• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৫ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
মুজিবনগর সরকারের ভূমিকা ইতিহাসে অনন্য: রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিরা হস্ত‌ক্ষেপ করবে না: ওবায়দুল কাদের লালমনিরহাটে যুবলীগ কর্মীর পায়ের রগ কাটলেন যুবদল নেতা বাসার ছাদ থেকে পড়ে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু ঠাকুরগাঁওয়ে ঈদ-নববর্ষে ১০ জন নিহত, আহত ২ শতাধিক

ইসলামে বিজয় দিবসের গুরুত্ব

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৬ ডিসেম্বর ২০১৯  

‘বিজয়’ শব্দটি যদিও খুব ছোট, কিন্তু এর পেছনে লুকিয়ে থাকে বিস্তর ইতিহাস। ত্যাগ-তিতিক্ষার, হাসি-কান্নার, আনন্দ-বেদনার এবং অর্জন-বর্জনের ইতিহাস।

‘বিজয় দিবস’ শুধুই উদযাপনের নয়; তা হৃদয় দিয়ে আত্মোপলব্ধি করার। বিজয় দিবস নিয়ে রয়েছে ইসলামের ভাবনা।

ইসলাম বিজয় দিবস উদযাপনের বিরোধী নয়। বরং দেশের স্বাধীনতা অর্জন ও বিজয় উদযাপন উপলক্ষে আল্লাহর পবিত্রতা ঘোষণা করা এবং ক্ষমা প্রার্থনা করাই ইসলামের নির্দেশ। তাছাড়া প্রিয় নবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘হুব্বুল ওয়াত্বানে মিনাল ঈমান’ অর্থাৎ ‘দেশপ্রেম ঈমানের অঙ্গ।’ আর দেশপ্রেমের সঙ্গে স্বাধীনতা ও বিজয় এক সুতোঁয় গাঁথা।

এ দিবস শুধুই উদযাপনের নয়; তা হৃদয় দিয়ে আত্মোপলব্ধি করার। বিজয় দিবস নিয়ে রয়েছে ইসলামের ভাবনা।

যদিও বর্তমান সময়ে অনেকেই মনে করেন যে, বিজয় দিবস উদযাপন মানেই ইসলামের অবমাননা। বিষয়টি তা নয়; কারণ বিশ্বমানবতার মুক্তির দূত সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবী ও রাসূলুল্লাহ হজরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজেও বিজয় দিবস উদযাপন করেছিলেন।

তিনি ইসলাম প্রচারের কারণে নিজের মাতৃভূমি ত্যাগ করে হিজরত করেছিলেন মদিনায়। দীর্ঘ ১০ বছর নির্বাসিত জীবন কাটানোর পর সফলতার সঙ্গে নিজ দেশ মক্কা স্বাধীন করেন। অর্জন করেন মহান স্বাধীনতা ও বিজয়, যা ইসলামের ইতিহাসে মক্কা বিজয় নামে পরিচিত।

হিজরতের সময় প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বার বার অশ্রুসিক্ত নয়নে জন্মভূমির দিকে ফিরে ফিরে তাকিয়েছিলেন আর বলেছিলেন-

‘হে প্রিয় মাতৃভূমি মক্কা! আমি তোমাকে ভালোবাসি। তোমার অধিবাসীরা যদি আমাকে অত্যাচার-নির্যাতন করে বিতাড়িত না করত; আমি তোমাকে কখনো ছেড়ে যেতাম না।’ তাঁর এ বুকফাটা আর্তনাদের অবসান হয়েছিল ১০ হিজরির মক্কা বিজয়ের মাধ্যমে।

মক্কা বিজয়ের আনন্দে প্রথমেই তিনি ৮ রাকাআত নামাজ আদায় করেছিলেন। আর তিনি এত অধিক পরিমাণে আনন্দ লাভ করেছিলেন যা ভাষায় ব্যক্ত করার মতো নয়।

তাইতো মক্কা বিজয়ের আনন্দে তিনি সেদিন ঘোষণা করেন, ‘যারা কাবা ঘরে আশ্রয় নেবে তারা নিরাপদ। শুধু তাই নয়, পাশাপাশি মক্কার সম্ভ্রান্ত কয়েকটি পরিবারেও যারা আশ্রয় নেবে; তারা যত অত্যাচার নির্যাতনকারীই হোক তারাও নিরাপদ। এ ছিল প্রিয় নবী রাসূলুল্লাল্লাহ (সা.) এর মহানুভবতা। এটি ছিল তাঁর মত করে মক্কা বিজয়ের আনন্দ উৎসব উদযাপন।