আদিবাসী ইস্যুকে পুঁজি করে পর্দার আড়ালে চলছে ষড়যন্ত্র!
– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –
প্রকাশিত: ৮ আগস্ট ২০২০
পৃথিবীর অনেক দেশের সাথে বাংলাদেশে প্রতি বছরের মতো এ বছরও আগামীকাল ৯ আগস্ট ‘আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস’ পালিত হবে। অস্ট্রেলিয়ান এবরিজিন, যুক্তরাষ্ট্রের রেড ইন্ডিয়ান, নিউজিল্যান্ডের মাউরি, দক্ষিণ আমেরিকার ইনকা ও মায়া, জাপানের আইনু, রাশিয়ার মেনেট, ফ্রান্স ও স্পেনে বাসকু, আরব বেদুইন প্রভৃতি জনগোষ্ঠী প্রাচীন কাল থেকেই আদিবাসী হিসেবে বিশ্বে পরিচিত। বাংলাদেশে আদিবাসী কারা-এই নিয়েও একটি বিতর্ক ইদানীং চালু হয়েছে।
আমরা আদিবাসীদের শ্রদ্ধা করি এবং তাদের সকল অধিকারের প্রতি সম্মান জানাই। কিন্তু এই আদিবাসী নিয়ে বাংলাদেশে আজ যা চলছে যা রীতিমত বাড়াবাড়ি ছাড়া আর কিছুই নয়। শুধু তাই নয় এই আদিবাসী ইস্যুটিকে পুঁজি বানিয়ে পর্দার আড়ালে চলছে পরিকল্পিত ভাবে সুদুরপ্রসারী ভয়াবহ ষড়যন্ত্রের এক রাজনীতি, যা দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব এবং অখন্ডতার বিরুদ্ধে ভবিষ্যতে মারাত্বক হুমকি হিসাবে দেখা দিবে। সুতরাং আদিবাসী ইস্যুকে নিয়ে চলমান এই ষড়যন্ত্রের রাজনীতি সম্পর্কে দেশপ্রেমিক জনতাকে আজ সচেতন হতে হবে। তার জন্য আদিবাসী সম্পর্কে আমাদেরকে সঠিক ধারণা লাভ করতে হবে এবং আদিবাসী ইস্যু নিয়ে যারা আজ অতিমাত্রায় সোচ্চার এবং আদিবাসী হতে ও আদিবাসী হিসাবে পরিচয় দিতে যারা অতিমাত্রায় আগ্রহী তাদেরকে চিনতে হবে। একই সাথে তাদের চিন্তা চেতনা , কর্মতৎপরতা এবং এদের আসল উদ্দেশ্য সম্পর্কেও আমাদেরকে জানতে হবে।
আদিবাসী শব্দটি থেকেই সহজে আমরা এর সম্পর্কে জানতে পারি। ‘আদি’ শব্দের অর্থ হচ্ছে প্রথম বা শুরু আর ‘বাসী’ শব্দটির অর্থ হচ্ছে বসবাসকারী। সুতরাং ‘আদিবাসী’ শব্দটি দিয়ে কোন একটি এলাকায় প্রথম থেকে বসবাসকারী লোকজন কে বুঝায়। এটাকে যদি আর একটু ব্যাখা করি তাহলে বলা যায় -১) যে জায়গা আগে কখনোই কারো অধিকারে এবং দখলে ছিল না, এমন স্থানে যারা প্রথম বসতি নির্মাণ করেছিল তারাই আদিবাসী। ২)কোন জায়গায় প্রথম থেকে বসবাসকারী মানবগোষ্টীই আদিবাসী। ৩) আদিম কোন এলাকায় প্রাচীনতম কাল থেকে কিংবা ঐ এলাকা পরিচিতি লাভের সময় থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত বসবাসকারী মানবাগোষ্ঠীই হল আদিবাসী। আদিবাসীর সংজ্ঞা এবং পরিচয় নিয়ে এ পর্যন্ত নৃবিজ্ঞানীরা যা বলেছেন তার সারমর্ম হচ্ছে এটাই। সেই হিসাবে সারা বিশ্বজুড়ে বিদ্যমান আদিবাসী জনগোষ্ঠীর সংখ্যা হাতে গোনা কয়েকটি এবং আদিবাসী জনসংখ্যার পরিমানও একেবারেই কম। এর প্রকৃত কারন হচ্ছে কোন এলাকায় একটি জনগোষ্ঠী প্রথম থেকে বসবাস শুরু করলেও, হাজার বছরের সময়ের পরিক্রমায় তারা হারিয়ে গেছে এবং আধুনিক জীবনের সাথে মিশে গেছে। অর্থাৎ তারা সময়ের সাথে নিজেদেরকে উন্নত করেছে এবং মানব গোষ্ঠীর মুল স্রোতের সাথে মিশে গেছে। তারা নিজেদের সংস্কৃতি,আদর্শ এবং ঐতিহ্যকে হারিয়ে ফেলেছে অথবা বিসর্জন দিয়েছে আর ঐ দেশের বা ঐ অঞ্চলের বিদ্যমান মুল জনগোষ্ঠীর চলমান সংস্কৃতি, আদর্শ এবং ঐতিহ্যকে গ্রহন করে মুল জনগোষ্ঠীর সাথে মিশে গেছে। সংগত কারনেই কোন এলাকায় প্রাচীন কাল আজ পর্যন্ত নিজস্ব আদর্শ, সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য নিয়ে বসবাসকারী মানব গোষ্ঠীর সংখ্যা বিশ্বজুড়ে একেবারেই কম এবং তাদের জনসংখ্যার পরিমানও একেবারেই কম। আর তাই বিশ্বে আদিবাসী জনগোষ্ঠীর সংখ্যা এবং জনসংখ্যার পরিমান দুটোই একেবারেই কম। আর সত্য কথা হচ্ছে বাংলাদেশে কোন আদিবাসী জনগোষ্ঠী নেই। গোপনে বাংলাদেশ থেকে আলাদা রাষ্ট্র গঠনের নিমিত্তেই এই দাবি করছে তারা।
জানা যায়, ২০০৭ সালের সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘ সদরদপ্তর নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত ৬১তম অধিবেশনে the United Nations declaration on the rights of indigenous peoples অর্থাৎ ‘আদিবাসী জনগোষ্ঠীর অধিকার’ বিষয়ক ঘোষণাপত্র জারি হওয়ার পর বাংলাদেশের একটি জনগোষ্ঠী হঠাৎ করে নিজেদেরকে আদিবাসী বলে পরিচয় দিতে শুরু করে। যেখানে এ ঘোষণাপত্রের আগে তারা নিজেদেরকে আদিবাসী পরিচয়ে পরিচয় করাতে চায়নি। তাদের হঠাৎ এমন আদিবাসী পরিচয় দেয়াটা বাংলাদেশের সংস্কৃতি, কৃষ্টি, ইতিহাস, অখন্ডতা ও সার্বভৌমত্বের উপর বড় ষড়যন্ত্র বলে মনে করছেন বিশিষ্টজনেরা।
অনুচ্ছেদগুলো পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে, বাংলাদেশের উপজাতীয় জনগোষ্ঠী আদিবাসী স্বীকৃতি পেলে পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারা দেশে নিজস্ব আইনে নিজস্ব ভূমি ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে পারবে। পার্বত্য চট্টগ্রামের মুষ্টিমেয় চিহ্নিত উপজাতিরা দাবি করছে ঐতিহ্য ও প্রথাগত অধিকার বলে পার্বত্য চট্টগ্রামের সকল ভূমির মালিক তারা। একই অধিকার বলে সমতলের উপজাতীয় অধ্যুষিত এলাকার সকল ভূমির মালিকানা সেখানকার উপজাতীয়রা দাবি করবে। সেখানে যেসব ভূমি সরকারি ও ব্যক্তিগত মালিকানায় (আদিবাসী নয়) রয়েছে তা ফেরত দিতে হবে বা তার উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। এমনকি উপজাতীয়রা রাজি না হলে সমতল থেকে সমপরিমাণ সমগুরুত্বের ভূমি ফেরত দিতে হবে। পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে যেহেতু ঐ গোষ্ঠী সকল সামরিক স্থাপনা সরিয়ে নেয়ার দাবি জানাচ্ছে, সে কারণে সেখান থেকে সকল সামরিক স্থাপনা সরিয়ে নিতে হবে। পার্বত্য চট্টগ্রাম ও অন্যান্য উপজাতি অধ্যুষিত এলাকায় যেসব বাঙালি বসতি স্থাপন করেছে তাদের ফিরিয়ে আনতে হবে। ইউএনডিপিসহ কিছু বৈদেশিক সংস্থা ইতোমেধ্যে প্রকাশ্যে এ দাবি তুলেছে।
কৌশলগত কারণে তারা স্বায়ত্তশাসনের কথা যতোটা উচ্চকিত করে স্বাধীনতার কথা ততোটা নয়। ফলে দেশের অধিকাংশ মানুষই রাষ্ট্রবিরোধী এই ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সম্যক ওয়াকিবহাল নয়। বাংলাদেশের রাষ্ট্র ব্যবস্থাও রহস্যময় আবরণে সযত্নে ঢেকে রেখেছে দেশবিরোধী এই দুষ্টুক্ষত। কিন্তু যারা সচেতন, বিশেষ করে যারা সামাজিক গণমাধ্যম ব্যবহার করেন তাদের প্রতি আহ্বান একবারের জন্য হলেও পার্বত্য চট্টগ্রামের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের পরিচালিত প্রোফাইল, গ্রুপ ও পেইজগুলো ভিজিট করে দেখুন, রাষ্ট্রীয় অখন্ডতা ও সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে কী ভয়ানক প্রচারণা চালানো হচ্ছে সেখানে। স্বাধীন জুম্মল্যান্ড গঠনের জন্য নিজস্ব জাতীয় পতাকা, জাতীয় সঙ্গীত, মানচিত্র দিয়ে কীভাবে বাংলাদেশ বিরোধী প্রচারণা চালানো হচ্ছে সে সম্পর্কে সচেতনতার জন্য দেশবাসীর জানা উচিত। পাঠকদের জ্ঞাতার্থে সিএইচটি জুম্মল্যান্ড নামে তাদের পরিচালিত একটি পেইজের ঠিকানা এখানে দেয়া হলো: (https://www.facebook.com/pages/CHT jummaland/327524104096965? fref=ts)।
- কিশোরগঞ্জে হতদরিদ্র ১৬০ নারীর মাঝে বকনা গরু বিতরণ
- ডোমারে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ১০ হাজার টাকা জরিমানা
- সারাদিন না খেয়ে থাকায় মুখে দুর্গন্ধ হচ্ছে, সমাধানে করণীয়
- জলবায়ু সহনশীল দেশ গড়তে নারীদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ
- বাংলা নববর্ষ উদযাপনে মানতে হবে ১৩ নির্দেশনা
- দায়িত্বহীনতার কারণে ঈশ্বরদীতে ট্রেন দুর্ঘটনা: রেলমন্ত্রী
- ‘সোনার বাংলা বিনির্মাণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে’
- শিশুরাই হবে স্মার্ট বাংলাদেশের মূল কারিগর
- বিক্ষোভরত ইসরায়েলি জিম্মিদের স্বজনদের আটক করেছে পুলিশ
- বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত অস্ট্রেলিয়া
- জলবায়ু সহনশীলতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে: পরিবেশমন্ত্রী
- ঈদ: সাড়ে ৮ ঘণ্টায় ট্রেনের ৩৫ হাজার টিকিট বিক্রি
- ‘বিএনপি ইসরায়েলের বিপক্ষে একটি শব্দও উচ্চারণ করেনি’
- আগের সব ভিসিকেই পালাতে হয়েছে: বিএসএমএমইউর বিদায়ী ভিসি
- ঈদযাত্রায় দুর্ভোগ কমাতে ছুটি বাড়ানোর দাবি
- স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
- কোটি হিটের পরও অবিক্রিত ট্রেনের ছয় হাজার টিকিট
- চীনের সঙ্গে রাজনৈতিক-অফিসিয়াল যোগাযোগ বাড়াতে প্রস্তুত বাংলাদেশ
- হাঙ্গেরির প্রেসিডেন্টের কাছে বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র পেশ
- ভারতের কাছে পাঁচটি খাদ্যপণ্যের নিশ্চিত সরবরাহ চায় বাংলাদেশ
- বাংলাদেশকে হুমকির মুখে ফেলেছে ক্রমবর্ধমান জলরাশি
- এপ্রিলে বাংলাদেশে আসছেন কাতারের আমির
- অতিরিক্ত সচিবকে ওএসডি, ৫ যুগ্ম-সচিবের বদলি
- ফুরিয়ে যাচ্ছে জিম্মি জাহাজের খাবার, ভিন্ন ব্যবস্থা করছে দস্যুরা
- ঈদযাত্রা: পঞ্চম দিনের ট্রেন টিকিট বিক্রি শুরু
- ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর স্বাধীনতা ঘোষণার ইতিহাস বিকৃত করা হয়’
- কিশোরগঞ্জে ১৫টি পরিবারের মাঝে ঢেউটিন বিতরণ
- পাকা বেদানা খুঁজে কিনবেন যে কৌশলে
- ‘সংস্কারের পাশাপাশি আগামী বাজেটে কর্মসংস্থানে নজর দেওয়া হবে’
- দিল্লী হাইকমিশনে স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত
- রমজানে সিএনজি স্টেশন বন্ধের নতুন সূচি
- সংরক্ষণের অভাবে নষ্ট হয় ২৫ ভাগ পেঁয়াজ
- ট্রেনের সামনে ক্যামেরা বসাতে স্থায়ী কমিটির সুপারিশ
- অতিরিক্ত সচিবকে ওএসডি, ৫ যুগ্ম-সচিবের বদলি
- ‘বঙ্গবন্ধুর মতো দুই-দুইবার ফাঁসির মোকাবিলা কেউ করেনি’
- জলবায়ু সহনশীল দেশ গড়তে নারীদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ
- সহজে সচ্ছলতা লাভের ১০ আমল
- সুখী দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ১২৯তম
- কওমি মাদরাসা আছে, থাকবে: শিক্ষামন্ত্রী
- প্রথমবারের মতো স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন
- ডেটে গেলে ছেলেদেরই টাকা খরচ করা উচিত: জয়া
- ডোমারে ’বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস’ উপলক্ষে র্যালী ও আলোচনা সভা
- নতুন দামে সয়াবিন তেল মিলবে যেদিন থেকে
- ভয়াল ২৫ মার্চ আজ, রাতে ১ মিনিট অন্ধকারে থাকবে দেশ
- নিহত সাংবাদিক অভিশ্রুতি শাস্ত্রীর ধর্ম-পরিচয় নিয়ে ধোঁয়াশা
- ধর্মীয় উৎসব সবার মাঝে সম্প্রীতি বন্ধনের সৃষ্টি করে: ভূমিমন্ত্রী
- ছবি নিয়ে নানা প্রশ্নের উত্তর দিলেন শরিফুল
- দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও ব্যাটিং বিপর্যয়ে বাংলাদেশ
- বাংলাদেশের ম্যাচসহ টিভিতে আজকের খেলা
- ডিমলায় সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষক নিহত