• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

কর্মী শূন্য দলে পরিণত হচ্ছে বিএনপি

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১  

জাতীয় সংসদ নির্বাচন, উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের পর সমগ্র বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত পৌর নির্বাচনে বিএনপির শোচনীয় পরাজয় ঘটেছে। এতে দলটি রাজনীতিতে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রচেষ্টায় বহু ধাপ পিছিয়ে গেছে। আর সেই প্রভাবে বিএনপি দিনে দিনে কর্মী শূন্য দলে পরিণত হতে যাচ্ছে। সম্প্রতি বিএনপির কেন্দ্রীয় পর্যায়ের কয়েকজন নেতার সঙ্গে আলাপকালে এসব তথ্য জানা গেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির এক নেতা বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচন, উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ব্যর্থতার পর বিএনপির ছন্নছাড়া অবস্থা দৃশ্যমান। পৌর নির্বাচন পরবর্তী সময়ে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মাঝে হতাশা বিরাজ করছে। এক সময় সবাই আশাবাদী থাকলেও সেই আশা কতদিন ধরে রাখা যায়। কেন্দ্রের ব্যর্থতার ছাপ তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। নেতারা ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। কর্মীরা নেতাদের পাশে না পেলে তো নিষ্ক্রিয় হবেই। দলের প্রধান থেকে জেলা পর্যায়ের নেতাদের ব্যর্থতায় কর্মীরাও হতাশায় রয়েছে।

দলটির আরেক নেতা বলেন, আমাদের মধ্যে থাকা সমস্যা সমাধান হচ্ছে না। কেন্দ্রীয় নেতারা কোন্দলে লিপ্ত হলে তার প্রভাব কর্মীর ওপর নিশ্চয়ই পড়বে। এছাড়া ব্যবসায়ী নেতাদের ওপর নির্ভরতা বেড়ে গেছে। ব্যবসায়ীরা সম্মানের জন্য পদ কেনেন। আর বিদ্রোহী হয়ে উঠেন ত্যাগী নেতারা। ত্যাগী নেতাদের চাঙ্গা না করতে পারলে কর্মীরা দুর্বল হয়ে পড়ে। এভাবে চলতে থাকলে এক সময় বিএনপি কর্মী শূন্য দলে পরিণত হবে।

এদিকে বিএনপির সামগ্রিক রাজনৈতিক ব্যর্থতার পর পৌর নির্বাচনের পরাজয়কে ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’ হিসেবে ব্যাখ্যা করছেন বিএনপি ত্যাগ করে বিকল্প ধারায় যোগদানকারী নেতা শমসের মুবিন চৌধুরী।

তিনি বলেন, বিএনপি বিগত এক যুগের বেশি সময় ধরে ক্ষমতার বাইরে থেকেও দল গোছাতে ব্যর্থ হয়েছে। সাংগঠনিক দুর্বলতা দূর করার বিপরীতে তারা ক্ষমতা দখলের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। অথচ বিএনপি চাইলে প্রেসব্রিফিং, মানববন্ধন, কূটনৈতিক তৎপরতায় সময় ব্যয় না করে দল গোছানোর কাজে মনোনিবেশ করতে পারতো। এতে পৌর নির্বাচনে এমন পরাজয় নেমে আসতো না।

তিনি আরো বলেন, বিএনপির হাতে এখনো সময় আছে। তাদের এখন সময়-সুযোগ বুঝে নেতৃত্ব পরিবর্তনের পাশাপাশি জনসমর্থন আদায়ে কাজ করতে হবে। তা না হলে রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপির অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাবে। দলকে টিকিয়ে রেখে নির্ধারিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে হলে প্রয়োজনে বিএনপির প্রৌঢ়, দুর্নীতিবাজ, দুমুখো ও তথ্যপাচারকারী নেতাদের বাদ দিতে হবে। নইলে আগামীতে ক্রমাগত পরাজয়ের গ্লানি ও ক্ষোভ থেকে হাজার হাজার কর্মী বিএনপি ত্যাগ করলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।

এ বিষয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে শুরু করে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন, পৌর নির্বাচনসহ সর্বত্রই বিএনপির পরাজয় ঘটেছে। এ থেকে অনুমেয়, ধারাবাহিক পরাজয়ের বৃত্ত থেকে বের হতে পারছে না দলটি। এমনকি ভবিষ্যতেও দলের সাংগঠনিক দুর্বলতায় তা পারবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।