• মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৩ ১৪৩১

  • || ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

কবি হাসন রাজার মৃত্যু বার্ষিকী

নীলফামারি বার্তা

প্রকাশিত: ৬ ডিসেম্বর ২০১৮  

হাওর-বাওর ও মেঘালয় পাহাড়ের পাদদেশের জেলা সুনামগঞ্জ হাসন রাজার দেশ হিসাবেই পরিচিত। বৃহস্পতিবার এই বিখ্যাত মরমী সাধক হাসন রাজার ৯৬ মৃত্যুবার্ষিকী।

কিন্তু মরমী এই সাধকের জীবন ও দর্শন কিংবা তার গানের চর্চা প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে হয় না বললেই চলে। হাসন রাজার মৃত্যু বা জন্মতারিখ ঘিরে সরকারি পৃষ্টপোষকতায় হাসন মেলার দাবি স্থানীয়দের। হাসন রাজার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সরকারী, বেসরকারী ও পারিবারিক ভাবে কোন অনুষ্ঠান আয়োজনের খবর পাওয়া যায় নি। তাই অনেকটা নিরবেই কাটছে হাসন রাজার মৃত্যুবার্ষিকী।

একদিন তোর হইব রে মরণ রে হাসন রাজা, মাটির পিঞ্জিরার মাঝে বন্দি হইয়ারে কান্দে হাসন রাজা মন মনিয়া রে, প্রেমের বান্ধন বান্ধরে দিলের জিঞ্জির দিয়া, রঙের বাড়ই রঙের বাড়ই রে, আমি না লইলাম আল্লাজির নাম রে’ লোকে বলে ঘরবাড়ি ভালানা আমার এমন অসংখ্য জনপ্রিয় গানের জনক হাসন রাজা। ১৮৫৪সালের সালের ২১ডিসেম্বর সুনামগঞ্জ শহরের লক্ষণশ্রী’র ধনাঢ্য জমিদার পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন।

তিনি নিজেও ছিলেন জমিদার। হাসন রাজার গানে সহজ সরল স্বাভাবিক ভাষায় মানবতার চিরন্তন বাণী উচ্চারিত হয়েছিল। সকল ধর্মের বিভেদ অতিক্রম করে তিনি গেয়েছেন মাটি ও মানুষের গান।

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯২৫সালে কলকাতায় এবং ১৯৩৩সালে লন্ডনে হিবার্ট বক্তৃতায় হাসন রাজার দুটি গানের প্রশংসা করেছিলেন। প্রখ্যাত এ সাধক ১৯২২সালের ৬ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।

জেলার বিভিন্ন উপজেলার বাউল শিল্পীগন বলেন, মরমী কবি হাছনরাজার মৃত্যু বার্ষিকীতে সুনামগঞ্জে উল্লেখ করার মত কোন কিছুই হয় না। যদি হাছন রাজার মৃত্যু বার্ষিকীতে বড় করে কোন মিলন মেলা হত তাহলে আগামী প্রজন্মের তরুণরা হাছন রাজার সর্ম্পকে আরো জানতে পারত।

ডিসি মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ বলেন, লোক সাংস্কৃতিক রাজধানী সুনামগঞ্জ জেলা এই সুনামগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেছেন লোক কবি মরমী হাছনরাজা। মরমী কবির মৃত্যু বার্ষিকীতে কোন অনুষ্ঠান না থাকলে ২১ডিসেম্বের মরমী কবি হাছনরাজার ও জন্ম বার্ষিকীতে জেলা প্রশাসন ও জেলা শিল্পকলা একাডেমীর আয়োজনে দিনব্যাপী হাছনরাজার জীবন কর্ম এবং তার সৃষ্টির উপর প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।