• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে রংপুরের ইজতেমা

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৯ নভেম্বর ২০১৯  

অশ্রুসিক্ত কান্নার আওয়াজ আর ‌'আমিন, আল্লাহুম্মা আমিন' ধ্বনিতে মুখরিত আকাশ-বাতাস। তখন ঘড়ির কাটায় বেলা ১১টা ৩৫ মিনিট। একটানা ২৭ মিনিট চারদিকে শুধু এই আওয়াজ ভেসে বেড়ায়।

থেমে থেমে কান্নার আওয়াজে ছিল মুসলিম জাহানের সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধিসহ আল্লাহ তায়ালার রহমত ও পাপাচার থেকে ক্ষমা প্রার্থনার আকুতি মিনতি।

শনিবার (৯ নভেম্বর) দুপুর ১২টা ২ মিনিটে এভাবেই আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে ঘাঘট নদীর তীরে আয়োজিত রংপুরের ইজতেমা।

দিল্লীর নিজামুদ্দিনের অনুসারী কাকরাইল মারকাজের মুরব্বি মাওলানা আশরাফ আলী এই আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন। বাংলা ও আরবি ভাষায় মোনাজাত করেন তিনি। আখেরি মোনাজাতে প্রায় সোয়া চার লাখ মানুষ অংশ নেন।

শনিবার (৯ নভেম্বর) বেলা ১১টা ৩৫ মিনিটে শুরু হওয়া আখেরি মোনাজাত শেষ হয় দুপুর ১২টা ২ মিনিটে। এ সময় ইজতেমা মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে উঠে। ৪০ একর আয়তনের বিশাল এই ইজতেমা ময়দানের জনস্রোত ছড়িয়ে পড়ে মাঠের বাইরেও।

মোনাজাতের সময় অনেক মুসল্লিকে মাঠের আশপাশের রাস্তা, অলি-গলি, বিভিন্ন বাসা-বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ভবনের ছাদে অবস্থান করতে দেখা গেছে।

মোনাজাতে মাওলানা আশরাফ আলী বলেন, ‘হে আল্লাহ! আপনি তো ক্ষমাশীল, আপনার কাছেই তো আমরা ক্ষমা চাইব। তাই আমরা ক্ষমা চাইছি, আপনার দয়া ভিক্ষা চাচ্ছি। আমাদের ওপর দয়া করুন। দ্বীনের ওপর আমাদের চলা সহজ করে দিন। আপনি আমাদের ওপর সন্তুষ্ট হয়ে যান। আমাদেরকে দুনিয়ার সব বালা-মুসিবত থেকে হেফাজত করুন।’

সারা বিশ্বের মুসলিম উম্মাহর মধ্যে শান্তি ও রহমত দানের ফরিয়াদে দু'হাত তুলে মুসল্লিরা- মহান সৃষ্টিকর্তার দরবারে মুসলমানদের ওপর নির্যাতন, বোমা হামলা, হত্যা, ব্যভিচার, অন্যায়ে লিপ্ত জাতি, গোষ্ঠী, সমাজ ও কর্তাপ্রধানদের হেদায়েত দান করার জন্য আকুতি জানান।

এদিকে আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে আগের দিন রাত থেকেই রংপুর বিভাগের আট জেলার বিভিন্ন এলাকার মুসল্লিরা ইজতেমাস্থলে পৌঁছান। এছাড়াও রংপুরের বিভিন্ন এলাকার লোকজন ভোর থেকে দলে দলে পায়ে হেঁটেই ইজতেমা মাঠে আসেন।

এর আগে ভোরে ফজরের নামাজের পর বয়ান করেন মাওলানা মাসুম বিল্লাহ। পরে সকাল ১০টা থেকে সোয়া ১১টা পর্যন্ত হেদায়েতের ওপর আলোচনা করেন মাওলানা ফজলুল হক। শেষে মাওলানা আশরাফ আলী আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন।