• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

আর কতদিন বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার করতে হবে জানে না এলাকাবাসী!

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৮ জানুয়ারি ২০২০  


গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর, বেলকা, হরিপুর, চন্ডিপুর, শ্রীপুর ও কাপাসিয়ার ওপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তা নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়ে এখন অসংখ্য নালা ও শাখা নদীতে পরিণত হয়েছে। অনেক শাখা নদী এখন স্থায়ী হয়ে গেছে। 

তিস্তার স্রোতে ওইসব নালা ও শাখা নদী ভাঙনের সম্ভাবনা না থাকলেও সেতু নির্মাণের কোনে ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। দিনের পর দিন বাঁশের সাঁকোর ওপর দিয়ে পারাপার করতে হচ্ছে পথচারী, স্কুল কলেজগামী শিক্ষার্থীদের। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসীর ব্যক্তি উদ্যোগে প্রতিবছর নির্মাণ করা হয় ওইসব সাঁকো।

আর কতদিন বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার করতে হবে জানে না এলাকাবাসী। বন্যার সময় নৌকায়, খরার সময় বাঁশের সাঁকোয় অথবা হাঁটু পানি পাড়ি দিয়ে চরবাসীকে চলাচল করতে হচ্ছে বছরের পর বছর। আজো চরাঞ্চলের ৫০টি স্থায়ী নালা বা শাখা নদীর ওপর কোনো সেতু নির্মাণ করা হয়নি।

ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বলেন, তারাপুর ইউপিতে কমপক্ষে ১০টি স্থানে বাঁশের সাঁকো রয়েছে। প্রতিবছর বন্যা পরবর্তী সাঁকো নির্মাণ করে দিতে হয় এলাকাবাসীর চলাচলের জন্য। 

বেলকা চরের শিক্ষার্থী শিপন মিয়া জানান, বাঁশের সাঁকোর ওপর দিয়ে পারাপার করা অত্যন্ত কষ্ট এবং ঝুকিপূর্ণ। 

ব্যবসায়ী মফিদুল হক মন্ডল জানান, বাঁশের সাঁকোর ওপর দিয়ে মালামাল বহন করা যায় না। সে কারণে দ্বিগুণ মজুরি দিয়ে ঘোড়ার গাড়ি বা নৌকা যোগে মালামাল পারাপার করতে হয়। এতে করে খরচ বেশি হয় এমনকি লোকসান গুণতে হয়। এছাড়া সময়ও বেশি লাগে। 

উপজেলা প্রকৌশলী মুহাম্মদ আবুল মুনছুর জানান, চরাঞ্চলে সেতু নির্মাণ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় করে থাকে। 

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জানান, এরই মধ্যে চরাঞ্চলে বেশ কয়েকটি সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি স্থানে সেতু নির্মাণের চাহিদা পাঠানো হয়েছে।