• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

আবারো বিকেএসপিতে সবার প্রিয় ফাহিম স্যার

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৩ অক্টোবর ২০১৯  

দীর্ঘ ১৪ বছর পর আবারো বিকেএসপিতে ফিরলেন সকলের প্রিয় স্যার নাজমুল আবেদিন ফাহিম।

৩ অক্টোবর বৃহস্পতিবার ক্রিকেট এডভাইজার পদে কাজ শুরু করেন বিকেএসপির হয়ে। যেখানে প্রথমদিন থেকেই তিনি সময় কাটিয়েছেন মাঠে। কথা বলেছেন অন্যান্য কোচ এবং খেলোয়াড়দের সঙ্গে।

বাংলাদেশের একসময়ের প্রথম টেস্ট অধিনায়ক নাইমুর রহমান দুর্জয়, ব্যাটসম্যান আল শাহরিয়ার রোকন তারই হাতে গড়া। বর্তমানে যুব দলের নির্বাচক সাজ্জাদ আহমেদ শিপন, এখন যাকে ধরা হয় দেশের অন্যতম দক্ষ ও কুশলী কোচ সেই মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, শামসুর রহমান শুভ, সোহরাওয়ার্দী শুভ, নাঈম ইসলাম, আব্দুর রাজ্জাকও সরাসরি তার ছাত্র ছিলেন।

খেলোয়াড়ি জীবন শেষ করে জড়িয়ে পড়েন কোচিংয়ের সঙ্গে। অল্প কিছুদিন ক্লাব কোচিং করানোর পর যোগ দেন বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (বিকেএসপি) হেড কোচ হিসেবে। 

এছাড়া বর্তমান জাতীয় দলের তারকা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহীমরা তারই পরিচর্যায় পরিণত হয়েছেন। এমনকি ক্যারিয়ারের সায়াহ্নে মোহাম্মদ আশরাফুল, শাহরিয়ার নাফিসরা প্রতিনিয়ত তাদের প্রিয় ফাহিম স্যারের পরামর্শ নেন।

কিন্তু বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) অতিমাত্রায় বিদেশি কোচ নির্ভরতা নাজমুল আবেদিন ফাহিমের মতো উঁচু মানের ব্যাটিং পরামর্শককেও ঠেলে দিয়েছে দূরে। তিনি ছিলেন অবহেলিত, অবমূল্যায়িত।

প্রথমদিকে ছিলেন বিকেএসপির হেড কোচ। যেখানে তিনি ছিলেন ক্রিকেটার গড়ার কারিগর। কিন্তু বিসিবিতে কাজ করতে এসে সে অর্থে ক্রিকেটার গড়ার ক্ষেত্র পাননি ফাহিম। তবে জাতীয় পর্যায়ের ক্রিকেটারদের অনেকেরই অফফর্মে, দুঃসময়ে পরামর্শকের ভূমিকায় উপস্থিত হন তিনি।

বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার থেকে দেয়া হয় নারী ক্রিকেট উইংয়ে। এ দায়িত্ব মেনে নিয়ে কাজ করেছেন লম্বা সময়। কিন্তু এরপর ক্রমেই তার মূল্যায়ন ও কাজের ক্ষেত্র ছোট হয়ে আসতে দেখে গত ৩০ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে বিসিবি থেকে পদত্যাগ করেন তিনি।

বিসিবির চাকরি ছেড়েই তিনি যোগ দিলেন নিজের পুরনো কর্মক্ষেত্র বিকেএসপিতে। এর আগে যেখানে তিনি কাটিয়েছেন কোচিং ক্যারিয়ারের ১৭ বছর। 

বিকেএসপিতে ফিরে যাওয়া নিয়ে তিনি গণমাধ্যমে জানান, ‘আমার খুব ভালো লাগছে, এ যেনো আপন ঘরে আবার ফিরে আসা। এর আগে ১৭ বছর বিকেএসপিতে ছিলাম, অনেক স্মৃতি। বিকেএসপি আমার কাছে অনেক ভালো লাগার একটা জায়গা, ভালোবাসার জায়গা। বিকেএসপিতে ফিরে আসা ও ছেলেদের নিয়ে কাজ করা আমার কাছে অন্যরকম এক অনুভূতির।’