• মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ৫ ১৪৩০

  • || ০৮ রমজান ১৪৪৫

কদর কমেছে রং-তুলির

নীলফামারি বার্তা

প্রকাশিত: ১৫ নভেম্বর ২০১৮  

ঝালকাঠির কাঁঠালিয়ায় ডিজিটাল পদ্ধতিতে সাইনবোর্ড, ব্যানার লিখন ব্যাপক জনপ্রিয় হওয়ায় কদর কমেছে রং-তুলির। অথচ একসময় রং-তুলিই ছিল সৌখিন, পেশাজীবী চারু শিল্পীদের জীবিকা।

চারুশিল্পকে গুরুত্ব দিয়ে সরকার ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত বাধ্যতামূলক করেছে চারু ও কারুকলা শিক্ষা। বাস্তবিকভাবে শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যতে কর্মক্ষেত্রে প্রয়োগের সুযোগ না দেখে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না কেউ। তাই তো ক্রমেই বিলুপ্ত হয়ে পড়ছে চারু শিল্প।

ডিজিটাল ব্যানার লিখন ছড়িয়ে পড়েছে গ্রামেও। দেয়ালে কাপড় টাঙিয়ে রং-তুলি দিয়ে ব্যানার লিখন, লঞ্চ-ষ্টীমারে আঁকাআঁকি, দেয়াল লিখনের পরিবর্তে সবখানেই দেখা যাচ্ছে ডিজিটাল ব্যানার।

তবুও শতপ্রতিকুলতার মাঝে টিকে আছেন গুটিকয়েক চারু শিল্পী। আজও রং-তুলিই যাদের রুটিরুজি। তেমনই একজন বৈশাখী আর্টের স্বত্তাধিকারী গান্ধী হাওলাদার।

তিনি বলেন, একসময় সরকারি অফিস আদালতের সব সাইনবোর্ড, ব্যানার আমিই লিখতাম। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত অবধি টানা কাজ করতাম। বিভিন্ন দিবসসহ নানান সামাজিক ও ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানে গভীর রাত পর্যন্তও কাজ করতে হতো। প্রতিদিন এক থেকে দেড় হাজার টাকা আয় করতাম।

তিনি আরো বলেন, এখন ডিজিটাল ব্যানারের প্রভাবে সাইনবোর্ড, ব্যানার লিখনের কাজ তেমন একটা আসে না বললেই চলে। তবে, এখনো পথে ঘাটের দেয়াল, লঞ্চ, ষ্টীমারসহ বিদ্যালয়ের দেয়াল লিখনের কাজে কিছুটা চাহিদা থাকায় পেশা আকড়ে বেঁচে আছি।

একসময় শিক্ষিত যুব সমাজের সম্মানের সাথে এ পেশায় জীবিকা নির্বাহ করতো। এখন ডিজিটাল ব্যানারের ব্যবসা ভালো হওয়ায় নতুন করে কেউ এ পেশায় আসছে না।

কাঁঠালিয়া সদর ফাজিল মাদরাসার সিনিয়র শিক্ষক মো. নুর-ই-আলাম সিদ্দিকী বলেন, বর্তমানে আধুনিক যুগে ডিজিটাল নির্ভর কর্মক্ষেত্রে ডিজিটাল সাইনবোর্ড বা ব্যানার লিখন কাজের ব্যাপক চাহিদায় কদর কমেছে মূল ধারার চারু শিল্পিদের।