• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

কুড়িগ্রামে ধরলার পানি বিপদসীমার ওপরে

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০  

কুড়িগ্রামে চলতি বছরে পঞ্চম দফা বন্যা আঘাত হেনেছে। ভারী বৃষ্টিপাত আর উজানের ঢলে পানি বাড়তে থাকায় জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। সোমবার সকালে ধরলা নদীর পানি কুড়িগ্রাম ব্রিজ পয়েন্টে বিপদসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এতে ১৮ হাজার ২২০ হেক্টর জমির ফসল তলিয়ে গেছে।

বন্যাকবলিত এলাকায় খড় নষ্ট ও চারণ ভূমি ডুবে থাকায় দেখা দিয়েছে গো-খাদ্যের সংকট। খড়ের দাম দ্বিগুণ হওয়ায় গবাদিপশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন মালিকরা। চরাঞ্চলে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় যাতায়াত ও পণ্য পরিবহনে বেড়েছে ভোগান্তি।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক শামসুদ্দিন মিঞা জানান, নতুন করে বন্যায় ১৭ হাজার ১৩৫ হেক্টর রোপা আমন, ৬৫৫ হেক্টর মাশকালাই, ৩৫০ হেক্টর শাকসবজি ও ৮০ হেক্টর চিনা বাদাম খেত পানির নিচে চলে গেছে।

ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সদরের মোগলবাসা, হলোখানা ও কাঁঠালবাড়ী, রাজারহাটের ছিনাই, মীরেরবাড়ি, মহীধর ও দেবালয় এবং ‌ফুলবাড়ী উপজেলার নাওডাঙা ও শিমুলবাড়ি ইউপির কয়েক শত হেক্টর জমির বেগুন, মূলা, কপি ও লালশাকের ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে।

ধরলা, তিস্তা ও দুধকুমার নদ-নদীর বিভিন্ন তীর এলাকায় ভাঙন চলছে। দুইদিনে গৃহহীন হয়ে বাঁধ ও উঁচু সড়কে আশ্রয় নিয়েছে আরো শতাধিক পরিবার। টানা বৃষ্টিতে তাদের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। তিস্তা নদীর ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে রাজারহাটের বিদ্যানন্দ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ভাঙন অব্যাহত রয়েছে জেলার ৬৭ পয়েন্টে।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম জানান, ধরলাসহ অন্যান্য নদীর পানি বৃদ্ধি আরো ২-১ দিন অব্যাহত থাকতে পারে। তবে বড় ধরনের বন্যার আশঙ্কা নেই।