: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
- ভয়াল ২৫ মার্চ আজ, রাতে ১ মিনিট অন্ধকারে থাকবে দেশ
- মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
- ভারতকে বিশ্বকাপ জেতানো কোচকে নিয়োগ দিচ্ছে পাকিস্তান
- মানুষের জীবন সহনীয় করতে কাজ করছে সরকার: পরিবেশমন্ত্রী
- জামদানিকে আন্তর্জাতিকভাবে সমাদৃত করা হবে: শিল্প সচিব
- রোহিঙ্গা সমাধানে নিউজিল্যান্ডকে সক্রিয় ভূমিকা রাখার আহ্বান
- তুরস্কে আঞ্চলিক নির্বাচনে এরদোগান বিরোধীদের জয়
- ঈদে সৈয়দপুর-ঢাকা আকাশপথে বাড়তি ফ্লাইট
- রংপুরে সংবর্ধনায় সিক্ত ব্যরিস্টার আনিকা তাসনিয়া
- আইকনিক লিডার এখন কুন্তলা চৌধুরী