• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

আশুরাকে কেন্দ্র করে সেজেছে সৈয়দপুর

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৩০ আগস্ট ২০২০  

আজ ১০ মহররম, পবিত্র আশুরা। এই দিনটিকে কেন্দ্র করে সেজে উঠেছে নীলফামারীর সৈয়দপুরের কারবালা ও ইমামবাড়াগুলি। রাতে স্থাপন করা হয় তাজিয়া। করোনার কারণে সীমিত পরিসরে নানান অনুষ্ঠানে অংশ নেন শিয়ারা। 

নীলফামারীর সৈয়দপুর কারবালা চত্বর গতকাল শনিবার সন্ধ্যা থেকে সবুজ ও লাল নিশান হাতে হাজির হন শিয়ারা। করোনার কারণে তাজিয়া মিছিল নিষিদ্ধ হলেও ইমামবাড়াগুলোয় নানা আনুষ্ঠানিকতায় অংশ নেন নানা শ্রেনি-পেশার মানুষ। গম্বুজ বিশিষ্ট মিনার ও দুলদুল সাজিয়ে রাত ১০টার পর তাজিয়া প্রতিস্থাপন করা হয়। শিয়া ছাড়াও নানা ধর্ম-বর্ণের মানুষ মনোকামনা পূরণে অংশ নেন প্রার্থনায়। 

নীলফামারীর সৈয়দপুরে ৪৪টি ইমামবাড়ায় প্রতিবছর পালন করা হয় পবিত্র আশুরা। বেশ কয়েকটি ইমামবাড়াতে তাজিয়ার পাশাপাশি দুলদুল (ঘোড়া) বসানো হয়। সব ইমামবাড়াগুলো আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়েছে। সারাদেশের চেয়ে সৈয়দপুরে একটু ভিন্নভাবে পালিত হয় মহররম মাসের কার্যক্রম।

আজ রবিবার সকাল থেকে কারবালা প্রাঙ্গণে ঘুরছেন মুসল্লিরা। প্রিয় হোসাইনের কথা ভেবে “হায় হোসাইন, হায় হোসাইন” বলে বুক চাপড়ে অনেকে। 

করোনাভাইরাস প্রকোপের কারণে এবার রাস্তায় তাজিয়া মিছিল বের হচ্ছে না। সীমিত আকারে একটি সংক্ষিপ্ত মিছিল কারবালা প্রাঙ্গণেই ঘুরছে। অথচ প্রতিবছর লাখো মানুষের অংশগ্রহণে এই মিছিল বের হয়। শিয়া মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ এই দিনকে শোকের দিন হিসেবে পালন করেন।

৫৫ বছর বয়সের আলহাজ্ব সৈয়দ নওশাদ আনছারীর সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ছোটবেলার আব্বার সঙ্গে আসতাম। কখনো তাঁদের মুখে শুনিনি তাজিয়া মিছিল না হওয়ার কথা। এবার করোনার কারণে আমরা কোণঠাসা। আমাদের সবার মন খারাপ।
  
প্রসঙ্গত, হিজরি ৬১ সনের ১০ মহররম (এই দিন) মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর দৌহিত্র হজরত ইমাম হোসাইন (রা.) ও তার পরিবার এবং অনুসারীরা সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে যুদ্ধ করতে গিয়ে ফোরাত নদীর তীরে কারবালা প্রান্তরে ইয়াজিদ বাহিনীর হাতে শহীদ হন। কারবালার ঘটনা স্মরণ করে বিশ্বের মুসলিম ধর্মাবলম্বীরা যথাযোগ্য মর্যাদায় দিনটি পালন করে থাকে। শান্তি ও সম্প্রীতির ধর্ম ইসলামের মহান আদর্শকে সমুন্নত রাখতে তাদের এই আত্মত্যাগ মানবতার ইতিহাসে সমুজ্জ্বল রয়েছে। কারবালার শোকাবহ এ ঘটনা অর্থাৎ পবিত্র আশুরার শাশ্বত বাণী সবাইকে অন্যায় ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে এবং সত্য ও সুন্দরের পথে চলতে প্রেরণা জোগায়।