• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৫ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
মুজিবনগর সরকারের ভূমিকা ইতিহাসে অনন্য: রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিরা হস্ত‌ক্ষেপ করবে না: ওবায়দুল কাদের লালমনিরহাটে যুবলীগ কর্মীর পায়ের রগ কাটলেন যুবদল নেতা বাসার ছাদ থেকে পড়ে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু ঠাকুরগাঁওয়ে ঈদ-নববর্ষে ১০ জন নিহত, আহত ২ শতাধিক

আদিতমারীতে নির্যাতনের অভিযোগে কনস্টেবলের বিরুদ্ধে স্ত্রীর মামলা

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৪ ডিসেম্বর ২০১৯  

গলায় ছুরি ধরে সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়া ও নির্যাতনের অভিযোগে এক কনস্টেবলের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন তার স্ত্রী।

মঙ্গলবার রাতে লালমনিরহাটের আদিতমারীতে এ ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত আল আমিন লালমনিরহাট সদরের মোগলহাট ইউপির কর্ণপুরের হানিফ ইসলামের ছেলে। তিনি রংপুর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ড. আবদুল মজিদের দেহরক্ষী।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, কনস্টেবল আল আমিন আদিতমারীর দক্ষিণ গোবদা গ্রামের আমিনুল ইসলামের মেয়ে আরজু বেগমকে বিয়ে করেন। তাদের একটি ছেলে রয়েছে। স্ত্রী-সন্তানকে আদিতমারীতে রেখে লালমনিরহাট শহরের এক গৃহবধূর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান আল আমিন। তাকে বিয়ে করতে স্বামীকে তালাক দেন ওই গৃহবধূ। এরপর বিয়ে করতে টালবাহানা করেন আল আমিন।

২৯ অক্টোবর ছুটিতে এসে প্রেমিকার বাড়িতে যান আল আমিন। ওই রাতে স্থানীয়রা আপত্তিকর অবস্থায় তাকে আটক করে থানায় সোপর্দ করে। পরদিন তার বিরুদ্ধে মামলা করেন প্রেমিকা।

২১ নভেম্বর জামিনে মুক্তি পেয়ে বাবার বাড়িতে থাকা স্ত্রী আরজুকে কৌশলে পাশের একটি মাদরাসায় ডেকে নিয়ে যান। সেখানে গলায় ছুরি ধরে সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেন। ওই সময় আল আমিন ও তার সহযোগীদের মারধরে আহত হন আরজু বেগম। পরে স্বামীসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন তিনি।

আরজু বেগম বলেন, মীমাংসার কথা বলে ডেকে নিয়ে সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর চায় আল আমিন। আমি রাজি না হলে মারধর ও গলায় ছুরি ধরে স্বাক্ষর নেয়। আমি মামলা করায় এখন আমার পুরো পরিবারকে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।

আদিতমারী থানার ওসি সাইফুল ইসলাম বলেন, মামলা নেয়া হয়েছে। তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে আল আমিনকে গ্রেফতার করা হবে।