• মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ৫ ১৪৩০

  • || ০৮ রমজান ১৪৪৫

আবরারকে প্রথম আঘাতকারী রবিনের পুরো পরিবার জামাত মতাদর্শী

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১০ অক্টোবর ২০১৯  

বুয়েট ছাত্রকে নির্যাতন এর শুরুটা করেন, সদ্য বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ নেতা মেহেদী হাসান রবিন। তিনি ছাত্রলীগের সদ্য বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। তিনি জামাত-শিবিরের সদস্য অভিযোগ তুলে, ফাহাদের বিরুদ্ধে প্রথম নির্যাতন শুরু করেন। অথচ অনুসন্ধানে জানা গেছে, তার পরিবারের সদস্যরা জামাত-শিবিরের পদধারী নেতা। এই পরিবারেই ভিন্ন মতাদর্শে বেড়ে ওঠা রবিনের। অথচ সেই পরিবারের সদস্য হয়েও, মেনে নিতে পারেনি আবরার ফাহাদের স্বাধীন মত প্রকাশ এবং সেই জামাত-শিবিরের অভিযোগ দিয়েই আবরার ফাহাদকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। জামাতের হয়ে নির্বাচন এবং বিভিন্ন অপরাধের মামলা মাথায় নিয়ে পলাতক আছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা।

বুয়েট শিক্ষার্থীদের চিহ্নিত ফুটেজ এবং জবানবন্দীতে তদন্ত কর্মকর্তারা জানতে পারেন, আবরার ফাহাদকে নির্যাতনের প্রথম আঘাতটি করে মেহেদি হাসান রবিন। ফাহাদের মৃত্যুর পর, পালিয়ে যাওয়া বুয়েট ছাত্রলীগের সদ্য বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আর রবিনের সম্পৃক্ততার খবর জানার পর থেকেই, তার গ্রামের বাড়ি রাজশাহীর পবায় প্রতিবেশীরা ভিড় করেছেন।

স্থানীয়দের অভিযোগ, ক্ষমতাসীন দলের রাজনীতিতে যোগ দিলেও, পরিবারের সদস্যরা জামাত শিবিরের রাজনীতিতে পুরনো মুখ। রবিনের দাদা মমতাজউদ্দীন, ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল জামায়াতের নেতা। জামাতের নেতা হিসেবে দাঁড়িপাল্লার প্রার্থী হয়ে অংশ নিয়েছেন স্থানীয় নির্বাচনে। চাচা ইমরান আলী জড়িত শিবিরের রাজনীতির সাথে। বর্তমানে নাশকতার চারটি মামলা আছে তার বিরুদ্ধে।

বুয়েটে ভর্তির পর, শাখা ছাত্রলীগের সদ্য বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক রাসেলের উৎসাহে রবিন নাম লেখান ছাত্ররাজনীতিতে।

তৃনমূলের নেতাকর্মীরা বলছেন, যাচাই-বাছাই ছাড়াই দলে ভিড়ে যাওয়া এবং পদ পাওয়ার কারণেই, উচ্চাভিলাষী অনেকে। এতে নষ্ট হচ্ছে দলের ভাবমূর্তি। ভিন্ন রাজনৈতিক ফ্যামিলি থেকে সদ্য যোগ দেয়া এসব নেতাকর্মীরা কতটা আদর্শের চর্চা করেন, তা খতিয়ে দেখার আহ্বান স্থানীয় নেতাদের।