• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

কুকুর আতঙ্কে রংপুর সিটির বাসিন্দারা

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

রংপুর সিটি কর্পোরেশন এলাকার ৩৩ ওয়ার্ডে বেওয়ারিশ কুকুরের আক্রমণে বুধবার পর্যন্ত ২শ ৫৫ জন ভেকসিন গ্রহণ করেছেন। 
কুকুরের কামড়ে প্রতিদিন গড়ে ৫-৭ জন আক্রান্ত ব্যক্তি ভেকসিন নেয়ার জন্য রংপুর সিটি কর্পোরেশনের টিকা কেন্দ্র ও রংপুর সদর হাসপাতালে যাচ্ছেন। 

কুকুরের আক্রমণের মুখে সবচাইতে বেশি পড়েন স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা। বিশেষ করে সকালবেলা স্কুল যাওয়ার সময় ও দুপুরে স্কুল থেকে ফেরার সময়।

 রংপুর সিটি করপোরেশনের টিকাদান কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে,  গত বছর সেপ্টেম্বর থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত বেওয়ারিশ কুকুরের আক্রমণের শিকার হয়েছে প্রায় সহস্রাধিক মানুষ। কুকুরের আক্রমণের শিকার এসব ব্যক্তি জলাতঙ্ক প্রতিষেধক নিয়েছেন। 

নগরীর মনোহরপুর এলাকার কবীর হোসেন জানান, মঙ্গলবার তার ছেলেকে কুকুর কামড় দিয়েছে তার জন্য টিকা দান কেন্দ্রে নিয়ে এসেছেন। 

নগরীর মুলাটোল এলাকার লুৎফর রহমানের দেড় বছরের ছেলে আইয়ান বেওয়ারিশ কুকুরের কামড়ে আহত হওয়ায় তাকেও ভেকসিন দেয়ার জন্য নিয়ে আসা হয়েছে।
 
তার অভিযোগ, বেওয়ারিশ কুকুরের কারণে তার পরিবারের সদস্যরা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন। কারণ বেওয়ারিশ কুকুরগুলো দলবন্ধ হয়ে এলাকার রাস্তায় অবস্থান করে থাকে। পরিচিত কিংবা অপরিচিত কাউকে দেখলে কুকুরগুলো আক্রামণাত্মক হয়ে ওঠে। কিন্তু এ ব্যাপারে সিটি করপোরেশন কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেনা। ফলে কুকুরের ভয়ে রাস্তায় চলাচল করতে হচ্ছে।

রংপুর সিটি কর্পোরেশনের টিকাদান কেন্দ্রের স্যানেটারি ইন্সপেক্টর আব্দুল কাইয়ুম জানান, আগে বেওয়ারিশ কুকুর নিধনের ব্যবস্থা ছিল। ৫ বছর আগে এ সংক্রান্ত উচ্চ আদালতে একটি রিট হয়েছিল। তখন থেকে কুকুর নিধন বন্ধ রয়েছে। ফলে প্রতি বছর  বেওয়ারিশ কুকুরের সংখ্যা বেড়ে গেছে। এর সঙ্গে বেড়েছে উপদ্রব। এ পর্যন্ত তার টিকা দান কেন্দ্রে ২ শ জন ভেকসিন নিয়েছেন।

তবে গত বছর ডিসেম্বরে ম্যাক্স ডগ ভ্যাকসিনেশন প্রকল্পের আওতায় কুকুরের জন্ম নিয়ন্ত্রণে কর্মসূচি ছিল। কিন্ত ওই কর্মসূচি মাত্র ১৫দিন চলে। এর পর আর কোনো ব্যবস্তা নেয়া হয়নি।

রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান বেওয়ারিশ কুকুরের উপদ্রব ঠেকাতে অসহায়ত্ব বোধের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, উচ্চ আদালতে রিটের কারণে কুকুর নিধন এখন বন্ধ। তবে কুকুরের জন্ম নিয়ন্ত্রণে ভ্যাকসিশনের ব্যবস্থা রয়েছে। তা করা হলেও তা সফল হয়নি বলে জানান তিনি।