• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

করোনা সংকটেও বিমানের আয় ২৫০ কোটি টাকা

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১ জুলাই ২০২০  

করোনাভাইরাস পরিস্তিতিতে গোটা বিশ্বের এভিয়েশন খাত গুটিয়ে রইলেও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস অল্পস্বল্প আয় করছে। শতাধিক পণ্যবাহী ও চার্টার্ড ফ্লাইট চালিয়ে গত তিন মাসে প্রায় আড়াইশ কোটি টাকা আয় করেছে বিমান।

বর্তমানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বহরে এখন ১৮টি উড়োজাহাজ। কিন্তু করোনাভাইরাস পরিস্তিতিতে আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট চালু আছে শুধু লন্ডনে। তাও আবার প্রতি সপ্তাহে রোববার।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের তথ্য অনুযায়ী, এপ্রিল থেকে ২৯ জুন পর্যন্ত তিন মাসে ১০৯টির বেশি চার্টার্ড ও কার্গো পণ্যবাহী ফ্লাইট পরিচালনা করেছে বিমান।

এসব ফ্লাইট থেকে প্রায় আড়াই শ কোটি টাকা আয় করেছে। এর মধ্যে এপ্রিলে ৪০ কোটি, মে-তে ৯৪ কোটি এবং ২৫ জুন পর্যন্ত ১০০ কোটি টাকা আয় করেছে বিমান। বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. মহিবুল হক জানান, জুলাইয়ে এই আয় বাড়তে পারে।

তিনি বলেন, চার্টার্ড ও কার্গো ফ্লাইট থেকে আড়াই শ কোটি টাকা আয় হয়েছে। কিন্তু বিমানের প্রতি মাসে খরচ রয়েছে ২৬০ কোটি টাকা। তবে বেতন কামানো হলেও বিমানের কারও চাকরি যায়নি।

বিমানের প্রতি মাসে ১৮টি উড়োজাহাজের রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয়ে প্রয়োজন হয় ২৬৬ কোটি টাকা। এপ্রিলের মধ্যে বিমান ১ হাজার ২৭৯ কোটি টাকার আর্থিক চাপে পড়ে যায়। তাই বিমানকে সরকারের কাছ থেকে এক হাজার কোটি টাকার আর্থিক সহায়তা নিতে হয়।

গত ২২ মার্চ বিমানের পরিচালক প্রশাসন একটি নির্বাহী আদেশ জারি করে। রুট ও আয় কমে যাওয়ায় বিমানের সব কর্মকর্তার ওভারটাইম ভাতা বাতিল করা হয়েছে। একই সঙ্গে ষষ্ঠ থেকে তদূর্ধ্ব কর্মকর্তাসহ ককপিট এবং কেবিন ক্রুদের মূল বেতনের ১০ শতাংশ হারে কাটার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিমান কর্তৃপক্ষ।

এরই মধ্য এপ্রিল থেকে আয়ের পথে যেতে শুরু করে বিমান। ওই সময় থেকে চার্টার্ড ফ্লাইট পরিচালনায় নামে তারা। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের ফেরত আনা শুরু করে বিমান।

শুরুতে ভারত, এরপর মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ, জাপান থেকে যাত্রী নিয়ে আসে। একই সঙ্গে ঢাকা থেকেও ইতালি, ইংল্যান্ড, পর্তুগাল, স্পেনে একাধিক চার্টার্ড ফ্লাইট পরিচালনা করে। এ ছাড়া যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন রুটে পণ্য পরিবহন শুরু করে বিমান। বিমান এখন অন্যভাবে আয়ের পথ খুঁজছে।