• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাস, আজ ৭৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেছেন। বন্যায় দুবাই এবং ওমানে বাংলাদেশীসহ ২১ জনের মৃত্যু। আন্তর্জাতিক বাজারে আবারও বাড়ল জ্বালানি তেল ও স্বর্ণের দাম। ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

এবারের শীতে চিতই-ভাপা পিঠায় মজেছে গাইবান্ধার মানুষ

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৫ জানুয়ারি ২০২০  

মন চাইলে বছরের যেকোনো সময় পিঠা বানিয়ে খাওয়া গেলেও জমিয়ে পিঠা খাওয়ার সময় মূলত শীতকাল। 

শীতের সকালে বা সন্ধ্যায় গরম গরম পিঠা খাওয়ার মজাই আলাদা। তাই শীতকালে অন্য খাবারের চেয়ে চারদিকে পিঠা খাওয়ার ধুম পড়ে যায়।

এ শীতে বিশেষ করে চিতই আর ভাপা পিঠায় মজেছে গাইবান্ধার শহর থেকে গ্রামের সর্বস্তরের মানুষ। জেলা-উপজেলা শহরের মোড়ে মোড়ে, গ্রামের হাট-বাজারগুলোতে বসেছে ভ্রাম্যমাণ পিঠার দোকান। এসব দোকানগুলোতে দেখা যায় পিঠাপ্রেমীদের উপচেপড়া ভিড়।

সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চিতই আর ভাপা পিঠাপ্রেমীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠে এসব পিঠার দোকান। 

বাণিজ্যিকভাবে পিঠা বিক্রি হওয়ায় বাসা-বাড়িতে আয়োজন না করে এসব দোকানে ভিড় করছেন ধনী-গরিবসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষ।

জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার কালিবাড়ী হাটে এমনই একটি পিঠার দোকান চালাচ্ছেন সদরের উদয়সাগর-হাজীপাড়ার বাসিন্দা রানা আকন্দ ও লাবনী বেগম দম্পতি। 

লাবনী বলেন, এবারের শীতে ভাপার চেয়ে চিতই পিঠায় মানুষের আগ্রহ বেশি। সরিষা বাটা, ধনিয়া পাতা ও কাঁচা মরিচ ভর্তার সঙ্গে চিতই পিঠা খেতে বেশি পছন্দ করছেন পিঠাপ্রেমীরা।

তিনি বলেন, সকাল থেকে রাত পর্যন্ত পাশাপাশি চারটি চুলায় পিঠা বানিয়েও সরবরাহে হিমশিম খেতে হয়। কারণ পিঠা আগে তৈরি করে রাখার উপায় নেই। ক্রেতাদের সামনেই তৈরি করে গরম গরম পরিবেশন করতে হয়। 

লাবনী বলেন, ক্রেতারা দোকানে বসে পিঠা খাওয়ার পাশাপাশি বাড়ির লোকদের জন্য নিয়ে যান। আবার পিঠার অগ্রিম অর্ডারও থাকে। এর অধিকাংশই থাকে চিতই পিঠা।

রানা বলেন, ধান থেকে চাল এবং সেই চালের গুঁড়া পিঠা তৈরির মূল উপাদান। এক কেজি চালের গুঁড়া দিয়ে ২০টি চিতই বা ভাপা পিঠা তৈরি করা যায়। আমার দোকানে দৈনিক ২০ কেজি চালের গুঁড়া বা চালের আটার প্রয়োজন হয়। প্রতিটি চিতই-ভাপা পিঠার দাম রাখা হয় পাঁচ টাকা।

পিঠাপ্রেমী কালিবাড়ী বাজারের বাসিন্দা ব্যবসায়ী আরিফুর রহমান বলেন, শীতে পিঠা এমনিতেই ভালো লাগে। তারপর প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যা পিঠা খেতে খেতে এটা রুটিনে পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে সরিষা বাটা, ধনিয়া পাতা ও কাঁচা মরিচ ভর্তা দিয়ে চিতই পিঠার স্বাদটা ভুলতে পারি না। সকালে বাড়িতে পরিবারের সঙ্গে আর সন্ধ্যায় বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডায় ১০ থেকে ২০টি চিতই পিঠা মুহূর্তেই শেষ হয়ে যায়।

একই দৃশ্য গাইবান্ধা শহরের কাচারিবাজার, স্টেশনরোড, বাসটার্মিনাল, ব্রিজরোড, পূর্বপাড়া, পার্কমোড়, পালস ক্লিনিকরোড, কালিবাড়ীসহ শহরের অন্য এলাকায়ও দেখা গেছে।

কাচারিবাজার এলাকার বাসিন্দা আব্দুল আহাদ বলেন, শীতে ভ্রাম্যমাণ পিঠার দোকানগুলোতে দিনভর চিতই-ভাপা পিঠা বিক্রি হয়ে থাকে। তবে সকাল-সন্ধ্যায় মানুষের ভিড় বেশি দেখা যায়।

জেলার সুন্দরগঞ্জ পৌর শহরের বাসিন্দা পিঠাপ্রেমী আবু বকর বলেন, শীতে ভ্রাম্যমাণ পিঠার দোকানগুলোতে যতোটা সহজে গরম গরম চিতই-ভাপা পিঠা পাওয়া যায়। অন্য পিঠার বেলায় তা সম্ভব না। এ কারণে ভাপা-চিতই পিঠায় ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েরই আগ্রহ বেশি।