• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

অস্থায়ী শহীদ মিনারেই একযুগে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) প্রতিষ্ঠার এক যুগ পার হলেও ক্যাম্পাসে নেই স্থায়ী শহীদ মিনার। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় সড়কের কোল ঘেঁষে আট বছর আগে নির্মিত অস্থায়ী শহীদ মিনারটি পড়ে আছে অযত্নে-অবহেলায়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নজরদারির অভাবে শহীদদের স্মৃতি বিজড়িত এই স্থাপনায় শিক্ষার্থী ও বহিরাগতদের আড্ডার আসরে প্রতিনিয়তই ঘটছে দায়িত্বহীন কাণ্ড। অথচ এখন প্রত্যেকটা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রয়েছে স্থায়ী শহীদ মিনার। কিন্তু মাতৃভাষা বাংলার জন্য যারা জীবন উৎসর্গ করেছিলেন তাদের স্মরণে বেরোবিতে নেই স্থায়ী শহীদ মিনার।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় সড়কের কোল ঘেঁষে আট বছর আগে নির্মিত অস্থায়ী শহীদ মিনারটি পড়ে আছে অযত্নে-অবহেলায়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নজরদারির অভাবে শহীদদের স্মৃতি বিজড়িত এই স্থাপনায় শিক্ষার্থী ও বহিরাগতদের আড্ডার আসরে প্রতিনিয়তই ঘটছে দায়িত্বহীন কাণ্ড।

সরজমিনে দেখা গেছে, প্রতিদিন বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বহিরাগতরা জুতা পায়ে শহীদ মিনারের বেদিতে কিংবা সিঁড়িতে বসে আড্ডা দিচ্ছেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকেও কোনো নেমপ্লেট দেওয়া নেই যে- ‘জুতাসহ বেদিতে উঠা যাবে না’। এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নজরদারির অভাব ও উদাসীনতাকেই দায়ী করছেন অনেকে।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালে ১৪ ফেব্রুয়ারি অস্থায়ী ক্যাম্পাস থেকে স্থায়ী ক্যাম্পাসে আসার পর কাপড় দিয়ে নির্মাণ করা হয় একটি অস্থায়ী শহীদ মিনার। শহীদ মিনারটি কিছুদিন পরই কে বা কারা যেন আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেয়। পরে ২০১২ সালে ইট-পাথর-বালি দিয়ে নির্মাণ করা হয় বর্তমান অস্থায়ী শহীদ মিনারটি।

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি তুষার কিবরিয়া বলেন, ভাষা শহীদদের স্মরণে একটি স্থায়ী শহীদ মিনার থাকবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দীর্ঘ ১২ বছরেও স্থায়ী শহীদ মিনার নেই। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আন্তরিকতার বড় অভাব। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে প্রশাসনের কাছে দাবি থাকবে যাতে একটি স্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণ করা করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. আবু কালাম মো. ফরিদ উল ইসলাম বলেন, শহীদ মিনার কিংবা অন্যান্য স্থাপনাগুলো আমাদের অতীত ইতিহাসকে জানতে সাহায্য করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি স্থায়ী শহীদ মিনার অত্যন্ত জরুরি। আমরা শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে স্থায়ী শহীদ মিনার তৈরির বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জানাবো।

সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (রুটিন দায়িত্ব) ড. আর.এম হাফিজুর রহমান সেলিম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি শহীদ মিনার থাকা অত্যন্ত জরুরি। খুব শিগগিরই শহীদ মিনার নির্মাণ করা হবে।