• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

করোনা সংকটেও দ্বিগুণ বেড়েছে দেশের রফতানি

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৬ জুলাই ২০২০  

করোনা সংকটেও সদ্য সমাপ্ত জুন মাসে পণ্য রফতানি থেকে ২৭১ কোটি ৪৯ লাখ ডলার আয় হয়।  এ হিসাবে মে মাসের চেয়ে ৮৫ শতাংশ বেশি। 
সে হিসেবে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ও প্রতিকূলতার মধ্যেও দেশে এক মাসে রফতানি বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। রোববার রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করে।

এতে জানা গেছে, বাংলাদেশে গত মার্চ মাস থেকে করোনার ধাক্কা লাগতে শুরু করে। এতে এপ্রিলে রফতানি কমে মাত্র ৫২ কোটি ডলারে নেমে এসেছিল, যা ছিল রেমিটেন্সের চেয়েও কম।এ পরিস্থিতিতে নিয়ম-নীতি শিথিল করে কলকারখানা চালুর পর মে মাসে রফতানি বেড়ে ১৪৬ কোটি ৫৩ লাখ ডলারে দাঁড়ায়। অর্থবছরের শেষ মাস জুনে তা আরো বাড়ল।

বাংলাদেশ সব মিলিয়ে ২০১৯-২০ অর্থবছরে বিভিন্ন পণ্য রফতানি করে ৩ হাজার ৩৬৭ কোটি ৪০ লাখ (৩৩.৬৭ বিলিয়ন) ডলার আয় করেছে। এই অঙ্ক আগের অর্থবছরের চেয়ে ১৭ শতাংশ কম। আর লক্ষ্যের চেয়ে ২৬ শতাংশ শতাংশ।

গত অর্থবছরে রফতানি আয়ের প্রধান খাত তৈরি পোশাক রফতানি থেকে আয় হয়েছে ২৭ দশমিক ৯৫ বিলিয়ন ডলার। লক্ষ্য ছিল ৩৮ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলার। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে তৈরি পোশাক থেকে আয় হয়েছিল ৩৪ দশমিক ১৩ বিলিয়ন ডলার। এ হিসাবে গত অর্থবছরে তৈরি পোশাক রফতানি কমেছে ১৮ দশমিক ১২ শতাংশ।  এ খাতে লক্ষ্যের চেয়ে আয় কমেছে ২৬ দশমিক ৮৩ শতাংশ।

এদিকে নিট পোশাক রফতানিতে ২০১৯-২০ অর্থবছরে  থেকে আয় হয়েছে ১৩ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলার। এতে আগের বছরের চেয়ে আয় কমেছে ১৭ দশমিক ৬৫ শতাংশ। আর ওভেন পোশাক থেকে ১৪ দশমিক ০৪ বিলিয়ন ডলার আয় হয়েছে। প্রবৃদ্ধি কমেছে ১৮ দশমিক ৫৮ শতাংশ।

জুন মাসে রফতানি হয়েছে ২৭১ কোটি ৪৯ লাখ ডলারের পণ্য। লক্ষ্য ছিল ৩৯৪ কোটি ৩০ লাখ ডলার। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে আয় হয়েছিল ২৭৮ কোটি ৪৪ লাখ ডলার।

অন্যদিকে রফতানিকারকরা বলছেন, কোভিড-১৯ মহামারির কারণে এপ্রিল মাসের পুরোটা সময় পোশাক কারখানাগুলো বন্ধ ছিল। বিশ্বব্যাপী পরিস্থিতিও ছিল খুব খারাপ। সে কারণে এপ্রিলে রফতানি তলানিতে নেমে এসেছিল।

তৈরি পোশাক শিল্পই বাংলাদেশের রফতানি আয়ে মূল ভূমিকা রাখে। মে মাসে পোশাক কারখানাগুলোতে উৎপাদন হয়েছে। আগের অর্ডারও ছিল। ইউরোপের দেশগুলোর পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হওয়ায় রফতানি কিছুটা বেড়েছে। তবে নতুন অর্ডার না আসার পাশাপাশি অনেক ক্রেতা অর্ডার বাতিল করেছে বলে তৈরি পোশাক শিল্প মালিকরা জানিয়েছেন। 

এ প্রসঙ্গে বিজিএমইএর সভাপতি রুবানা হক জানান, নতুন করে এখন কোনো অর্ডার আসছে না। আগের অনেকে অর্ডারও বাতিল হয়েছে। আমরা খুবই কঠিন সময় পার করছি। খুব সহসা এই সংকট কাটবে বলেও মনে হয় না।