• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১০ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

একজন চিকিৎসক দিয়েই চলছে বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগ

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৫ জানুয়ারি ২০২০  

একজন চিকিৎসক দিয়ে চলছে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগ। সাতজন চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও আছে মাত্র একজন চিকিৎসক। পর্যাপ্ত চিকিৎসক না থাকায় বর্তমানে বিভাগটি শিক্ষানবিশদের দিয়েই চলছে।
এ পরিস্থিতিতে রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে দগ্ধ রোগীরা প্রতিদিন চিকিৎসা নিতে এসে চিকিৎসক না পেয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে। এতে রোগীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। 

সরেজমিনে হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে, পুরুষ, মহিলা ও শিশুদের সেবা দেয়ার জন্য বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগে একজনই চিকিৎসক রয়েছেন। কিছু শিক্ষানবিশ চিকিৎসক আর নার্সরাই সেবা দিচ্ছেন রোগীদের। তবে একজন চিকিৎসকের পক্ষে রোগীদের ভিড় সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এ নিয়ে রোগীদের অভিযোগও রয়েছে বিস্তর।

রমেক হাসপাতালে সেবা নিতে আসা আম্বিয়া খাতুন নামে একজন বলেন, গত দুদিন ধরে হাসপাতালে আসছি। চিকিৎসক নেই। তাই আজ আবার এসেছি। লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। জানি না আজও চিকিৎসকের সাক্ষাৎ পাবো কি না।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, খাতা কলমে বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের দায়িত্বে সাত চিকিৎসক থাকলেও শুধু বিভাগীয় প্রধান এম. এ হামিদ পলাশকেই দেখা যায়। 

বার্ন ইউনিটে রোগী ও তাদের স্বজনের জানান, বার্ন ইউনিটে ভালো সেবা নেই। চিকিৎসক নেই। চিকিৎসা খরচও অনেক। স্যালাইন ছাড়া হাসপাতাল থেকে আর কিছুই দেয়া হয় না। শিক্ষানবিশ চিকিৎসকরা এসে মাঝে মধ্যে খোঁজ-খবর নেন। 

চলতি শীত মৌসুমে এখন পর্যন্ত এ ইউনিটে ৮ নারী ও দুই শিশুসহ ১৩ জন মারা গেছেন। চিকিৎসাধীন আছেন ২৫ জন। রোগীরা কাঙ্খিত সেবা না পেয়ে রাজধানী ঢাকায় ছুটছেন। আর যাদের সাধ্য নেই তাদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।  

তবে এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি বার্ন ইউনিটের বিভাগীয় প্রধান এম এ হামিদ পলাশ। তিনি বলেন, আমরা রোগীদের সেবা দেয়ার জন্য সব সময় কাজ করছি। এছাড়া হাসপাতালের পরিচালকের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি মুঠোফোন রিসিভ করেননি।