• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

আলোচিত ফেলানী হত্যা মামলায় রিটের শুনানি ১৮ মার্চ

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী সীমান্তে আলোচিত ফেলানী হত্যা মামলায় রিটের শুনানি শুক্রবার ভারতের সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতি কে এম জোসেফের যৌথ বেঞ্চে শুনানি শুরু হয়েছে। শুনানির পরর্বতী দিন ধার্য করা হয়েছে আগামী ১৮ মার্চ।  

কুড়িগ্রামের পাবলিক প্রসিকিউটর ও ফেলানীর বাবার অন্যতম আইনি সাহায্যকারী এসএম আব্রাহাম লিংকন ভারতীয় সুপ্রিমকোর্টে ফেলানী হত্যাকাণ্ডের রিটের বিচারিক কাজ শুরু হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি বলেন, এবার মনে হয় ফেলানী হত্যার বিচার হবে। দ্রুত ফেলানী হত্যাকাণ্ডের বিচারের রায় হলে উভয় দেশের সীমান্তের জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে। 

এদিকে ফেলানী হত্যার ৯ বছর পেরিয়ে গেলেও বিচার না পাওয়া হতাশ হয়ে পড়েছিলেন ফেলানীর পরিবার। হতাশার মাঝে আবারো সুপ্রিমকোর্টে মামলার শুনানীি শুরু হওয়ায় ন্যায় বিচার পাওয়ার আশা করছেন ফেলানীর পরিবার ও প্রতিবেশীরা। 

ফেলানীর বাবা নুর ইসলাম জানান, মেয়েকে বিনা অপরাধে হত্যা করেছে। দীর্ঘদিন হয়ে গেল বিচার পাইনি। তবে নতুন করে শুনানি শুরু হওয়ায় আশাবাদী ভারতের সুপ্রিমকোর্ট ন্যায় বিচার করবে। তাড়াতাড়ি বিচার কাজ শেষ হবে। 

২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি ভোরে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার অনন্তপুর সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া পার হয়ে ভারত থেকে দেশে ফেরার সময় ১৪ বছর বয়সী কিশোরী ফেলানীকে গুলি করে কাঁটাতারের বেড়ায় ঝুলিয়ে রাখে বিএসএফ। ঘটনাটি সারাবিশ্বের গণমাধ্যমে তোলপার হয়।
 
মানবাধিকার সংস্থাগুলো তীব্র নিন্দা করে এর বিচার দাবি করে। ভারতের আদালত ফেলানী হত্যায় অভিযুক্ত বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষকে নির্দোষ ঘোষণা করে। তখন গণমাধ্যমসহ বিশ্বের মানবাধিকার সংগঠনগুলোর তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে ভারত।    

এরপর ২০১৫ সালের আগষ্ট মাসে কলকাতার মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চ মাসুমের সম্পাদক কীরিটি রায় এর সহায়তায় ফেলানীর বাবা মো. নুর ইসলাম ফেলানী হত্যা মামলার রায় পুনর্বিবেচনার জন্য ভারতের সুপ্রিম কোটে একটি রিট করেন।

রিট আবেদনে বিবাদী করা হয় ভারত সরকারের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব, পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারের মুখ্য সচিব, বিএসএফের মহাপরিচালক এবং সিবিইর পরিচালককে। এতে ফেলানীর বাবাকে বাংলাদেশের পক্ষে সহায়তা করে আইন সালিশ কেন্দ্র ও ভারতের পক্ষে মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চ (মাসুম)।