• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

সর্বশেষ:
বাংলাদেশকে হুমকির মুখে ফেলেছে ক্রমবর্ধমান জলরাশি: গবেষণা উত্তরবঙ্গের মহাসড়কে চার লেন চালু, ঈদযাত্রা হবে স্বস্তির সব উন্নয়ন সহযোগীদের এক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী বিডিএস ভূমি ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে: ভূমিমন্ত্রী বিএনপির নিগৃহীত নেতাকর্মীদের তালিকা দিতে হবে: ওবায়দুল কাদের

এবার বিএনপি ছাড়ছেন মিজানুর রহমান সিনহা!

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৮ জানুয়ারি ২০২০  

এবার বিএনপি ছাড়ছেন দলটির কোষাধ্যক্ষ ও সাবেক স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী মিজানুর রহমান সিনহা। গত ২২ জানুয়ারি দলের সব পদ ও দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চেয়ে বিএনপি মহাসচিব বরাবর একটি আবেদনপত্র জমা দেন সিনহা। শুধু বিএনপিই নয়, এই শিল্পপতি রাজনীতি থেকে অবসর গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে রাজনৈতিক অঙ্গনে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে।

অব্যাহতিপত্রে সিনহা উল্লেখ করেছেন, গত কয়েক বছরে আমার ব্যবসায়িক ব্যস্ততা বাড়ার পাশাপাশি শারীরিক নানা সমস্যা দেখা দিয়েছে। তাই আমার রাজনৈতিক কোনো কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করা সম্ভব নয়। সেহেতু আমি রাজনীতি থেকে সম্পূর্ণরূপে অবসর নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

এব্যাপারে জানতে বিএনপির সিনিয়র নেতাদের সাথে যোগাযোগ করা হলে, বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেনি কেউ। তবে বিএনপি মহাসচিবের একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে বিএনপির দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে একাধিকবার টেলিফোন করলেও কথা বলা সম্ভব হয়নি। মিজানুর রহমান সিনহা বর্তমানে সিঙ্গাপুরে অবস্থান করায় তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

এদিকে গত কয়েকদিন ধরে তার নিজ এলাকা মুন্সীগঞ্জে অব্যাহতি নেয়ার বিষয়টি নিয়ে বেশ আলোচনা চলছে বলে জানা গেছে।

প্রসঙ্গত, মিজানুর রহমান সিনহা ছাত্রজীবনে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। নারায়ণগঞ্জের সরকারি তোলারাম কলেজে অধ্যয়নকালে তিনি ছাত্র ইউনিয়নের প্রার্থী হিসেবে ছাত্র সংসদ নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৯০ সালে সিনহা বিএনপিতে যোগদান করেন। পরে তিনি দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির কোষাধ্যক্ষ হিসেবে বারবার দায়িত্ব পান। সিনহা মুন্সীগঞ্জ-২ আসন থেকে বিএনপির মনোনয়নে ১৯৯৬ সালে সপ্তম ও ২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।তবে ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এবং ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরে যান।