• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

কার্যালয়হীন নবাবগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান!

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৫ নভেম্বর ২০১৯  

পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে চেয়ারম্যান পদে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীকে ৩৮ হাজার ভোটের ব্যবধানে হারান নৌকার প্রার্থী আতাউর রহমান। তবে এখনো পর্যন্ত কোনো কার্যালয় পাননি তিনি। শুধু উপজেলা চেয়ারম্যান নয়, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যানের একই অবস্থা।

নবাবগঞ্জ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক বলেন, জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছি। তবে উপজেলা পরিষদ ভবনে কার্যালয়ে বসে জনগণের সঙ্গে সুখ-দুঃখের কথা জানতে পারছি না। আমাদের খোঁজে লোকজন আসলে গাছতলায় বসে থাকতে হয়। তাই আমরাও গাছতলায় বসে কার্যালয়ের কাজ করবো।

নারী ভাইস চেয়ারম্যান পারুল বেগম বলেন, চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানদের কোনো কক্ষ নেই। এতোদিন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের বাসভবনটি কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার হয়েছিল। কিন্তু চেয়ারম্যানের পরিবার বাসভবনে আসায় এখন কার্যালয় নেই। তবে নতুন উপজেলা পরিষদ ভবন নির্মাণের জন্য টেন্ডারের কথা শুনছি।

নবাবগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান বলেন, আমি নবাবগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। ৩৮ হাজার ভোটের ব্যবধানে নৌকা প্রতীকে বিজয়ী হয়েছি। কিন্তু উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যানের কার্যালয় নেই, এ কথাটি চিন্তা করা যায় কি? দিনাজপুরের কোনো উপজেলায় এমন দৃশ্য নেই। আমি বার বার ইউএনও’র সঙ্গে বসেছি। এমন কি সেমিনার কক্ষের পাশের কক্ষটি চেয়ারম্যানের কার্যালয় করা হবে বলে রেজুলেশন পর্যন্ত হয়েছে। কিন্তু কোনো কথাই শুনতে চান না ইউএনও। এমন কি তিনি যতদিন এ উপজেলায় রয়েছেন, ততদিন এ ভবনে কোনো কক্ষ ছেড়ে দেয়া সম্ভব না বলে হুঁশিয়ারি দেন।

তিনি আরো বলেন, বার বার অনুরোধে করেছি। তারপরও কোনো কক্ষ ছেড়ে না দিলে রোদ-বৃষ্টির মাঝে খোলা আকাশের নিচে কার্যালয় বসাব। তখন গণমাধ্যম যোগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানতে পারবেন যে, তার দল থেকে নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানদের কার্যালয় নেই এবং তারা খোলা আকাশের নিচে কাজ করছে।

উপজেলা প্রকৌশলী মনছুর আলী বলেন, উপজেলা পরিষদের কমপ্রেক্স ভবনের নকশা তৈরি করা হয়েছে। অনুমতি পেলে দরপত্র দেয়া হবে। তবে খুব দ্রত কাজ হবে বলে আশা করছি।

নবাবগঞ্জের ইউএনও মো. মশিউর রহমান বলেন, উপজেলা প্রশাসন ভবনে কোনো কক্ষ ফাঁকা নেই। এছাড়া কোনো কক্ষ উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানকে হস্তান্তর করতে হলে মন্ত্রণালয়ের অনুমতি লাগবে। উপজেলা পরিষদের ভবন নেই, সেখানে চেয়ারম্যানের বাসভবনটি কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করতে হবে। শুনেছি, সব চেয়ারম্যান রেজুলেশন করেছেন। মন্ত্রণালয় থেকে অনুমতি পেলে কক্ষ ছেড়ে দিতে সমস্যা হবে না।