• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

কুড়িগ্রামে এসিল্যান্ডসহ ১৫ পদ শূন্য: চড়ম দুর্ভোগে এলাকাবাসী

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলা সহকারী কমিশনারসহ (ভূমি) গুরুত্বপূর্ণ ১৫টি পদ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে উপজেলার দাফতরিক কর্মকাণ্ডসহ সব ধরনের কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে। এতে বছরের পর বছর জনসাধারণের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এখানে শূন্য পদের মধ্যে রয়েছে উপজেলা মৎস্য অফিসার, উপজেলা পরিসংখ্যান অফিসার, উপজেলা পল্লী উন্নয়ন অফিসার (বিআরডিবি), উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিসার, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসার, উপজেলা সহকারী অফিসার, উপজেলা সহকারী ইঞ্জিনিয়ার, নক্সাকার উপসহকারী প্রকৌশলী, সার্ভেয়ার ও ওয়ার্ক এ্যাসিসটেন্ড।

এর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে এসিল্যান্ড পদটি শূন্য থাকায় চরমভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছে এখানকার সাাধারণ মানুষ। ভূমি অফিসের খাজনা, খারিজ, জলমহল, উপজেলার ১৭টি হাট-বাজারের দোকান পাটের নবায়ন, অবৈধ দোকানদারের দখলদার বৈধকরণ সংক্রান্ত জমির রেকর্ড সংশোধন সংক্রান্ত জটিলতার মিস কেসগুলো পরিচালনায় বিঘ্ন ঘটছে।

এছাড়াও অফিসের ভূমি সেবা সপ্তাহ, ভূমি উন্নয়ন কর, মেলাসহ গুরুত্বপূর্ণ দিবসগুলো পালন করা হচ্ছে না। এ উপজেলায় ইঞ্জিনিয়ারবিহীন রাস্তাঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট ও ভবনসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কাজগুলো ব্যাহত হচ্ছে।

উপজেলা ভূমি অফিস সূত্রে জানা গেছে, রৌমারী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শঙ্কর কুমার বিশ্বাস ২০১৪ সালের ২৩ নভেম্বর রৌমারীতে যোগদান করেন। ২০১৬ সালের ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত তিনি ভূমি কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। জুলাই মাসে রৌমারীর ইউএনও পদটি শূন্য হলে শঙ্কর কুমার বিশ্বাস পদোন্নতি পেয়ে ইউএনও (ভারপ্রাপ্ত) দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে তিনি অন্যত্র বদলি হলে রৌমারী উপজেলার ভূমি অফিসের এই গুরুত্বপূর্ণ পদটি শুন্য হয়ে যায়।

প্রায় চার বছর অতিবাহিত হলেও রৌমারী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কর্মকর্তা যোগদানের প্রক্রিয়া হচ্ছে না। ফলে জনসাধারণকে নানা ধরনের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ভোগান্তি দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে।

স্থানীয় ভুক্তভোগী উপজেলার টাপুরচর গ্রামের আব্দুর রশিদ, মুকুল মিয়া, চান্দারচর গ্রামের কাজুমুদ্দিন, নওদাপাড়া গ্রামের শাহজামালসহ আরো অনেকে বলেন, রৌমারীতে ভূমি কমিশনার না থাকায় কয়েক মাস থেকে আমরা জমি খারিজ করতে পারছি না। মাসের পর মাস ভূমি অফিসে এসে ফেরত যেতে হচ্ছে। এতে আমাদের সংসারের কাজ ও অর্থের ক্ষতি হচ্ছে।

ভুক্তভোগীরা আরো বলেন, এ উপজেলায় সহকারী ভূমি কমিশনার থাকলে আমাদের আর এতো হয়রানি হতো না। তারা দ্রুত সময়ে রৌমারী উপজেলায় সহকারী ভূমি কমিশনার যোগদানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুনজর দাবি করেন।

এ ব্যাপারে রৌমারী ইউএনও আল ইমরান বলেন, রৌমারী উপজেলায় এসিল্যান্ড, উপজেলা ইঞ্জিনিয়ারের মতো গুরুত্বপুর্ণ পদগুলো শূন্য থাকায় বিভিন্ন কাজের বিঘ্ন ঘটছে। রৌমারীতে এসিল্যান্ড, উপজেলা ইঞ্জিনিয়ারসহ অন্যান্য পদের শুন্যতা লাঘবের জন্য কুড়িগ্রামের ডিসিকে অনুরোধ করা হয়েছে।

ভূমি সংক্রান্ত কাজের দুর্ভোগ প্রসঙ্গে ইউএনও বলেন, রৌমারী উপজেলা ভূমি অফিসের  দুর্ভোগ কমাতে উলিপুর এসিল্যান্ডকে এখানে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। আমি তাকে প্রতি সপ্তাহে একদিন আসার জন্য বলেছি। তবে উলিপুর বড় উপজেলা হওয়ায় সেখানকার কাজ করেই শেষ করা যায় না। তাই তার পক্ষে প্রতি সপ্তাহে রৌমারীতে আসা সম্ভব নয় বলে জানায় ওই এসিল্যান্ড।