• মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ৫ ১৪৩০

  • || ০৮ রমজান ১৪৪৫

এই শীতে অতিথি পাখির আগমন কমেছে নীলফামারীর ‘নীলসাগরে’

নীলফামারি বার্তা

প্রকাশিত: ২২ নভেম্বর ২০১৮  

ভ্রমণ পিপাসু মানুষদের জন্য অবসর ও সময় কাটানোর এক মাত্র বিনোদন কেন্দ্রে নীলফামারীর নীলসাগর। এর অবস্থান জেলা সদরের গোড়গ্রাম ইউনিয়নের ধোবাডাংগা মৌজায় । প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আধার ৩৭ একর জমির ওপর নির্মিত এই নীলফামারীর নীলসাগরের চারপাশ । 

 অতিথি পাখিরাও ‘নীলসাগর দিঘীর’ চারপাশ নানান প্রজাতির গাছে ঘেরা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়। তাই প্রতি বছরই ঝাঁকে ঝাঁকে অতিথি পাখির আগমন ঘটে জেলার অন্যতম দর্শনীয় স্থান নীলসাগর দিঘীতে। সেই সাথে দর্শনার্থীদের কাছে বাড়তি নজর কাড়ে শীতকালীন অতিথি পাখিদের উপস্থিতি। দেখা যায় শীতের মৌসুমের শুরুতেই অন্যান্য বছরে অতিথির পাখিদের কলকাকলি ডাকে মুখরিত হয়ে থাকতো চারপাশ। তবে চলতি বছরে শীতের শুরুতে  তার ব্যতিক্রম দেখা যায়। হতাশার ব্যাপার হল, এবার অতিথি পাখিদের আগমন পূর্বের তুলনায় অনেক কমে গেছে নীলফামারীর পর্যটন স্পট নীলসাগর দিঘীতে। এতে করে পাখি দেখতে না পেয়ে নীলসাগর ঘুরতে অাসা দর্শনার্থীদের অনেকেই তাদের ভ্রমণকে অসম্পূর্ণ ভ্রমণ বলে অভিহিত করছেন।
এদিকে অনেক দর্শনার্থীরা অতিথি পাখি না অাসার পিছনে পাখিদের জন্য সুব্যবস্থা আর নিরাপত্তার অভাবকে দায়ী হিসাবে তুলে ধরেন। তবে ভিন্ন কথা বলছে দিঘীর পাড়ের মন্দিরের পুরোহিত অমরেশ বর্মণ। পুরোহিত অমরেশ বর্মণ দর্শনার্থীদের উৎপাতকে দায়ী করে বলেন, সাধারণত নিরিবিলি পরিবেশে থাকতে পছন্দ করে অতিথি পাখিরা। প্রতিদিনই এখানে অতিথি পাখি দেখতে প্রচুর দর্শনার্থী আসেন ফলে এই দিঘীর চারপাশে দর্শনার্থীদের জটলা লেগেই থাকে।। এসব দর্শনার্থীর অনেকে পাখিদের দিকে ঢিলও ছোড়েন,এতে অতিথি পাখির স্বাভাবিক পরিবেশ বিনষ্ট হয়। এবার অতিথি পাখি কম বলে স্বীকার করেছেন নীলসাগরের পরিচালক ধীরেন্দ্র নাথ চক্রবর্তীও। তিনি স্বাভাবিক কারণেই অতিথি পাখি কম আসছে উল্লেখ করে বলেন, অতিথি পাখিরা সাধারণত শীত মৌসুমের শুরুতে এসে পুরো শীতের মৌসুমে অবস্থান করে অাবার শীতের শেষে তারা চলে গেলেও এবার আগেভাগেই চলে যাচ্ছে।