• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

সর্বশেষ:
বাংলাদেশকে হুমকির মুখে ফেলেছে ক্রমবর্ধমান জলরাশি: গবেষণা উত্তরবঙ্গের মহাসড়কে চার লেন চালু, ঈদযাত্রা হবে স্বস্তির সব উন্নয়ন সহযোগীদের এক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী বিডিএস ভূমি ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে: ভূমিমন্ত্রী বিএনপির নিগৃহীত নেতাকর্মীদের তালিকা দিতে হবে: ওবায়দুল কাদের

আয়েশে দিন কাটাচ্ছেন খালেদা, দলীয় পদ ছাড়তে নেতাদের মত

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৩ জানুয়ারি ২০২১  

দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া কারাগার থেকে বের হয়ে গুলশানের ভাড়া বাসা ফিরোজায় আরাম-আয়েশে দিন কাটাচ্ছেন। এজন্য তিনি নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করেছেন। ফলে দলের নাখোশ শীর্ষ নেতারাও  তাকে পদ ছাড়ার পক্ষে মতামত দিয়েছেন।

দলীয় সূত্র জানায়, নেতাকর্মীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ কিংবা কথাও বলতে চান না খালেদা জিয়া। এ অবস্থায় বিএনপিকে কেউ সঠিক দিকনির্দেশনা দিতে পারছেন না। এতদিন দলের কথা বললেও মূলত তিনি এখন নিজেকেই বেশি প্রাধান্য দিচ্ছেন। তারেক রহমানও দলের চেয়ে নিজের ব্যাপারে বেশি সচেতন। দলকে তারা হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেন বলেও তৃণমূল নেতাদের ক্ষোভ। দলের এই দুরবস্থায় খালেদা জিয়ার অন্তত গোপন ম্যাসেজ দেয়া উচিত বলেও মনে করেন তৃণমূল নেতাকর্মীরা।

খালেদা জিয়ার ঘনিষ্ঠ সূত্র জানায়, রাজনীতি নয়, আপাতত নিজের স্বাস্থ্য নিয়ে বেশি ভাবছেন খালেদা জিয়া। বিএনপির রাজনীতি নিয়ে চরম হতাশ তিনি। রাজনীতি বাদ দিয়ে বিদেশে গিয়ে উন্নত চিকিৎসা নেয়াই এখন তার মূল লক্ষ্য।

বিএনপির এক জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, আমাদের নেত্রী কারাগার থেকে বের হয়ে বাসায় বসে আছেন। তার নীরবতা রহস্যজনক মনে হচ্ছে। তার কাছ থেকে কোনো নির্দেশনা পাচ্ছি না। তিনি সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ও চিন্তাভাবনা থেকে বিরত রয়েছেন। নেত্রীর এই নীরবতা দলের শীর্ষ থেকে তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের ভাবিয়ে তুলেছে। নেতাকর্মীরা হতাশা প্রকাশ করছেন। দিশেহারা বিএনপি কোনো কূল-কিনারা পাচ্ছে না।

এই জ্যেষ্ঠ নেতা আরো বলেন, দল চালাতে দলীয় প্রধানের সক্রিয়তা প্রয়োজন। নিষ্ক্রিয় দলীয় প্রধান দিয়ে তো দলের কার্যক্রম চলে না। বাসায় আরাম-আয়েশে থাকলে দলের অবস্থা তো খারাপ হবেই। কোনো নেতার সঙ্গে তার নিয়মিত যোগাযোগ নেই। বিএনপির শীর্ষ থেকে তৃণমূল পর্যায়ের নেতাদের একটি অংশ খালেদা জিয়াকে দলের চেয়ারপার্সনের পদ ছাড়ারও মত দিচ্ছেন।