• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

কতটা উন্নয়নের পথে এগিয়েছে বাংলাদেশ

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৮ জানুয়ারি ২০২০  

অর্থনীতি ও আর্থসামাজিক বেশির ভাগ সূচকে বাংলাদেশ ছাড়িয়ে গেছে দক্ষিণ এশিয়াকে। নিম্ন আয়ের দেশগুলোকে ছাড়িয়েছে তো অনেক আগেই। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) গত সপ্তাহেই একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে বলেছে, একটি জনবহুল ও নিম্ন আয়ের দেশ হিসেবে বাংলাদেশ যেভাবে প্রবৃদ্ধির সঙ্গে দারিদ্র্য দূর এবং বৈষম্য কমানোকে সংযুক্ত করেছে, তা অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য। সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করে প্রবৃদ্ধি অর্জনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখন উদাহরণ দেওয়ার মতো একটি দেশ।


স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে অনেকেই বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি হিসেবে আখ্যা দিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন যে, পাকিস্তান থেকে আলাদা হওয়ার ফলে এ দেশের অবস্থা আরও খারাপ হবে, উচ্চ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব হবে না ইত্যাদি। কিন্তু বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনৈতিক অর্জনের প্রেক্ষাপটে এ কথা নিশ্চিতভাবে বলা যায় যে, অনুরূপ ভবিষ্যদ্বাণী সত্য হয়নি। বরং দরিদ্র দেশের তালিকা থেকে নাম মোচন করে উন্নয়নশীল দেশের পথে ইতোমধ্যে যাত্রা শুরু করেছে বাংলাদেশ, স্বল্প আয়ের দেশ থেকে নিম্নমধ্য আয়ের দেশ হয়েছে ২০১৪ সালে; বাংলাদেশ এখন শক্তিশালী সম্ভাবনাময় অর্থনীতির দেশ হিসেবে পরিচিত।


বাংলাদেশের জাতীয় উৎপাদন বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে মাথাপিছু আয় বাড়িয়ে বাংলাদেশ দরিদ্র দেশের  তালিকা থেকে নাম মুছে উন্নয়নশীল দেশের (ফবাবষড়ঢ়বফ পড়ঁহঃৎু) তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করার যাত্রা শুরু করেছে। ১৯৭২ সালে যেখানে মাথাপিছু আয় ছিল ৯৪ ডলার, ২০১৮ সালে তা দাঁড়িয়েছে ১৭৫০ ডলার। মাথাপিছু আয় ছাড়াও সামষ্টিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার নিরিখে বাংলাদেশের অগ্রগতি লক্ষণীয়। যেমনÑ বাজেট ঘাটতি, বৈদেশিক দেনা ও জিডিপি অনুপাত, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ প্রভৃতি সূচকে বাংলাদেশ ভারসাম্য বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছে। বৈদেশিক সাহায্যের ওপর নির্ভরশীলতা থাকা সত্ত্বেও দেনার বোঝা বা নির্ভরশীলতার হার ক্রমাগতভাবে হ্রাস পেয়েছে। অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের তুলনায় বাংলাদেশে বৈদেশিক সাহায্যের ওপর নির্ভরশীলতা কম। নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে মাথাপিছু গড় বৈদেশিক সাহায্য হার ৪৭ মার্কিন ডলার, সাবসাহারা আফ্রিকার দেশগুলোতে এ হার ৫৩ মার্কিন ডলার; সে তুলনায় বাংলাদেশে তা মাত্র ১১ মার্কিন ডলার।