• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

উদ্বোধনের অপেক্ষায় দেশের সর্ববৃহৎ সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০  

ময়মনসিংহের সুতিয়াখালীতে ব্রহ্মপূত্র নদের তীর ঘেঁষে দেশের সর্ববৃহৎ ৫০ মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষ। চলতি মাসের শেষ দিকে এ প্রকল্পের পরীক্ষামূলক সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে। আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনের পর জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে আরো ৫০ মেগাওয়াট পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ। 

পরিবেশবান্ধব সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে ময়মনসিংহ জেলার সুতিয়াখালীর চরাঞ্চলে বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরের যৌথ উদ্যোগে এইচডিএফসি সিনপাওয়ার লিমিটেড এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।

১৭৪ একর জমির ওপর ৮০০ কোটি টাকা ব্যয়ে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির পরিবেশবান্ধব এ সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে এলাকার বিদ্যুৎসংকট কাটবে- এমনটাই আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ময়মনসিংহের গ্রাহকরা বিশেষভাবে উপকৃত হবে।

সরকারের পরিকল্পনার আওতায় নবায়নযোগ্য জ্বালানি, বিশেষ করে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে ময়মনসিংহ সদর উপজেলার সুতিয়াখালীতে ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপনের কাজ শুরু হয় ২০১৭ সালে (প্রশাসনিকভাবে প্রকল্প স্থানটি গৌরীপুর উপজেলার ভাংনামারী ইউনিয়নে)। বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরের যৌথ প্রতিষ্ঠান এইচডিএফসি সিন পাওয়ার প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কাজ শুরু করে। প্রকল্পের তদারকিতে শুরু থেকে আছে বাংলাদেশ সরকার। ভবিষ্যতে প্রয়োজনে এ প্রকল্পের মাধ্যমে আরো বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদনের সুযোগ রয়েছে।

২০১৬ সালের শেষ দিকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ‘বাস্তবায়ন চুক্তি’ এবং বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে ‘বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি’ স্বাক্ষরের পর ২০১৭ সালে ‘সুতিয়াখালী ৫০ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প’ নামে বাস্তবায়ন কাজ শুরু করা হয়।

প্রকল্পের অধীনে অফিস ভবন, ব্রহ্মপুত্রের নদী শাসন বাঁধ, কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ, এক বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে সোলার প্লেট বসানো, দশটি বক্স ট্রান্সমিশনে সংযোগ প্রদান, সাব-স্টেশনসহ ১৩২ কেভিএ ট্রান্সমিশন টাওয়ার নির্মাণ, কেওয়াটখালীর জাতীয় গ্রিডলাইন পর্যন্ত চার কিলোমিটার আন্ডারগ্রাউন্ড কেবল স্থাপন এবং এক কিলোমিটার ওভারহেড ট্রান্সমিশন সঞ্চালন লাইন স্থাপনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে।