• মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ৫ ১৪৩০

  • || ০৮ রমজান ১৪৪৫

অসহায় মানুষের সেবা ও সহায়তা করে বেঁচে থাকতে চান সোহেল আহম্মেদ

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১২ অক্টোবর ২০১৯  

অসহায়দের মুখে খাবার তুলে দেন এরকম মানুষ সোহেল আহম্মেদ। দিনাজপুরের বীরগঞ্জে রাত জেগে বীরগঞ্জ পৌরশহরের অলিগলিতে ঘুরে মানসিক ভারসাম্যহীনদের খুঁজে খুঁজে তাদের পেট পুরে খাওয়ানোর কাজ করে চলেছে সোহেল আহম্মেদ। অসহায় এসব মানুষের সেবা ও সহায়তা করে বেঁচে থাকতে চান সোহেল আহম্মেদ। ।

প্রতিরাতে ৬থেকে ৮ জন পাগল খুঁজে তাদের নিজ হাতে খাইয়ে দেন। নিজেও তাদের সঙ্গে খাবার খান। তিনি দোকান থেকে রান্না করা মাছ,মাংস, সবজি আর ভাত প্যাকেট করে পৌর শহরের অলিগলি ঘুরে এসব খাবার পাগলদের মুখে তুলে দেন সোহেল। শুধু পাগলদের খাওয়ানোর নিয়োজিত থাকেন না, তার স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে আদিবাসী জনগোষ্ঠীসহ বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষের চিকিৎসাসেবা, মেয়ের বিয়ে, বস্ত্র বিতরণ সহ নানা ধরনের কাজ করে আসছেন। অনেকেই তার কাজে মুগ্ধ হয়ে স্যালুট জানিয়েছে।

সোহেল আহমেদ দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের মহিলা ডিগ্রী কলেজের পাশে মৃত আঃ রশিদ শেখের তিনি এক ছেলে সন্তান  তামিম আহাম্মদের জনক। তার এমন কর্মকাণ্ড- ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।

শুক্রবার মধ্যরাতে রাতে শহরের সাব রেজিস্টার অফিসের সামনে বিজয় চত্বরে দেখা গেল পাগলের সন্ধানে সোহেলকে। শনিবার উপজেলার গোলাপগঞ্জ বাজারের এক প্রতিবন্ধীকে সে সহযোগিতা করেন। তার এক হাতে খাবারের প্যাকেট আর এক হাতে পানির বোতল। শহরের কোনো কোনো খোলা বারান্দায় পাগল অবস্থান করছে তার সন্ধান নিয়ে সেখানেই ছুটে যাচ্ছেন খাবার নিয়ে। অনতি দূরে শরীরে মল-মূত্রের গন্ধ নিয়ে শুয়ে থাকা পাগলকে ঘুম থেকে ডেকে তুললেন। ওই সব পাগলের সঙ্গে ভাগাভাগি করে একসঙ্গে খাবার খেলেন সোহেল আহম্মেদ।  এই সব পাগলসেবা দেখতে অনেকে ভিড়ও করছেন। সোহেল আহম্মেদ।  

সাংবাদিকদের জানান,পাগলরা কোনো না কোনো বাবা-মায়ের সন্তান। তাদের শরীরে থাকে না লজ্জা নিবারণের পোশাক। শরীরে মল- মূত্রের গন্ধে কেউ কাছে আসতে চায় না,প্রতিনিয়ত খাওয়া, গোসল,কাপড় পরিধানসহ কিছুই করতে পারে না তারা। এসব পাগলদের কাছে পরিচয় জানতে চাইলে কিছু বলতে পারে না। তাই আমি এসব পাগল ও অসহায়দের একটু সেবা করছি মাত্র। পাগল সেবার মাঝেই বাকি জীবনটা কাটানোর আশা প্রকাশ করেন।

বীরগঞ্জ পৌরশহরের দশরথ রায় বাবুল জানান,সোহেল আহাম্মদ আমাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে মানবসেবা কাকে বলে। তার মতো আমরা সবাই যদি তরুন প্রজন্মের ছেলেরা অসহায়দের পাশে দাঁড়াই তাহলে মানুষের বৈষম্য এবং সমাজে হানাহানিও বন্ধ হবে সমাজ হবে সুন্দর।