• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

আহত মার্কিন সেনার সংখ্যা আরেক দফা বাড়ল

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৯ জানুয়ারি ২০২০  

ইরাকের আইন আল-আসাদ ঘাঁটিতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় আহত সেনার সংখ্যা আরেক দফা বাড়িয়েছে মার্কিন যুদ্ধ মন্ত্রণালয়। আগের ঘোষণার তুলনায় আরো ১৬ জন বাড়িয়ে এবার ৫০ জনের আহত হওয়ার কথা জানিয়েছে মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় পেন্টাগন। মঙ্গলবার পেন্টাগনের মুখপাত্র লে. কর্নেল থমাস ক্যাম্পবেল এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। এর আগে গত শুক্রবার আগের তুলনায় তিনগুণ বেশি মার্কিন সেনার আহত হওয়ার কথা জানায় পেন্টাগন।

তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত ৫০ জন মার্কিন সেনা মস্তিষ্কের আঘাত নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ৩১ জনকে ইরাকেই চিকিৎসা দেয়া হয়েছে এবং এরইমধ্যে তারা নিজেদের কাজে ফিরেছেন। এছাড়া গুরুতর মস্তিস্কের আঘাতের কারণে ১৮ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জার্মানিতে এবং একজনকে কুয়েতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।

গত ৩ জানুয়ারি বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের কাছে আইআরজিসি'র কুদস ফোর্সের কমান্ডার জেনারেল সোলাইমানিকে হত্যা করে যুক্তরাষ্ট্র। সে হত্যাকাণ্ডের প্রতিশোধ হিসেবে গত ৮ জানুয়ারি ইরাকে অবস্থিত দুটি মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় আইআরজিসি। সেসব ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকাতে পারে নি মার্কিন সেনারা। হামলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় সেখানে। কিন্তু কোনো হতাহতের কথা স্বীকার করেনি যুক্তরাষ্ট্র।

হামলার পরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেন যে, ইরানি হামলায় কোনো সেনা হতাহত হয় নি। তবে পরবর্তীতে ১১ জন সেনা আহতের কথা স্বীকার করে পেন্টাগন। এরপর ২১ জানুয়ারি নতুন করে আবারো আহত সেনাদের চিকিৎসা নেয়ার খবর প্রকাশ করে পেন্টাগন।

২৫ জানুয়ারি বিবিসিতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানা যায় ৩৪ সেনা মস্তিষ্কের আঘাতজনিত সমস্যায় ভুগছে বলে জানিয়েছে পেন্টাগন।  

যুক্তরাষ্ট্রের দাবি অনুযায়ী আহত সেনার সংখ্যা ১১ থেকে ৩৪ জন এবং পুনরায় বেড়ে ৫০ জনে উন্নীত হওয়ায় পর্যবেক্ষকদের মনে এখন হতাহতের সংখ্যা সম্পর্কে ইরানের ঘোষণা বদ্ধমূল হতে শুরু করেছে।

তবে ৮ জানুয়ারি মার্কিন ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত ৮০ মার্কিন সেনা নিহত এবং আরো ২০০ জন আহত হয়েছেন বলে দাবি করে ইরান। আহত সেনাদেরকে চিকিৎসা দিতে সি-১৩০ বিমানে করে আইন আল-আসাদ ঘাঁটি থেকে অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়েছে বলেও জানায় ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) এক কর্মকর্তা।